যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১১৮ বাংলাদেশিকে ফেরত

- আপডেট সময় ১২:২৬:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
- / ২৫২ বার পড়া হয়েছে
অভিবাসন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কড়াকড়ি নতুন কিছু নয়। তবে সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতির অধীনে বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে। এখন পর্যন্ত ১১৮ জন বাংলাদেশি নাগরিককে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ১১২ জন পুরুষ এবং ৭ জন নারী।
সবশেষ ঈদুল আজহার পরদিন, অর্থাৎ ৮ই জুন, একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে করে ৪২ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। এর আগে গত ৮ই এপ্রিলও একই ধরনের ফ্লাইটে আরও ৪২ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। এই তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) এবং শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন সূত্র।
ফেরত আসা এই বাংলাদেশিদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ মানবিক আচরণ করেছে বলে জানা গেছে। ইমিগ্রেশন পুলিশের একজন কর্মকর্তা সমকালকে জানিয়েছেন, ফেরত পাঠানো কোনো বাংলাদেশিকে হাতকড়া পরানো হয়নি। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মানবিক আচরণের বিষয়ে বারবার জোর দেওয়া হয়েছিল এবং যুক্তরাষ্ট্র তাতে সাড়াও দিয়েছে।
এর আগে ভারত ও ব্রাজিলের মতো অনেক দেশের নাগরিকদের হাতকড়া পরিয়ে ফেরত পাঠানোর ঘটনা গণমাধ্যমে এলে ট্রাম্প প্রশাসন সমালোচনার মুখে পড়েছিল।
তবে, ফেরত পাঠানো ৪২ জন বাংলাদেশির মধ্যে ১৬ জনের কাছে পূর্ণাঙ্গ পরিচয় নিশ্চিত করার মতো কাগজপত্র ছিল না। ফলে তাদের গ্রহণ করা নিয়ে কিছুটা জটিলতা তৈরি হলেও, পরে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ তাদের গ্রহণ করে।
ফেরত আসা কয়েকজন বাংলাদেশির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের বেশিরভাগই অবৈধ অভিবাসী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছিলেন। কেউ অভিবাসন সংক্রান্ত মামলায় হেরে যাওয়ার পরও সেদেশে ছিলেন, আবার কারও অন্য মামলায় সাজা হয়েছিল।
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর বাসিন্দা ইমরান হোসেন জানান, টেক্সাস থেকে তাদের ফ্লাইটে তোলা হয়। একই ফ্লাইটে সাব্বির আহমেদ ও সুমন নামের আরও দুই বাংলাদেশি ফিরে এসেছেন। সুমন গত বছর ১১ই আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন এবং এর জন্য দালালকে প্রায় ৬৫ লাখ টাকা দিয়েছিলেন।
কাতার হয়ে ব্রাজিল, সেখান থেকে দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস ধরে বলিভিয়া, পেরু, ইকুয়েডর, কোস্টারিকা, পানামা, হন্ডুরাস, মেক্সিকোসহ আরও কয়েকটি দেশ পাড়ি দিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় পৌঁছান। সেখানেই ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করে টেক্সাসে নিয়ে যায়। ইমরান হোসেন আরও জানান, ফ্লাইটে কোনো বাংলাদেশি নাগরিককে হাতকড়া পরানো হয়নি।
ট্রাম্প প্রশাসন শুধু অবৈধ অভিবাসীই নয়, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদকারী বিদেশি শিক্ষার্থীদেরও পর্যায়ক্রমে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে।