ঢাকা ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

আইনের আওতায় আসছে আরো ১২৫ অর্থপাচারকারী

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৯:৪৯:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
  • / ২৫৫ বার পড়া হয়েছে

দেশের বাইরে পাচার হয়ে যাওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা ফেরত আনতে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রাথমিক পর্যায়ে আরও ১২৫ জন অর্থ পাচারকারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে এবার কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই ১২৫ জন নতুন করে চিহ্নিত পাচারকারীর বাইরেও যদি কারো কাছে এমন তথ্যা থাকে, তা বিএফআইইউতে জানানোর আহ্বান করা হয়েছে। এই বিশাল অঙ্কের অর্থ ফেরত আনা গেলে দেশের অর্থনীতিতে নিঃসন্দেহে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক আইনি সংস্থার মাধ্যমে এই অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ২০টি আন্তর্জাতিক ফার্ম এই প্রক্রিয়ায় আগ্রহ দেখিয়েছে। শর্ত হলো, উদ্ধার করা অর্থের একটি নির্দিষ্ট অংশ তাদের দেওয়া হবে।

অর্থাৎ, তারা নিজেদের ব্যবস্থাপনায় টাকা ফেরত আনবে এবং অর্থ বাংলাদেশের অনুকূলে আসার পরই তাদের প্রাপ্য অংশ পরিশোধ করা হবে। এর জন্য অবশ্য বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের উৎস, জালিয়াতি বা দুর্নীতির প্রমাণ এবং আদালতের মাধ্যমে নিশ্চিত তথ্য এসব আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে সরবরাহ করতে হবে।

কোন কোন দেশে এই অর্থ পাচার হয়েছে, ঋণের পরিমাণ, ঋণের বিপরীতে বন্ধকী সম্পত্তির মূল্য, ব্যবসার ধরন – সবকিছু বিশদভাবে জানাতে হবে।

১৯ মে, ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছিলেন, ব্যাংক লুট বা বিভিন্ন উপায়ে আত্মসাৎ করা প্রায় লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকার দেশিবিদেশি সম্পদ জব্দ করা হয়েছে।

এই জব্দ করা অর্থ ব্যবস্থাপনার জন্য একটি আলাদা তহবিলও তৈরি করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি, শেখ হাসিনা পরিবার এবং ১০টি ব্যবসায়ী গ্রুপের অর্থ পাচার জালিয়াতি তদন্তে ইতিমধ্যেই ১১টি যৌথ দল কাজ শুরু করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আইনের আওতায় আসছে আরো ১২৫ অর্থপাচারকারী

আপডেট সময় ০৯:৪৯:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

দেশের বাইরে পাচার হয়ে যাওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা ফেরত আনতে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রাথমিক পর্যায়ে আরও ১২৫ জন অর্থ পাচারকারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে এবার কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই ১২৫ জন নতুন করে চিহ্নিত পাচারকারীর বাইরেও যদি কারো কাছে এমন তথ্যা থাকে, তা বিএফআইইউতে জানানোর আহ্বান করা হয়েছে। এই বিশাল অঙ্কের অর্থ ফেরত আনা গেলে দেশের অর্থনীতিতে নিঃসন্দেহে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক আইনি সংস্থার মাধ্যমে এই অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ২০টি আন্তর্জাতিক ফার্ম এই প্রক্রিয়ায় আগ্রহ দেখিয়েছে। শর্ত হলো, উদ্ধার করা অর্থের একটি নির্দিষ্ট অংশ তাদের দেওয়া হবে।

অর্থাৎ, তারা নিজেদের ব্যবস্থাপনায় টাকা ফেরত আনবে এবং অর্থ বাংলাদেশের অনুকূলে আসার পরই তাদের প্রাপ্য অংশ পরিশোধ করা হবে। এর জন্য অবশ্য বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের উৎস, জালিয়াতি বা দুর্নীতির প্রমাণ এবং আদালতের মাধ্যমে নিশ্চিত তথ্য এসব আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে সরবরাহ করতে হবে।

কোন কোন দেশে এই অর্থ পাচার হয়েছে, ঋণের পরিমাণ, ঋণের বিপরীতে বন্ধকী সম্পত্তির মূল্য, ব্যবসার ধরন – সবকিছু বিশদভাবে জানাতে হবে।

১৯ মে, ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছিলেন, ব্যাংক লুট বা বিভিন্ন উপায়ে আত্মসাৎ করা প্রায় লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকার দেশিবিদেশি সম্পদ জব্দ করা হয়েছে।

এই জব্দ করা অর্থ ব্যবস্থাপনার জন্য একটি আলাদা তহবিলও তৈরি করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি, শেখ হাসিনা পরিবার এবং ১০টি ব্যবসায়ী গ্রুপের অর্থ পাচার জালিয়াতি তদন্তে ইতিমধ্যেই ১১টি যৌথ দল কাজ শুরু করেছে।