ঢাকা ০৬:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

রশিক খানকে বেধরক পেটালেন মার্শ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০১:৩০:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
  • / ২৫১ বার পড়া হয়েছে

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা বোলার। অফস্পিনারদের মধ্যে এক নম্বর। রশিদ খানের বল মানেই ব্যাটারদের নাকানি-চুবানি খাওয়া। সেই রশিদকেই বৃহস্পতিবার (২২ মে) পাড়ার মানের বোলার বানিয়ে ফেললেন মিচেল মার্শ।

৬, ৪, ৬, ৪, ৪, ১-রশিদের এক ওভারে এই হলো মার্শের রান। অর্থাৎ তিনটি চার ও দুটি ছক্কাসহ এক ওভারেই ২৫ রান নিয়েছেন মার্শ।

মার্শের এই তাণ্ডব অবশ্য টের পেয়েছেন গুজরাট টাইটান্সের বাকি বোলাররাও। ৬৪ বলে ১১৭ রানের দানবীয় এক ইনিংস উপহার দেন লখনৌ সুপার জায়ান্টসের এই অসি ব্যাটার। ইনিংসে ১০টি চারের সঙ্গে হাঁকান ৮টি ছক্কা।

ইনিংসের ১২তম ওভারে গুজরাট প্রথমবার বল করতে ডাকে রশিদ খানকে। আফগান লেগস্পিনারের প্রথম বলে ছক্কা মারেন মার্শ। দ্বিতীয় বলে চার মারেন তিনি। তৃতীয় বলে ফের ছক্কা। চতুর্থ ও পঞ্চম বলে পরপর দুটি চার মারেন অসি তারকা। শেষ বলে এক রান নেন মার্শ।

আইপিএলের ইতিহাসে রশিদ খানের এটি সব থেকে খরুচে ওভারের তালিকায় তিন নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে। রশিদ এর আগে ২০২৪ আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে এক ওভারে ২৯ রান খরচ করেছিলেন। তার আগে ২০১৮ আইপিএলে পাঞ্জাবের বিপক্ষে এক ওভারে ২৭ রান দেন আফগান তারকা।

ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে রশিদের সব থেকে খরুচে ওভারের তালিকায় এটি ছয় নম্বরে। রশিদ লখনৌর বিপক্ষে এই ম্যাচে দুই ওভার বল করে মোট ৩৬ রান খরচ করেন। কোনও উইকেট পাননি।

মার্শের এই বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের দিনে টেবিল টপার গুজরাটকে ৩৩ রানে হারিয়েছে লখনৌ। প্রথমে ব্যাট করে মার্শের সেঞ্চুরিতে ভর করে দুই উইকেটে ২৩৫ রান তুলেছিল তারা। এছাড়া নিকোলাস পুরান করেন ২৭ বলে চার বাউন্ডারি আর পাঁচ ছক্কায় অপরাজিত ৫৬।

জবাবে গিল-বাটলার-শাহরুখদের ব্যাটে টেক্কা দিলেও ৯ উইকেটে ২০২ রানের বেশি করতে পারেনি গুজরাট। গিল ২০ বলে ৩৫, বাটলার ১৮ বলে ৩৩, শেরফান রাদারফোর্ড ২২ বলে করেন ৩৮ রান। শাহরুখের ব্যাট থেকে আসে ২৯ বলে ৫৭।

নিউজটি শেয়ার করুন

রশিক খানকে বেধরক পেটালেন মার্শ

আপডেট সময় ০১:৩০:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা বোলার। অফস্পিনারদের মধ্যে এক নম্বর। রশিদ খানের বল মানেই ব্যাটারদের নাকানি-চুবানি খাওয়া। সেই রশিদকেই বৃহস্পতিবার (২২ মে) পাড়ার মানের বোলার বানিয়ে ফেললেন মিচেল মার্শ।

৬, ৪, ৬, ৪, ৪, ১-রশিদের এক ওভারে এই হলো মার্শের রান। অর্থাৎ তিনটি চার ও দুটি ছক্কাসহ এক ওভারেই ২৫ রান নিয়েছেন মার্শ।

মার্শের এই তাণ্ডব অবশ্য টের পেয়েছেন গুজরাট টাইটান্সের বাকি বোলাররাও। ৬৪ বলে ১১৭ রানের দানবীয় এক ইনিংস উপহার দেন লখনৌ সুপার জায়ান্টসের এই অসি ব্যাটার। ইনিংসে ১০টি চারের সঙ্গে হাঁকান ৮টি ছক্কা।

ইনিংসের ১২তম ওভারে গুজরাট প্রথমবার বল করতে ডাকে রশিদ খানকে। আফগান লেগস্পিনারের প্রথম বলে ছক্কা মারেন মার্শ। দ্বিতীয় বলে চার মারেন তিনি। তৃতীয় বলে ফের ছক্কা। চতুর্থ ও পঞ্চম বলে পরপর দুটি চার মারেন অসি তারকা। শেষ বলে এক রান নেন মার্শ।

আইপিএলের ইতিহাসে রশিদ খানের এটি সব থেকে খরুচে ওভারের তালিকায় তিন নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে। রশিদ এর আগে ২০২৪ আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে এক ওভারে ২৯ রান খরচ করেছিলেন। তার আগে ২০১৮ আইপিএলে পাঞ্জাবের বিপক্ষে এক ওভারে ২৭ রান দেন আফগান তারকা।

ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে রশিদের সব থেকে খরুচে ওভারের তালিকায় এটি ছয় নম্বরে। রশিদ লখনৌর বিপক্ষে এই ম্যাচে দুই ওভার বল করে মোট ৩৬ রান খরচ করেন। কোনও উইকেট পাননি।

মার্শের এই বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের দিনে টেবিল টপার গুজরাটকে ৩৩ রানে হারিয়েছে লখনৌ। প্রথমে ব্যাট করে মার্শের সেঞ্চুরিতে ভর করে দুই উইকেটে ২৩৫ রান তুলেছিল তারা। এছাড়া নিকোলাস পুরান করেন ২৭ বলে চার বাউন্ডারি আর পাঁচ ছক্কায় অপরাজিত ৫৬।

জবাবে গিল-বাটলার-শাহরুখদের ব্যাটে টেক্কা দিলেও ৯ উইকেটে ২০২ রানের বেশি করতে পারেনি গুজরাট। গিল ২০ বলে ৩৫, বাটলার ১৮ বলে ৩৩, শেরফান রাদারফোর্ড ২২ বলে করেন ৩৮ রান। শাহরুখের ব্যাট থেকে আসে ২৯ বলে ৫৭।