ঢাকা ১২:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫

হাতিয়ায় সাবেক প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৬:৩৬:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • / ২৬১ বার পড়া হয়েছে

মামলা প্রত্যাহার না করায় নোয়াখালীর হাতিয়ায় সাবেক এক প্রধান শিক্ষককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী শিক্ষক বুধবার (৪ জুন) সকালে হাতিয়া থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগকারী হাতিয়া সরকারি কে এস এস উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক শংকর চন্দ্র দাস। তার বাড়ি চরঈশ্বর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রাজের হাওলা গ্রামে। অভিযুক্ত নোবেল চন্দ্র দাস একই ইউনিয়নের যুবলীগের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি।

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জায়গা-সম্পত্তি নিয়ে শংকর চন্দ্র দাসের সঙ্গে প্রতিবেশী নোবেল চন্দ্র দাসদের বিরোধ চলছিল। প্রতিপক্ষ শিক্ষক শংকর চন্দ্র দাসকে কেনা জমি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা চালায়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, জোর করে ওই জমির ফসল ও গাছপালা কেটে নেওয়ার। এ ঘটনায় শংকর চন্দ্র দাস আদালতে দুটি মামলা করেন। একটি মামলায় নোবেল চন্দ্র দাস এক মামলায় জেলহাজতে যান।

জেল থেকে বের হয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন নোবেল দাস। শংকর দাসকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিতে থাকেন। তার ছেলেমেয়েরা ভারতে অবস্থান করায় তিনি স্ত্রীকে নিয়ে একা বাড়িতে থাকেন। এই সুযোগে গত ২৭ মে সকালে নোবেল দাস কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে শংকর দাসের বাড়ির দরজায় এসে তাকে মারধর করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যান। পরে তার স্ত্রী চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করেন। অজ্ঞান অবস্থায় সাবেক এই শিক্ষককে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার পর নিন্দার ঝড় ওঠে স্থানীয়ভাবে। আজ সকালে হাতিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে এক সংবাদ সম্মেলন করে সরকারি কে এস এস উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র আবদুর রব রাশেদ, শ্রী কৃষ্ণ দাস, মো. মিলন উদ্দিনসহ অনেকে।

বক্তারা বলেন, একজন প্রবীণ শিক্ষকের ওপর এমন হামলা অত্যন্ত মর্মান্তিক ও লজ্জাজনক। তারা দ্রুত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

এ বিষয়ে হাতিয়া থানার পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. খোরশেদ আলম জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

হাতিয়ায় সাবেক প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে

আপডেট সময় ০৬:৩৬:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

মামলা প্রত্যাহার না করায় নোয়াখালীর হাতিয়ায় সাবেক এক প্রধান শিক্ষককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী শিক্ষক বুধবার (৪ জুন) সকালে হাতিয়া থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগকারী হাতিয়া সরকারি কে এস এস উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক শংকর চন্দ্র দাস। তার বাড়ি চরঈশ্বর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রাজের হাওলা গ্রামে। অভিযুক্ত নোবেল চন্দ্র দাস একই ইউনিয়নের যুবলীগের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি।

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জায়গা-সম্পত্তি নিয়ে শংকর চন্দ্র দাসের সঙ্গে প্রতিবেশী নোবেল চন্দ্র দাসদের বিরোধ চলছিল। প্রতিপক্ষ শিক্ষক শংকর চন্দ্র দাসকে কেনা জমি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা চালায়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, জোর করে ওই জমির ফসল ও গাছপালা কেটে নেওয়ার। এ ঘটনায় শংকর চন্দ্র দাস আদালতে দুটি মামলা করেন। একটি মামলায় নোবেল চন্দ্র দাস এক মামলায় জেলহাজতে যান।

জেল থেকে বের হয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন নোবেল দাস। শংকর দাসকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিতে থাকেন। তার ছেলেমেয়েরা ভারতে অবস্থান করায় তিনি স্ত্রীকে নিয়ে একা বাড়িতে থাকেন। এই সুযোগে গত ২৭ মে সকালে নোবেল দাস কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে শংকর দাসের বাড়ির দরজায় এসে তাকে মারধর করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যান। পরে তার স্ত্রী চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করেন। অজ্ঞান অবস্থায় সাবেক এই শিক্ষককে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার পর নিন্দার ঝড় ওঠে স্থানীয়ভাবে। আজ সকালে হাতিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে এক সংবাদ সম্মেলন করে সরকারি কে এস এস উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র আবদুর রব রাশেদ, শ্রী কৃষ্ণ দাস, মো. মিলন উদ্দিনসহ অনেকে।

বক্তারা বলেন, একজন প্রবীণ শিক্ষকের ওপর এমন হামলা অত্যন্ত মর্মান্তিক ও লজ্জাজনক। তারা দ্রুত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

এ বিষয়ে হাতিয়া থানার পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. খোরশেদ আলম জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।