ঢাকা ১২:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫

আইপিএলে বিরাটের বেঙ্গালুরুর ১৮ বছরের অপেক্ষার অবসান

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৫:৪০:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • / ২৫৪ বার পড়া হয়েছে

অবশেষে ১৮ বছরের অপেক্ষার অবসান হলো। বিরাট কোহলির দল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু আইপিএলে ২০০৮ থেকে শুরু করে ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রতিবারই ফেবারিটের তালিকায় থাকতো। কিন্তু প্রতিবারই দলটির সমর্থকদের হতাশ হতে হয়েছে। এমনকি বিরাট কোহলিরা এর আগে তিনবার ফাইনালে উঠেও শিরোপার নাগাল পাননি।

অবশেষে বিরাট কোহলি এবং তার দল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু পাঞ্জাব কিংসকে মাত্র ছয় রানের ব্যবধানে হারিয়ে আইপিএলে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পেলেন।

এ ফাইনাল ম্যাচে বিরাটদের জয় দেখতে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে হাজির ছিলেন। ছিলেন বেঙ্গালুরুর সাবেক ক্রিকেটার এবি ডি ভিলিয়ার্স, ক্রিস গেইলের মতো তারকারা। অবশেষে তাদের উপস্থিতি স্বার্থক। চ্যাম্পিয়ন হলো বেঙ্গালুরু।

রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু আহমেদাবাদে টস হেরে ব্যাট করতে নামে। ৯ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১৯০ রান। জবাবে ১৮৪ রানে থামতে বাধ্য হয় পাঞ্জাব কিংসকে।

পাঞ্জাব কিংস এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ফাইনাল খেললো। কিন্তু শিরোপা থাকলো অধরাই। মূলত ১৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর শুরুর দিকে কিছুটা স্লো ব্যাটিংই হারিয়ে দিলো পাঞ্জাবকে। শেষ দিকে শশাঙ্ক সিং যেভাবে দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করেছেন, তেমন যদি আর দু-একজন দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতেন, তাহলে বিজয় উদযাপনটা ভিন্ন পক্ষেও হতে পারতো।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৯ রানের। কিন্তু শশাঙ্ক সিং জস হ্যাজলউডকে শেষ চার বলে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে সংগ্রহ করেন ২২ রান। প্রথম দুই বল ডট না গেলে জিততো হয়তো পাঞ্জাবই। কিন্তু শশাঙ্ক চেষ্টা করেও পারেননি।

১৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে কিছু স্লো ব্যাটিং করে ওপেনাররা। প্রিয়ানস আরিয়া ১৯ বলে করেন ২৪ রান। ২২ বলে ২৬ রান করেন প্রাবশিরাম সিং। জস ইংলিস করেন ২৩ বলে ৩৯ রান। সবচেয়ে হতাশ করলেন অধিনায়ক স্রেয়াশ আয়ার। এক রান করে আউট হয়ে যান তিনি। নেহাল ওয়াধেরা ১৮ বল খেলে করেন ১৫ রান।

মার্কাস স্টয়নিজ নেমেই একটা ছক্কা মারলেন; কিন্তু দ্বিতীয় বলেই ফাঁদে পা দিয়ে আউট হয়ে যান থার্ডম্যানে ক্যাচ তুলে দিয়ে। আজমতউল্লাহ ওমরজাই এক রান করে আউট হন। কাইল জেমিসন দুই বল মোকাবিলা করে অপরাজিত ছিলেন। ৩০ বলে ৬১ রান করে অপরাজিত থাকনে শশাঙ্ক সিং। তিনটি বাউন্ডাররি সঙ্গে ছয়টি ছক্কার মার মারেন তিনি। ক্রুনাল পান্ডিয়া ১৭ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়ে হলেন ম্যান অব দ্য ফাইনাল।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রান করে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন বিরাট কোহলি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আইপিএলে বিরাটের বেঙ্গালুরুর ১৮ বছরের অপেক্ষার অবসান

আপডেট সময় ০৫:৪০:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

অবশেষে ১৮ বছরের অপেক্ষার অবসান হলো। বিরাট কোহলির দল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু আইপিএলে ২০০৮ থেকে শুরু করে ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রতিবারই ফেবারিটের তালিকায় থাকতো। কিন্তু প্রতিবারই দলটির সমর্থকদের হতাশ হতে হয়েছে। এমনকি বিরাট কোহলিরা এর আগে তিনবার ফাইনালে উঠেও শিরোপার নাগাল পাননি।

অবশেষে বিরাট কোহলি এবং তার দল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু পাঞ্জাব কিংসকে মাত্র ছয় রানের ব্যবধানে হারিয়ে আইপিএলে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পেলেন।

এ ফাইনাল ম্যাচে বিরাটদের জয় দেখতে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে হাজির ছিলেন। ছিলেন বেঙ্গালুরুর সাবেক ক্রিকেটার এবি ডি ভিলিয়ার্স, ক্রিস গেইলের মতো তারকারা। অবশেষে তাদের উপস্থিতি স্বার্থক। চ্যাম্পিয়ন হলো বেঙ্গালুরু।

রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু আহমেদাবাদে টস হেরে ব্যাট করতে নামে। ৯ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১৯০ রান। জবাবে ১৮৪ রানে থামতে বাধ্য হয় পাঞ্জাব কিংসকে।

পাঞ্জাব কিংস এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ফাইনাল খেললো। কিন্তু শিরোপা থাকলো অধরাই। মূলত ১৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর শুরুর দিকে কিছুটা স্লো ব্যাটিংই হারিয়ে দিলো পাঞ্জাবকে। শেষ দিকে শশাঙ্ক সিং যেভাবে দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করেছেন, তেমন যদি আর দু-একজন দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতেন, তাহলে বিজয় উদযাপনটা ভিন্ন পক্ষেও হতে পারতো।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৯ রানের। কিন্তু শশাঙ্ক সিং জস হ্যাজলউডকে শেষ চার বলে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে সংগ্রহ করেন ২২ রান। প্রথম দুই বল ডট না গেলে জিততো হয়তো পাঞ্জাবই। কিন্তু শশাঙ্ক চেষ্টা করেও পারেননি।

১৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে কিছু স্লো ব্যাটিং করে ওপেনাররা। প্রিয়ানস আরিয়া ১৯ বলে করেন ২৪ রান। ২২ বলে ২৬ রান করেন প্রাবশিরাম সিং। জস ইংলিস করেন ২৩ বলে ৩৯ রান। সবচেয়ে হতাশ করলেন অধিনায়ক স্রেয়াশ আয়ার। এক রান করে আউট হয়ে যান তিনি। নেহাল ওয়াধেরা ১৮ বল খেলে করেন ১৫ রান।

মার্কাস স্টয়নিজ নেমেই একটা ছক্কা মারলেন; কিন্তু দ্বিতীয় বলেই ফাঁদে পা দিয়ে আউট হয়ে যান থার্ডম্যানে ক্যাচ তুলে দিয়ে। আজমতউল্লাহ ওমরজাই এক রান করে আউট হন। কাইল জেমিসন দুই বল মোকাবিলা করে অপরাজিত ছিলেন। ৩০ বলে ৬১ রান করে অপরাজিত থাকনে শশাঙ্ক সিং। তিনটি বাউন্ডাররি সঙ্গে ছয়টি ছক্কার মার মারেন তিনি। ক্রুনাল পান্ডিয়া ১৭ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়ে হলেন ম্যান অব দ্য ফাইনাল।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রান করে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন বিরাট কোহলি।