০৫:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৩ মে ২০২৫
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান

বিরাজনীতিকরণ দেশের গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৫:৫১:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫
  • / ১১ বার পড়া হয়েছে

বিরাজনীতিকরণ দেশের গণতন্ত্রের জন্য এক গভীর হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। নির্বাচন বিষয়ে কেন সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে? এর ফলে জনগণের মধ্যে উদ্বেগ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হচ্ছে। দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা উচিত এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের সামনে আনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। বললেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার (২ মে) প্রেসক্লাবে আয়োজিত সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তারেক রহমান পাঁচ আগস্টের পর রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া নতুন ২৫টি দলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আদর্শের ভিন্নতা থাকতে পারে, তবে দেশের স্বার্থে সব দল এক হয়ে কাজ করবে এমন প্রত্যাশা আমরা রাখি।

পতিত স্বৈরাচারের পুনরুত্থান নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তারেক রহমান বলেন, সংবিধান লঙ্ঘনের জন্য স্বৈরাচারদের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে? যদি বর্তমান সরকার ব্যবস্থা না নেয়, পরবর্তী নির্বাচিত সরকার অবশ্যই স্বৈরাচারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

তারেক রহমান বলেছেন, রাজনৈতিক সংস্কারের পক্ষে দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলই। তবে রাজনৈতিক দলগুলোকে অবজ্ঞা করলে তা দেশকে বিরাজনীতিকরণের দিকে ঠেলে দেবে। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে রাজনৈতিক দলগুলোর জনগণের আদালতে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করার আহ্বান জানান।

তারেক রহমান বলেন, বিএনপি সব সময় জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি চেয়ে আসছে। কিন্তু বর্তমানে এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে যে, নির্বাচনের দাবি জানানোও যেন অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি উল্লেখ করেন, সব রাজনৈতিক দলের অবস্থান দেশের স্বার্থে এক ও অভিন্ন। এ সরকারের ব্লেইম গেম দিয়ে দায়িত্ব এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। নতুন যে সরকার গঠিত হবে তারা পলাতক স্বৈরাচারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান

বিরাজনীতিকরণ দেশের গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে

আপডেট সময় ০৫:৫১:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫

বিরাজনীতিকরণ দেশের গণতন্ত্রের জন্য এক গভীর হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। নির্বাচন বিষয়ে কেন সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে? এর ফলে জনগণের মধ্যে উদ্বেগ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হচ্ছে। দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা উচিত এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের সামনে আনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। বললেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার (২ মে) প্রেসক্লাবে আয়োজিত সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তারেক রহমান পাঁচ আগস্টের পর রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া নতুন ২৫টি দলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আদর্শের ভিন্নতা থাকতে পারে, তবে দেশের স্বার্থে সব দল এক হয়ে কাজ করবে এমন প্রত্যাশা আমরা রাখি।

পতিত স্বৈরাচারের পুনরুত্থান নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তারেক রহমান বলেন, সংবিধান লঙ্ঘনের জন্য স্বৈরাচারদের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে? যদি বর্তমান সরকার ব্যবস্থা না নেয়, পরবর্তী নির্বাচিত সরকার অবশ্যই স্বৈরাচারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

তারেক রহমান বলেছেন, রাজনৈতিক সংস্কারের পক্ষে দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলই। তবে রাজনৈতিক দলগুলোকে অবজ্ঞা করলে তা দেশকে বিরাজনীতিকরণের দিকে ঠেলে দেবে। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে রাজনৈতিক দলগুলোর জনগণের আদালতে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করার আহ্বান জানান।

তারেক রহমান বলেন, বিএনপি সব সময় জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি চেয়ে আসছে। কিন্তু বর্তমানে এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে যে, নির্বাচনের দাবি জানানোও যেন অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি উল্লেখ করেন, সব রাজনৈতিক দলের অবস্থান দেশের স্বার্থে এক ও অভিন্ন। এ সরকারের ব্লেইম গেম দিয়ে দায়িত্ব এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। নতুন যে সরকার গঠিত হবে তারা পলাতক স্বৈরাচারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।