বিদায় জানালেন ডি ব্রুইনা

- আপডেট সময় ০৭:২১:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
- / ২৫৮ বার পড়া হয়েছে
কেভিন ডে ব্রুইনা ম্যানচেস্টার সিটির হোম ভেন্যু ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। হাজার হাজার স্বাগতিক ভক্ত-দর্শকদের হাসিয়েছেন আবার কাঁদিয়েছেনও। ডি ব্রুইনা ইতিহাদে শেষ ম্যাচে ম্যানসিটিকে জয় উপহার দিয়েছেন। আবার যখন মাঠ ছাড়ছিলেন তখন মনের অজান্তেই অনেকে ভক্তের চোখের কোণায় পানিও এসেছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) প্রিমিয়ার লিগে বোর্নমাউথের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জিতেছে ম্যানসিটি। স্বাগতিকদের হয়ে গোল করেছেন ওমর মারমুশ, বার্নার্দো সিলভা এবং নিকো গঞ্জালেজ। এই জয়ে পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে আসে সিটি।
ম্যানসিটির পয়েন্ট এখন ৬৮। মৌসুমের এক ম্যাচ হাতে রেখে তারা নিউক্যাসল ইউনাইটেড, চেলসি এবং অ্যাস্টন ভিলার চেয়ে দুই পয়েন্ট এগিয়ে আছে।
উভয় দলই ১০ জন করে খেলোয়াড় নিয়ে ম্যাচ শেষ করে। ৬৭ মিনিটে সিটির মাতেও কোভাচিচ লাল কার্ড দেখেন, পরে ৭৩ মিনিটে বোর্নমাউথের লুইস কুকও লাল কার্ড দেখেন।
ঘটনাবহুল এই ম্যাচে মূল আকর্ষণ ছিলেন ম্যানসিটি অধিনায়ক কেভিন ডি ব্রুইনা। সিটির হয়ে দশ বছরের গৌরবময় ক্যারিয়ার শেষে এটি ছিল ইতিাহাদে তার আবেগঘন বিদায়ী ম্যাচ। তাকে সম্মান জানিয়ে একটি দেওয়ালচিত্র তৈরি করা হয়েছে। যা ডি ব্রুইনাকে ইয়ায়া তুরে, জো হার্ট, ডেভিড সিলভা, ভিনসেন্ট কোম্পানি, সার্জিও আগুয়েরো, ফার্নানদিনহো এবং ইলকাই গুনদোগানের কাতারে স্থান দিয়েছে।
ডি ব্রুইনা প্রথমার্ধে অবিশ্বাস্য গোল মিস করেন । মারমুশের একটি নিচু ক্রস তিনি খুব কাছ থেকে ক্রসবারে মেরে বসেন এবং হতাশায় মাথা চেপে বসে পড়েন।
ওই মিস নিয়ে পরে বেলজিয়ান তারকা বলেন, আমি ভেবেছিলাম বলটা ঠিক আমার কাছে আসবে, তাই তৈরি ছিলাম। কিন্তু এটা ভয়ংকর ছিল। কোনো অজুহাত নেই। আমার ছেলে আজ আমাকে খুব কঠিন প্রশ্ন করবে।
৬৯ মিনিটে ডে ব্রুইন যখন পরিবর্তিত খেলোয়াড় হিসেবে মাঠ ছাড়েন, তখন পুরো স্টেডিয়াম দাঁড়িয়ে তাকে অভিবাদন জানায়। এরপর তিনি মাঠেই থাকেন, ভক্তদের উদ্দেশে হাত নাড়েন এবং স্টেডিয়ামের পর্দায় তার জন্য তৈরি একটি শ্রদ্ধা ভিডিও ‘কিং কেভ’ দেখানো হয়।
২০১৫ সালে সিটিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে ডি ব্রুইনা ১৬টি শিরোপা জিতেছেন। যার মধ্যে আছে ছয়টি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা এবং ২০২৩ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগ।
লিগের ইতিহাসে অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার হিসেবে বিবেচিত ডি ব্রুইনা সিটির সাফল্যের কেন্দ্রে ছিলেন। যদিও সাম্প্রতিক মৌসুমগুলোতে চোটের কারণে ভুগেছেন। ৩৩ বছর বয়সী এই ফুটবলার স্বীকার করেছেন, নতুন চুক্তি না পাওয়ায় তিনি কিছুটা বিস্মিত হয়েছেন। তবে এখনও নিজেকে প্রিমিয়ার লিগে খেলার যোগ মনে করেন।
মারমুশ ১৪ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করেন। প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে নেওয়া তার শট বাঁ দিকের উপরের কোন দিয়ে জালে প্রবেশ করে। ৩৮ মিনিটে সিলভা ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। গুনদোগান একটি ব্যাকপাস করে দেন এবং কাছ থেকেই সিলভা সেটি পোস্টে ঠেলে দেন।
৮৯ মিনিটে গঞ্জালেজ ডিপ থেকে দৌড়ে ম্যানসিটির তৃতীয় গোলটি করেন। শেষ মুহূর্তে বোর্নমাউথের হয়ে সান্ত্বনাসূচক গোল করেন ড্যানিয়েল জেবিসন।
এই ম্যাচ দিয়ে দীর্ঘ আট মাস পর মাঠে ফেরেন মিডফিল্ডার রদ্রি। ২০২৪ সালের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই খেলোয়াড় গত সেপ্টেম্বরে হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে মাঠ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন। তাকেও দর্শকরা দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা জানান।