০৬:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

কাশ্মীর হামলায় জড়িত দুই পাকিস্তানি নাগরিক, হামলাকারীর স্কেচ প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৪:২৪:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৩ বার পড়া হয়েছে

পর্যটনখ্যাত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের দুই নাগরিক জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠেছে। গত মঙ্গলবারের এই হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন। জড়িতদের গ্রেপ্তারে ভারতের সরকার এখন কঠোর পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে। 

জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ বৃহস্পতিবার তিন সন্দেহভাজন হামলাকারীর স্কেচ প্রকাশ করেছে। তাদের মধ্যে দুইজন পাকিস্তানের নাগরিক বলে দাবি করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,

হামলাকারীদের মধ্যে একজন হাশিম মুসা (উপাধি সুলেমান) এবং অন্যজন আলি ভাই (উপাধি তালহা ভাই) – দুজনই পাকিস্তানের নাগরিক। তৃতীয় সন্দেহভাজন আব্দুল হুসেইন থোকার স্থানীয় বাসিন্দা।

এই ঘটনায় পাকিস্তান-ভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে ভারতের পুলিশ মনে করছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে সহায়তা করলে ২০ লাখ রুপি পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হামলার নিন্দা করে বলেছেন, “সন্ত্রাসীদের কোনো রেহাই দেওয়া হবে না। আমরা তাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দেব।” তিনি আরও যোগ করেছেন, “এই হামলা শুধু কাশ্মীরের নয়, গোটা ভারতের মানুষের বিরুদ্ধে।”

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করেছে এবং সিন্ধু নদীর পানি চুক্তি স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে। পাকিস্তানি নাগরিকদের ১ মে’র মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ভারত প্রতিটি সন্ত্রাসী ঘটনার জন্য তাদের দোষারোপ করে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কাশ্মীর হামলায় জড়িত দুই পাকিস্তানি নাগরিক, হামলাকারীর স্কেচ প্রকাশ

আপডেট সময় ০৪:২৪:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

পর্যটনখ্যাত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের দুই নাগরিক জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠেছে। গত মঙ্গলবারের এই হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন। জড়িতদের গ্রেপ্তারে ভারতের সরকার এখন কঠোর পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে। 

জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ বৃহস্পতিবার তিন সন্দেহভাজন হামলাকারীর স্কেচ প্রকাশ করেছে। তাদের মধ্যে দুইজন পাকিস্তানের নাগরিক বলে দাবি করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,

হামলাকারীদের মধ্যে একজন হাশিম মুসা (উপাধি সুলেমান) এবং অন্যজন আলি ভাই (উপাধি তালহা ভাই) – দুজনই পাকিস্তানের নাগরিক। তৃতীয় সন্দেহভাজন আব্দুল হুসেইন থোকার স্থানীয় বাসিন্দা।

এই ঘটনায় পাকিস্তান-ভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে ভারতের পুলিশ মনে করছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে সহায়তা করলে ২০ লাখ রুপি পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হামলার নিন্দা করে বলেছেন, “সন্ত্রাসীদের কোনো রেহাই দেওয়া হবে না। আমরা তাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দেব।” তিনি আরও যোগ করেছেন, “এই হামলা শুধু কাশ্মীরের নয়, গোটা ভারতের মানুষের বিরুদ্ধে।”

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করেছে এবং সিন্ধু নদীর পানি চুক্তি স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে। পাকিস্তানি নাগরিকদের ১ মে’র মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ভারত প্রতিটি সন্ত্রাসী ঘটনার জন্য তাদের দোষারোপ করে।