গাজায় ইসরায়েলের হামলায় একদিনে নিহত আরও ১১৫

- আপডেট সময় ১০:৩৮:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
- / ২৫২ বার পড়া হয়েছে
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বিমান অভিযানে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নিহত হয়েছেন আরও ১১৫ জন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২১৬ জন। এ তথ্য এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
তবে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। কারণ অনেকেই ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়ে আছেন। তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলা হয়েছে বিবৃতিতে।
আইডিএফ ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে। শুক্রবারের অভিযানের পর গত দেড় বছরে উপত্যকায় মোট নিহত ও আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে যথাক্রমে ৫৩ হাজার ১১৯ জন। আহত হয়েছেন এক লাখ ২০ হাজার ২১৪ জন। এই নিহত এবং আহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায়। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে এক হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।
ইসরায়েলি বাহিনী হামাসের হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল।
কিন্তু আইডিএফ বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় অভিযান শুরু করে। দ্বিতীয় দফার এ অভিযানে গত প্রায় দুই মাসে দিনে গাজায় নিহত হয়েছেন দুই হাজার ৯৮৫ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও আট হাজার ১৭৩ জন।
যে ২৫১ জন জিম্মিকে হামাসের যোদ্ধারা ধরে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে এখনও অন্তত ৩৫ জন জীবিত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করার ঘোষণা দিয়েছে আইডিএফ।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য আহ্বান জানিয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
তবে নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করা এই অভিযানের লক্ষ্য এবং লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে গাজায়।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি, আলজাজিরা