ঢাকা ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫

আজও বন্ধ চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতাল, ভোগান্তিতে রোগীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০১:১৬:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
  • / ২৫৮ বার পড়া হয়েছে

প্রতিদিন পাঁচ থেকে সাত হাজার রোগী আসতো হাসপাতালটিতে। এখন পিনপতন নীরবতা। বলছিলাম জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কথা। বন্ধ রাখা হয়েছে হাসপাতালটির প্রধান দুটি ফটক। পুলিশ সদস্যরা ভেতরে অলস সময় কাটাচ্ছেন। হাসপাতালটিতে সকাল থেকে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা ফিরে যাচ্ছেন। শনিবার (৩১ মে) জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালে গিয়ে সরেজমিনে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

স্বপন নামের একজন তার ছেলে আলামিনকে নিয়ে এসেছেন। প্রধান ফটকের সামনে কিছুক্ষণ থেকে চলে গেছেন। রেখার (৬০) এই হাসপাতালে অপারেশন হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এসে ফিরে গেছেন। আজও (শনিবার) এসে ফিরে গেলেন।

জানা গেছে, হাসপাতালটির সব সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও ভেতরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত শতাধিক যোদ্ধা অবস্থান করছেন। শুধু তাদের রান্নার জন্য দু-একজন লোক আছে। এর বাইরে হাসপাতালের কোনো স্টাফ নেই।

উল্লেখ্য, গেল জুলাই গণআন্দোলনের আহত যোদ্ধারা বুধবার নিরাপত্তার দাবিতে হাসপাতালটির চিকিৎসক নার্স কর্মকর্তা কর্মচারীদের কর্মবিরতি কর্মসূচিতে হামলা করে। এতে চিকিৎসকসহ ১৫ জন স্টাফ আহত হন। আতঙ্কে হাসপাতাল ছাড়েন চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এরপর থেকে হাসপাতালটির দখল নিয়ে আছেন জুলাই যোদ্ধারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আজও বন্ধ চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতাল, ভোগান্তিতে রোগীরা

আপডেট সময় ০১:১৬:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

প্রতিদিন পাঁচ থেকে সাত হাজার রোগী আসতো হাসপাতালটিতে। এখন পিনপতন নীরবতা। বলছিলাম জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কথা। বন্ধ রাখা হয়েছে হাসপাতালটির প্রধান দুটি ফটক। পুলিশ সদস্যরা ভেতরে অলস সময় কাটাচ্ছেন। হাসপাতালটিতে সকাল থেকে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা ফিরে যাচ্ছেন। শনিবার (৩১ মে) জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালে গিয়ে সরেজমিনে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

স্বপন নামের একজন তার ছেলে আলামিনকে নিয়ে এসেছেন। প্রধান ফটকের সামনে কিছুক্ষণ থেকে চলে গেছেন। রেখার (৬০) এই হাসপাতালে অপারেশন হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এসে ফিরে গেছেন। আজও (শনিবার) এসে ফিরে গেলেন।

জানা গেছে, হাসপাতালটির সব সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও ভেতরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত শতাধিক যোদ্ধা অবস্থান করছেন। শুধু তাদের রান্নার জন্য দু-একজন লোক আছে। এর বাইরে হাসপাতালের কোনো স্টাফ নেই।

উল্লেখ্য, গেল জুলাই গণআন্দোলনের আহত যোদ্ধারা বুধবার নিরাপত্তার দাবিতে হাসপাতালটির চিকিৎসক নার্স কর্মকর্তা কর্মচারীদের কর্মবিরতি কর্মসূচিতে হামলা করে। এতে চিকিৎসকসহ ১৫ জন স্টাফ আহত হন। আতঙ্কে হাসপাতাল ছাড়েন চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এরপর থেকে হাসপাতালটির দখল নিয়ে আছেন জুলাই যোদ্ধারা।