চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় ম্যাচ ও সিরিজ হারলো বাংলাদেশ

- আপডেট সময় ০১:৫৬:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
- / ২৫৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের ব্যাটারা আবার ব্যাট হাতে চরম ব্যর্থ হয়েছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয়দের ব্যাটিং ব্যর্থতায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও হেরেছে বাংলাদেশ। লিটন দাসের দল এই ম্যাচ হেরে সিরিজও খুইয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তান এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে শুক্রবার (৩০ মে) আগে ব্যাটিং করতে নেমে ছয় উইকেটে ২০১ রান করে পাকিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে যায় ১৯ ওভারের খেলা শেষে ১৪৪ রানে। এতে ৫৭ রানের জয় পায় পাকিস্তান।
পাকিস্তানের বিশাল রানের জবাবে শুরুটা ভালো করেছিল বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমনের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৪৪ রান করে বাংলাদেশ। এরপর ইমন আউট হয়ে যাওয়ার পর (৭ বলে ৮) ব্যাটিংয়ে ধস নামে সফরকারীদের।
দ্রুত উইকেট থেকে বিদায় নেন তানজিদ হাসান তামিম (১৯ বলে ৩৩), লিটন দাস (৯ বলে ৬), তাওহীদ হৃদয় ((৫ বলে ৫), জাকির আলী অনিক (১ বলে ০) ও শামীম হোসেন (৯ বলে ৭)।
অষ্টম উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজ ও তানজিম হাসান সাকিব ২৫ বলে ৩৩ রানের জুটি গড়েন। এই জুটিতে দলীয় সংগ্রহ ১০০ পার করে বাংলাদেশ। এরপর নবম উইকেটে ২৯ বলে ৩৪ রানের জুটি গড়েন হাছান মাহমুদ ও তানজিম হাসান সাকিব। অবশেষে এক ওভার বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।
এর আগে পাকিস্তান লাহোরে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয় । মেহেদী হাসান মিরাজ আর শামীম হোসেনের স্পিন দিয়ে দুই প্রান্ত দিয়ে আক্রমণ শুরু করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে লংঅনে বল ঠেলে তিন নিতে গিয়ে শাহিবজাদা ফারহানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হন সাইম আইয়ুব (৪)।
এরপর ফারহান আর মোহাম্মদ হারিস ৫৪ বলে ১০৩ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন পাকিস্তানকে। ২৫ বলে ৪১ করে তানজিম সাকিবের শিকার হন হারিস। ৪১ বলে চার বাউন্ডারি আর ছয় ছক্কায় ৭৪ রানের ইনিংস খেলা ফারহানকে আউট করেন রিশাদ।
এরপর সালমান আগা আর শাদাব খানকে ফেরান হাসান মাহমুদ। তবে হাসান নেওয়াজ ২৬ বলে দুই চার আর তিন ছক্কায় ৫১ রানের হার না মানা ইনিংসে পাকিস্তানকে বড় সংগ্রহ এনে দেন। ছয় উইকেটে ২০১ রান তোলে স্বাগতিকরা।
হাসান মাহমুদ ৪৭ রানে আর তানজিম সাকিব ৩৬ রানে নেন দুটি উইকেট। রিশাদ এক উইকেট পেতে খরচ করেন ৫০। তিন বল করেই চোটের কারণে মাঠ ছাড়েন শরিফুল ইসলাম। পাকিস্তানের হয়ে ১৯ রানে তিন উইকেট শিকার করেন আবরার আহমেদ।