ভারতের সুপারসনিক ‘ব্রহ্মোস’ ক্ষেপণাস্ত্রের মজুতাগারে হামলা করল পাকিস্তান

- আপডেট সময় ০১:০৯:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
- / ২৫৫ বার পড়া হয়েছে
পাকিস্তান নিজেদের তিন বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রের হামলার কড়া জবাব দেওয়ার কথা জানিয়েছে। দেশটি বলেছে, ভারতে ও ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে শনিবার (১০ মে) গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সামরিক স্থাপনায় পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন বুনইয়ান-উন-মারসুস।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, এর মধ্যে একটি পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের অমৃতসরের বিয়াস এলাকায়। এখানে ভারতের ‘ব্রহ্মোস’ ক্ষেপণাস্ত্রের মজুতাগার রয়েছে।
ব্রহ্মোস’ সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। সামরিক যান, সাবমেরিন ও জাহাজ থেকে এ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা যায়। ছোড়া যায় যুদ্ধবিমান থেকেও। ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র সর্বোচ্চ ৮০০ কিলোমিটার বা ৪৯৭ মাইল দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
‘ব্রহ্মোস’ সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। সামরিক যান, সাবমেরিন ও জাহাজ থেকে এ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা যায়। ছোড়া যায় যুদ্ধবিমান থেকেও।
ব্রহ্মোস অ্যারোস্পেস নামের একটি প্রতিষ্ঠান এ ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত। এটি ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) ও রাশিয়ার রকেট ডিজাইন ব্যুরো এনপিও মাশিনোসট্রোয়েনিয়ার একটি যৌথ উদ্যোগ।
ভারতের ব্রহ্মপুত্র নদ ও রাশিয়ার মস্কভা নদীর নামের সঙ্গে মিলিয়ে এ সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের নাম রাখা হয়েছে ব্রহ্মোস।
এদিকে আরবি শব্দ ‘বুনইয়ান-উন-মারসুস’–এর অর্থ ‘সুদৃঢ় প্রাচীর’। আজ পাকিস্তানের তিন বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার উল্লেখ করে পাকিস্তান সরকার এক বিবৃতিতে বলে, ভারত আমাদের দেশ, জনগণ ও সার্বভৌমত্বের ওপর হামলা চালিয়েছে। তাই আমরা এই জবাব দিয়েছি।
বিবিসির খবরে জানা যায়, পাকিস্তানি বাহিনীর পাল্টা হামলার বিষয়ে ভারত এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।
ভারতের সামরিক স্থাপনায় পাল্টা হামলার কথা জানাল পাকিস্তান, কাশ্মীরে বিস্ফোরণের শব্দ
কাশ্মীরের পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এর দায় পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে আসছে ভারত, যদিও তা নাকচ করেছে পাকিস্তান। এ ঘটনার জেরে পাল্টাপাল্টি বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে দেশ দুটি।
এমন উত্তেজনার মধ্যে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাকিস্তান ও দেশটির নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হামলা চালায় ভারত। ওই অভিযানের নাম ছিল ‘অপরারেশন সিঁদুর’। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে চলছে পাল্টাপাল্টি হামলা। হামলায় ব্যবহার করা হচ্ছে যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন।