দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় এক নতুন পরিবর্তন আসছে। এখন থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাত্যহিক সমাবেশে শিক্ষার্থীরা নতুন একটি শপথ বাক্য পাঠ করবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাত্যহিক সমাবেশে নতুন শপথ বাক্য পাঠ করানোর নির্দেশনা দিয়েছে। বুধবার, ২১ মে, ২০২৫ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, “সাম্যের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে দেশপ্রেমকে উদ্বুদ্ধ করতে” এই শপথটি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাত্যহিক সমাবেশে পাঠ করানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।

নতুন শপথ বাক্যটি হলো:

“আমি শপথ করিতেছি যে, মানুষের সেবায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখিব। দেশের প্রতি অনুগত থাকিব। দেশের একতা ও সংহতি বজায় রাখিবার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকিব। অন্যায় ও দুর্নীতি করিব না এবং অন্যায় ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিব না। হে মহান আল্লাহ/মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে শক্তি দিন, আমি যেন বাংলাদেশের সেবা করিতে পারি এবং বাংলাদেশকে একটি আদর্শ, বৈষম্যহীন ও শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসাবে গড়িয়া তুলিতে পারি। আমিন।”

এই শপথ বাক্য পরিবর্তনের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। গত বছরের ১৯ আগস্ট, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সব সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পিটিআইয়ের প্রাত্যহিক সমাবেশেও শপথ পরিবর্তন করা হয়েছিল।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে স্কুল পর্যায়ে এটি বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

সেখানে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর যে শপথ বাক্য পাঠের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়, তা ছিল: “আমি শপথ করিতেছি যে, মানুষের সেবায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখিব। দেশের প্রতি অনুগত থাকিব। দেশের একতা ও সংহতি বজায় রাখিবার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকিব। হে মহান আল্লাহ মহান সৃষ্টিকর্তা, আমাকে শক্তি দিন, আমি যেন বাংলাদেশের সেবা করিতে পারি এবং বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী ও আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে গড়িয়া তুলিতে পারি। আমিন।”

এবার মাধ্যমিক পর্যায়ের শপথ বাক্য পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রাথমিকের শপথ বাক্য থেকে এই নতুন শপথে কিছুটা সংযোজন আনা হয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সংযোজন হলো, “অন্যায় ও দুর্নীতি করিব না এবং অন্যায় ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিব না” অংশটি। এটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সততা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির একটি স্পষ্ট বার্তা বহন করে।