ঢাকা ১২:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

বাংলাদেশি মেয়ে বিয়ে নিয়ে চীনা নাগরিকদের সতর্কতা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০১:৩৬:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • / ২৬৬ বার পড়া হয়েছে

সম্প্রতি ঢাকার চীনা দূতাবাস থেকে জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তি বিশ্বজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তিতে চীনা নাগরিকদের বাংলাদেশি মহিলাদের বিয়ে করার আগে অত্যন্ত সতর্ক হতে বলা হয়েছে।

গত রবিবার, ঢাকার চীনা দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল টাইমস’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, এই বিজ্ঞপ্তিতে চীনা নাগরিকদের ‘বিদেশি স্ত্রী কেনার’ ধারণার বিরুদ্ধে সতর্ক করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে, “বাংলাদেশের মহিলাদের বিয়ে করার আগে সাবধান! দেশের নাগরিকদের সতর্ক করল চীন।”

কিন্তু কী এই ‘বিদেশি স্ত্রী কেনার’ ধারণা, আর কেনই বা এটি চীনে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে? এর মূলে রয়েছে চীনের দীর্ঘদিনের এক সন্তান নীতি।

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমানোর জন্য এই নীতি গ্রহণ করা হলেও, এর ফলে দেশের জনসংখ্যার গড় বয়স ক্রমশ বাড়তে থাকে এবং নারী-পুরুষ অনুপাতের মারাত্মক ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়।

চীনের কমিউনিস্ট সরকার এই নীতি প্রত্যাহার করে একের বেশি সন্তান ধারণে উৎসাহ দিলেও, নারী-পুরুষের এই বিশাল ব্যবধানের কারণে বহু চীনা পুরুষ এখন বিয়ের জন্য অন্য দেশ থেকে জীবনসঙ্গিনী আনার পরিকল্পনা করছেন।

আর এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে একদল অসাধু চক্র, যারা অর্থের বিনিময়ে সম্ভাব্য স্ত্রী খুঁজে দেওয়ার নাম করে চালিয়ে যাচ্ছে ভয়াবহ মানবপাচার।

উদ্বেগজনক বিষয় হলো, এই মানবপাচার চক্রের শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশের বহু ‘বিবাহযোগ্য’ নারী। সম্প্রতি ‘দ্য ডেইলি স্টার’ তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, “বাংলাদেশের মহিলাদের চীনে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।

ঢাকার চীনা দূতাবাস আরও জানিয়েছে যে, এই ধরনের বেশিরভাগ বিয়েই অবৈধ। আর অবৈধ বিয়ের ফলে মানবপাচারের দায়ে জেলও হতে পারে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশি মেয়ে বিয়ে নিয়ে চীনা নাগরিকদের সতর্কতা

আপডেট সময় ০১:৩৬:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

সম্প্রতি ঢাকার চীনা দূতাবাস থেকে জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তি বিশ্বজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তিতে চীনা নাগরিকদের বাংলাদেশি মহিলাদের বিয়ে করার আগে অত্যন্ত সতর্ক হতে বলা হয়েছে।

গত রবিবার, ঢাকার চীনা দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল টাইমস’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, এই বিজ্ঞপ্তিতে চীনা নাগরিকদের ‘বিদেশি স্ত্রী কেনার’ ধারণার বিরুদ্ধে সতর্ক করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে, “বাংলাদেশের মহিলাদের বিয়ে করার আগে সাবধান! দেশের নাগরিকদের সতর্ক করল চীন।”

কিন্তু কী এই ‘বিদেশি স্ত্রী কেনার’ ধারণা, আর কেনই বা এটি চীনে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে? এর মূলে রয়েছে চীনের দীর্ঘদিনের এক সন্তান নীতি।

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমানোর জন্য এই নীতি গ্রহণ করা হলেও, এর ফলে দেশের জনসংখ্যার গড় বয়স ক্রমশ বাড়তে থাকে এবং নারী-পুরুষ অনুপাতের মারাত্মক ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়।

চীনের কমিউনিস্ট সরকার এই নীতি প্রত্যাহার করে একের বেশি সন্তান ধারণে উৎসাহ দিলেও, নারী-পুরুষের এই বিশাল ব্যবধানের কারণে বহু চীনা পুরুষ এখন বিয়ের জন্য অন্য দেশ থেকে জীবনসঙ্গিনী আনার পরিকল্পনা করছেন।

আর এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে একদল অসাধু চক্র, যারা অর্থের বিনিময়ে সম্ভাব্য স্ত্রী খুঁজে দেওয়ার নাম করে চালিয়ে যাচ্ছে ভয়াবহ মানবপাচার।

উদ্বেগজনক বিষয় হলো, এই মানবপাচার চক্রের শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশের বহু ‘বিবাহযোগ্য’ নারী। সম্প্রতি ‘দ্য ডেইলি স্টার’ তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, “বাংলাদেশের মহিলাদের চীনে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।

ঢাকার চীনা দূতাবাস আরও জানিয়েছে যে, এই ধরনের বেশিরভাগ বিয়েই অবৈধ। আর অবৈধ বিয়ের ফলে মানবপাচারের দায়ে জেলও হতে পারে।