ঢাকা ০৬:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

কাপাসিয়ায় সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ১২:৩১:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
  • / ২৫৭ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির নেতাকর্মীরা গাজীপুরের কাপাসিয়ায় সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছেন। এ সময় এক সাংবাদিককে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছিনিয়ে নেওয়া হয় ক্যামেরা-ল্যাপটপসহ অন্যান্য সরঞ্জাম। এ ঘটনায় বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীসহ ১২ জন আহত হয়েছেন।

কাপাসিয়ার চাঁদপুর ইউনিয়নে চেরাগআলী মোড় এলাকায় শনিবার (১৭ মে) বেলা দুটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন যমুনা টিভির ক্যামেরাপার্সন রকি হোসেন (২৬)। তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে আহত অন্যদের নাম জানা যায়নি।

জানা গেছে, উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী মোড় এলাকায় কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাখাওয়াত হোসেন সেলিম।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মতবিনিময় সভা বেলা দেড়টার দিকে শেষ হয়। এ সময় কাপাসিয়া থেকে ২০-২৫টি মোটরসাইকেল ঘটনাস্থলে আসে। তারা গাজীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক শাহ রিয়াজুল হান্নানের নাম ধরে স্লোগান দিতে থাকে। পরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।

তারা চেয়ার, টেবিল, মাইক, সাউন্ড বক্স ও প্যান্ডেল গুঁড়িয়ে দেয়। একপর্যায়ে তারা একটি কক্ষে বসে থাকা সাংবাদিকদের ওপরে চড়াও হয় ও হামলা চালায়। এ সময় যমুনা টিভির ক্যামেরাপার্সন রকি হোসেন ক্যামেরা দিয়ে ছবি ধারণ করতে গেলে তাকে বিএনপির নেতাকর্মীরা ধরে নিয়ে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করতে থাকে।

হামলাকারীরা যমুনা টিভির ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, আইডি কার্ড, লাইভ ডিভাইস ও ল্যাপটপ নিয়ে গেছে।

পরে অন্য সাংবাদিকরা রকিকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাখাওয়াত হোসেন সেলিম জানান, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে একটি মতবিনিময় সভা করছিলাম। সভা শেষ হওয়ার আধাঘণ্টা পর কাপাসিয়া থেকে ২০-২৫টি মোটরসাইকেলে একদল নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে এসে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। তারা প্যান্ডেল, মাইক ও আসবাবপত্র ব্যাপক ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে তারা সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়ে যমুনা টিভির ক্যামেরাপার্সনকে বেধড়ক মারধর করে আহত করে। তিনি এ ঘটনায় দোষীদের শাস্তি ও বিচারের দাবি জানান।

গাজীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক শাহ রিয়াজুল হান্নান বলেন, কারা হামলা করেছে বিষয়টি আমার জানা নেই। যারা ওই সভার আয়োজন করেছিলেন এই ঘটনার জন্য তাদেরকেই দায়দায়িত্ব নিতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

কাপাসিয়ায় সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা

আপডেট সময় ১২:৩১:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

বিএনপির নেতাকর্মীরা গাজীপুরের কাপাসিয়ায় সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছেন। এ সময় এক সাংবাদিককে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছিনিয়ে নেওয়া হয় ক্যামেরা-ল্যাপটপসহ অন্যান্য সরঞ্জাম। এ ঘটনায় বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীসহ ১২ জন আহত হয়েছেন।

কাপাসিয়ার চাঁদপুর ইউনিয়নে চেরাগআলী মোড় এলাকায় শনিবার (১৭ মে) বেলা দুটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন যমুনা টিভির ক্যামেরাপার্সন রকি হোসেন (২৬)। তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে আহত অন্যদের নাম জানা যায়নি।

জানা গেছে, উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী মোড় এলাকায় কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাখাওয়াত হোসেন সেলিম।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মতবিনিময় সভা বেলা দেড়টার দিকে শেষ হয়। এ সময় কাপাসিয়া থেকে ২০-২৫টি মোটরসাইকেল ঘটনাস্থলে আসে। তারা গাজীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক শাহ রিয়াজুল হান্নানের নাম ধরে স্লোগান দিতে থাকে। পরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।

তারা চেয়ার, টেবিল, মাইক, সাউন্ড বক্স ও প্যান্ডেল গুঁড়িয়ে দেয়। একপর্যায়ে তারা একটি কক্ষে বসে থাকা সাংবাদিকদের ওপরে চড়াও হয় ও হামলা চালায়। এ সময় যমুনা টিভির ক্যামেরাপার্সন রকি হোসেন ক্যামেরা দিয়ে ছবি ধারণ করতে গেলে তাকে বিএনপির নেতাকর্মীরা ধরে নিয়ে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করতে থাকে।

হামলাকারীরা যমুনা টিভির ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, আইডি কার্ড, লাইভ ডিভাইস ও ল্যাপটপ নিয়ে গেছে।

পরে অন্য সাংবাদিকরা রকিকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাখাওয়াত হোসেন সেলিম জানান, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে একটি মতবিনিময় সভা করছিলাম। সভা শেষ হওয়ার আধাঘণ্টা পর কাপাসিয়া থেকে ২০-২৫টি মোটরসাইকেলে একদল নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে এসে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। তারা প্যান্ডেল, মাইক ও আসবাবপত্র ব্যাপক ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে তারা সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়ে যমুনা টিভির ক্যামেরাপার্সনকে বেধড়ক মারধর করে আহত করে। তিনি এ ঘটনায় দোষীদের শাস্তি ও বিচারের দাবি জানান।

গাজীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক শাহ রিয়াজুল হান্নান বলেন, কারা হামলা করেছে বিষয়টি আমার জানা নেই। যারা ওই সভার আয়োজন করেছিলেন এই ঘটনার জন্য তাদেরকেই দায়দায়িত্ব নিতে হবে।