শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে ছয় লাখ মুসল্লির সমাগম

- আপডেট সময় ০৪:২৫:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫
- / ২৪ বার পড়া হয়েছে
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে এবার ঈদুল ফিতরের জামাতে প্রায় ছয় লাখ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেছেন, যা পূর্বের বছরের তুলনায় লক্ষাধিক বেশি।
ঈদের আগের দিন থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। ঈদের দিন ভোর থেকেই কিশোরগঞ্জসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে মুসল্লিদের ঢল নামে ঈদগাহ অভিমুখে।
সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এই বিশাল জামাতের ইমামতি করেন বড় বাজার জামে মসজিদের খতিব মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। শোলাকিয়ার দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য অনুযায়ী তিন দফা গুলি ছুঁড়ে জামাত শুরুর সংকেত দেওয়া হয়। প্রথম গুলিটি ছোঁড়েন কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী।
ঈদগাহ ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেলে আশপাশের রাস্তা, সেতু, বাড়ির আঙিনা ও পতিত জমিতেও মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন। মহিলাদের জন্য পৃথক পর্দাঘেরা জামাতের ব্যবস্থা ছিল।
২০১৬ সালের জঙ্গি হামলার পর থেকেই শোলাকিয়ায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এবার প্রায় ১১শ’ পুলিশ সদস্যসহ সেনা সদস্য, পাঁচ প্লাটুন বিজিবি, র্যাব ও আনসার-ভিডিপির সদস্যরা নিরাপত্তা রক্ষায় মোতায়েন ছিলেন।
পুরো এলাকায় ৬৪টি সিসি ক্যামেরা, ক্যামেরাযুক্ত ড্রোন, ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার ও চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। মুসল্লিদের মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করে মাঠে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস ও মেডিক্যাল ক্যাম্পও প্রস্তুত রাখা হয়েছিল।
দূরবর্তী মুসল্লিদের সুবিধার জন্য ঈদ স্পেশাল ট্রেন পরিচালনা করা হয়। ময়মনসিংহ থেকে সকাল পৌনে ৬টায় ও ভৈরব থেকে সকাল ৬টায় দুটি ট্রেন কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এবং নামাজ শেষে ফিরে যায়।
জামাত শুরুর আগে পুলিশ সুপার ও ঈদগাহ কমিটির পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রতমত মুসল্লিদের শুভেচ্ছা জানান। নামাজ শেষে মোনাজাতে ইমাম বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি, দেশের সমৃদ্ধি এবং মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। এছাড়া, ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়া করা হয়।