ঢাকা ০৬:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

ভুয়া রিপোর্ট দিলে বাদ: পর্যবেক্ষক নিবন্ধনে ইসির নতুন নিয়ম

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় ০১:২০:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
  • / ২৫২ বার পড়া হয়েছে

নির্বাচন পর্যবেক্ষণে এবার ভুয়া রিপোর্টের কোনো জায়গা নেই। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, অতীতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন দিয়েছে—এমন কোনো সংস্থা আর বাংলাদেশের কোনো নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারবে না।

নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত করা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৫-এ থাকছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। মূল কথা—যারা দায়িত্বে গাফিলতি করেছে, তাদের আর সুযোগ নেই।

ইসির নতুন নিয়মে বলা হয়েছে—যেসব সংস্থা আগের ভোটে নিবন্ধন নিয়েও মাঠে নামেনি, কিংবা কোনোরকম প্রতিবেদন জমা দেয়নি, তাদেরও এবার বাদ দেওয়া হবে। আর পর্যবেক্ষক হতে হলে আগের মতো শুধু এসএসসি নয়—এইচএসসি বা সমমান পাস হতে হবে।

তবে এখানেই শেষ নয়। নতুন একটি ধারা যুক্ত হয়েছে, যেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে— “যেসব সংস্থা ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর বা পক্ষপাতদুষ্ট প্রতিবেদন দিয়েছে, তারা ভবিষ্যতে আর নিবন্ধন পাবে না।”

জানা গেছে বর্তমানে ইসির তালিকায় নিবন্ধিত সংস্থা আছে ৯৬টি। কিন্তু এদের অনেকেই হয় ভোট পর্যবেক্ষণ করেনি, নয়তো মানহীন রিপোর্ট জমা দিয়েছে। নতুন নীতিমালা কার্যকর হলে এদের অনেকেরই নিবন্ধন বাতিল হতে পারে।

নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরাসরি বলেছেন— “কিছু কিছু সংস্থা তো বাতিল হবেই। দরকার হলে সবগুলোই বাতিল করা হবে।”

নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করা জানিপপ চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ মনে করেন— শিক্ষাগত যোগ্যতা আরও বাড়ানো উচিত। তার মতে, “ভোট দেখা সহজ নয়, প্রতিবেদনও লিখতে হয়—এটা আন্তর্জাতিক মানের দায়িত্ব।”

চলুন এক নজরে দেখি দেশের জাতীয় নির্বাচনে পর্যবেক্ষকদের অংশগ্রহণের পরিসংখ্যান:
• ২০০৮ সালে: ১৩৮টি সংস্থা, ১ লাখ ৫৯ হাজার পর্যবেক্ষক
• ২০১৮ সালে: ৮১টি সংস্থা, ২৫ হাজার ৯০০ জন
• ২০২৪ সালে: ৮০টির মতো সংস্থা, ২০ হাজার ২৫৬ জন পর্যবেক্ষক

এবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন চাইছে, পর্যবেক্ষণের মানে যেন প্রশ্ন না উঠে। তাই যারা শুধু নামে-মাত্র সংস্থা, তাদের আর মাঠে দেখা যাবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভুয়া রিপোর্ট দিলে বাদ: পর্যবেক্ষক নিবন্ধনে ইসির নতুন নিয়ম

আপডেট সময় ০১:২০:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

নির্বাচন পর্যবেক্ষণে এবার ভুয়া রিপোর্টের কোনো জায়গা নেই। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, অতীতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন দিয়েছে—এমন কোনো সংস্থা আর বাংলাদেশের কোনো নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারবে না।

নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত করা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৫-এ থাকছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। মূল কথা—যারা দায়িত্বে গাফিলতি করেছে, তাদের আর সুযোগ নেই।

ইসির নতুন নিয়মে বলা হয়েছে—যেসব সংস্থা আগের ভোটে নিবন্ধন নিয়েও মাঠে নামেনি, কিংবা কোনোরকম প্রতিবেদন জমা দেয়নি, তাদেরও এবার বাদ দেওয়া হবে। আর পর্যবেক্ষক হতে হলে আগের মতো শুধু এসএসসি নয়—এইচএসসি বা সমমান পাস হতে হবে।

তবে এখানেই শেষ নয়। নতুন একটি ধারা যুক্ত হয়েছে, যেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে— “যেসব সংস্থা ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর বা পক্ষপাতদুষ্ট প্রতিবেদন দিয়েছে, তারা ভবিষ্যতে আর নিবন্ধন পাবে না।”

জানা গেছে বর্তমানে ইসির তালিকায় নিবন্ধিত সংস্থা আছে ৯৬টি। কিন্তু এদের অনেকেই হয় ভোট পর্যবেক্ষণ করেনি, নয়তো মানহীন রিপোর্ট জমা দিয়েছে। নতুন নীতিমালা কার্যকর হলে এদের অনেকেরই নিবন্ধন বাতিল হতে পারে।

নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরাসরি বলেছেন— “কিছু কিছু সংস্থা তো বাতিল হবেই। দরকার হলে সবগুলোই বাতিল করা হবে।”

নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করা জানিপপ চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ মনে করেন— শিক্ষাগত যোগ্যতা আরও বাড়ানো উচিত। তার মতে, “ভোট দেখা সহজ নয়, প্রতিবেদনও লিখতে হয়—এটা আন্তর্জাতিক মানের দায়িত্ব।”

চলুন এক নজরে দেখি দেশের জাতীয় নির্বাচনে পর্যবেক্ষকদের অংশগ্রহণের পরিসংখ্যান:
• ২০০৮ সালে: ১৩৮টি সংস্থা, ১ লাখ ৫৯ হাজার পর্যবেক্ষক
• ২০১৮ সালে: ৮১টি সংস্থা, ২৫ হাজার ৯০০ জন
• ২০২৪ সালে: ৮০টির মতো সংস্থা, ২০ হাজার ২৫৬ জন পর্যবেক্ষক

এবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন চাইছে, পর্যবেক্ষণের মানে যেন প্রশ্ন না উঠে। তাই যারা শুধু নামে-মাত্র সংস্থা, তাদের আর মাঠে দেখা যাবে না।