রাত হলেই কাশ্মির সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি

- আপডেট সময় ১১:১২:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
- / ২৯২ বার পড়া হয়েছে
ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে কাশ্মির সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর ফের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।তবে সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাতে এই গোলাগুলির ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে এ নিয়ে টানা পাঁচরাত ধরে কাশ্মির সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা ঘটল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
অবশ্য বরাবরের মতো ভারতীয় গণমাধ্যমে গোলাগুলির বিষয়ে পাকিস্তানকে দোষারোপ করেছে। তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বা দেশটির সংবাদমাধ্যম থেকে এখনও এ বিষয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে জম্মু ও কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর পঞ্চম রাতের মতো গুলি করেছে পাকিস্তানি সেনারা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আজ সকালে জানানো হয়েছে, এই উসকানির জবাব তারা সংযত ও কার্যকরভাবে দিয়েছে।
সূত্র জানায়, কাশ্মিরের কুপওয়ারা ও বারামুল্লা জেলার বিপরীত এলাকায় এবং আখনূর সেক্টরের কাছে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
ভারতীয় সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ২৮-২৯ এপ্রিল রাতের মধ্যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বিনা উসকানিতে এলওসি বরাবর কুপওয়ারা, বারামুল্লা ও আখনূর সেক্টরের বিপরীতে ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলি চালায়। ভারতীয় সেনারা পরিস্থিতির যথাযথ মূল্যায়ন করে সংযত ও কার্যকর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
এলওসি-র বিভিন্ন ভারতীয় চৌকিতে পাকিস্তানি সেনারা গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে একাধিকবার গুলিবর্ষণ করেছে বলে জানানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এই গোলাগুলির ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল যখন কয়েকদিন আগেই জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মিরে এটিই সবচেয়ে বড় হামলা।
কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে প্রথমবার দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি হয়। সম্প্রতি অধিকৃত কাশ্মিরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।
এদিকে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। পেহেলগামের ভয়াবহ হামলা এই সম্পর্কের অবনতির কারণ। এই হামলার পরপরেই সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান।
তাছাড়া, হামলার পরে দুই দেশই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এতে ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিকেরা নিজ নিজ দেশে ফিরে যেতে শুরু করেন।