ঢাকা ০৯:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না: বিশেষ সহকারী

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৩:৩৬:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
  • / ২৫৭ বার পড়া হয়েছে

ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করবেন না বলে জানিয়েছেন তার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।ড. ইউনূসের ‘ক্ষমতা প্রয়োজন নেই’ উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, কিন্তু বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ডেমোক্রেটিক ট্রাঞ্জিশনের জন্য ড. ইউনূস স্যারের দরকার আছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শুক্রবার (২৩ মে) দুপুরে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা জানান।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করতে পারেন এমন খবরে বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় তার সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এর একদিন পরই প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না বলে জানালেন বিশেষ সহকারী।

স্ট্যাটাসে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, ক্যাবিনেটকে আরও গতিশীল হতে হবে। সরকারকে আরও বেশি ফাংশনাল হতে হবে। উপদেষ্টাদের আরও বেশি কাজ করতে হবে। দৃশ্যমান অগ্রগতি জনতার সামনে উপস্থাপন করতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত থাকতে পারে না। আমাদের দেখাতে হবে যে, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীতে জনতার সম্মতিতে ক্ষমতায় এসে প্রফেসর (ড. ইউনূস) সাফল্য দেখিয়েছেন। বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সম্মান আছে, এটি রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।

তিনি বলেন, আমি মনে করি, সরকারকে এখন থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে আলোচনায় বসতে হবে, নিয়মিত বসে এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত চাইতে হবে। কোনো ধরনের বিচ্ছিন্নতা কাম্য নয়।

সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, পাশাপাশি সেনাবাহিনীও রাজনীতিতে নাক গলাতে পারবে না। আজকের দুনিয়ায় কোনো সভ্য দেশের সেনাবাহিনী রাজনীতি করে না। তাই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের বক্তব্যে সেনাপ্রধান জুরিশডিকশনাল কারেক্টনেস রক্ষা করতে পারেননি। তবে সেনাবাহিনীকে প্রাপ্য সম্মান দেখাতে হবে, আস্থায় রাখতে হবে। সেনাবাহিনী প্রশ্নে হুট করে কিছু করা যাবে না, হঠকারী কিছু করা যাবে না। তেমনই, ইনক্লুসিভনেসের নাম করে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনও চাওয়া যাবে না। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব এবং আস্থার জায়গা সেটা কেউ ভঙ্গ করবে না।

তিনি বলেন, দরকারি প্রস্তুতি শেষ করে নির্বাচন এপ্রিল-মে’র কোনো সময়ে অনুষ্ঠিত হবে বলেই আশা করি। তবে এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। এ সময়ে সব যৌক্তিক সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে, করতে হবে জুলাই সনদ। তবে ডিসেম্বর থেকে জুনে দেওয়া রোডম্যাপ মতে নির্বাচনের এক্সাক্ট ডেট ঘোষণার এখতিয়ার শুধুমাত্র স্যারের (ড. ইউনূসের)। স্যারের এখতিয়ার অন্য কেউ হাইজ্যাক করতে পারবে না। স্যারকে যখন আনা হয়েছে, তখন বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে স্যার বলেছেন, আমার কথা শুনতে হবে।

বিশেষ সহকারী আরও বলেন, জুলাই-আগস্ট ২৫ এ আমরা জাতীয়ভাবে দুই মাস জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তির উদযাপন করব, ইনশাল্লাহ্। এবং আগস্টের মধ্যেই স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার বিচারের প্রথম রায়টি আলোর মুখ দেখতে পাবে বলেও আশা প্রকাশ করি। ইনশাআল্লাহ্ আমরা হারব না, আমাদের হারানো যাবে না। ইনকিলাব জিন্দাবাদ। প্রফেসর ইউনূস জিন্দাবাদ। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না: বিশেষ সহকারী

আপডেট সময় ০৩:৩৬:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করবেন না বলে জানিয়েছেন তার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।ড. ইউনূসের ‘ক্ষমতা প্রয়োজন নেই’ উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, কিন্তু বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ডেমোক্রেটিক ট্রাঞ্জিশনের জন্য ড. ইউনূস স্যারের দরকার আছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শুক্রবার (২৩ মে) দুপুরে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা জানান।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করতে পারেন এমন খবরে বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় তার সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এর একদিন পরই প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না বলে জানালেন বিশেষ সহকারী।

স্ট্যাটাসে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, ক্যাবিনেটকে আরও গতিশীল হতে হবে। সরকারকে আরও বেশি ফাংশনাল হতে হবে। উপদেষ্টাদের আরও বেশি কাজ করতে হবে। দৃশ্যমান অগ্রগতি জনতার সামনে উপস্থাপন করতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত থাকতে পারে না। আমাদের দেখাতে হবে যে, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীতে জনতার সম্মতিতে ক্ষমতায় এসে প্রফেসর (ড. ইউনূস) সাফল্য দেখিয়েছেন। বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সম্মান আছে, এটি রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।

তিনি বলেন, আমি মনে করি, সরকারকে এখন থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে আলোচনায় বসতে হবে, নিয়মিত বসে এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত চাইতে হবে। কোনো ধরনের বিচ্ছিন্নতা কাম্য নয়।

সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, পাশাপাশি সেনাবাহিনীও রাজনীতিতে নাক গলাতে পারবে না। আজকের দুনিয়ায় কোনো সভ্য দেশের সেনাবাহিনী রাজনীতি করে না। তাই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের বক্তব্যে সেনাপ্রধান জুরিশডিকশনাল কারেক্টনেস রক্ষা করতে পারেননি। তবে সেনাবাহিনীকে প্রাপ্য সম্মান দেখাতে হবে, আস্থায় রাখতে হবে। সেনাবাহিনী প্রশ্নে হুট করে কিছু করা যাবে না, হঠকারী কিছু করা যাবে না। তেমনই, ইনক্লুসিভনেসের নাম করে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনও চাওয়া যাবে না। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব এবং আস্থার জায়গা সেটা কেউ ভঙ্গ করবে না।

তিনি বলেন, দরকারি প্রস্তুতি শেষ করে নির্বাচন এপ্রিল-মে’র কোনো সময়ে অনুষ্ঠিত হবে বলেই আশা করি। তবে এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। এ সময়ে সব যৌক্তিক সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে, করতে হবে জুলাই সনদ। তবে ডিসেম্বর থেকে জুনে দেওয়া রোডম্যাপ মতে নির্বাচনের এক্সাক্ট ডেট ঘোষণার এখতিয়ার শুধুমাত্র স্যারের (ড. ইউনূসের)। স্যারের এখতিয়ার অন্য কেউ হাইজ্যাক করতে পারবে না। স্যারকে যখন আনা হয়েছে, তখন বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে স্যার বলেছেন, আমার কথা শুনতে হবে।

বিশেষ সহকারী আরও বলেন, জুলাই-আগস্ট ২৫ এ আমরা জাতীয়ভাবে দুই মাস জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তির উদযাপন করব, ইনশাল্লাহ্। এবং আগস্টের মধ্যেই স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার বিচারের প্রথম রায়টি আলোর মুখ দেখতে পাবে বলেও আশা প্রকাশ করি। ইনশাআল্লাহ্ আমরা হারব না, আমাদের হারানো যাবে না। ইনকিলাব জিন্দাবাদ। প্রফেসর ইউনূস জিন্দাবাদ। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।