বগুড়ায় হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড

- আপডেট সময় ০৬:৫৫:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
- / ৩ বার পড়া হয়েছে
বগুড়ায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক আজগর আলী পিয়াল হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বগুড়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক আবু হানিফ এই রায় দেন বুধবার (৩০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন বগুড়া সদর উপজেলার ছোট কুমিড়া এলাকার মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল হান্নান এবং একই এলাকার দুলু খানের ছেলে রাশেদ খান। রায়ে দুই আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
একই মামলায় দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নয়াপাড়া এলাকার নুরুন্নবী মুন্নাকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২১ মার্চ বগুড়া শহরের নিশিন্দারা মধ্যপাড়ার মহিদুল ইসলাম খোকার ছেলে আজগর আলী পিয়াল অটোরিকশা নিয়ে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন। গত ২৮ মার্চ বিকেলে শহরতলির বড় কুমিড়া হিন্দুপাড়ার কবরস্থানে তার গলিত মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।
তদন্ত চলাকালে গ্রেফতার করা হয় হত্যায় জড়িত সন্দেহে হান্নান ও রাশেদকে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার দায় স্বীকার করেন। ওই দুই আসামি জানান, অটোরিকশা ছিনিয়ে নিতে নেশার প্রলোভনে ২১ মার্চ রাতে পিয়ালকে তার অটোরিকশায় করে বড় কুমিড়া গ্রামে বিএড কলেজের পেছনে বাঁশবাগানে নিয়ে যান। সেখানে তারা মাদক সেবন করেন। একপর্যায়ে ইট দিয়ে পিয়ালের মাথায় আঘাত করলে তিনি মারা যান। পরে তারা মরদেহ পাশের পাকা কবরে ফেলে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান তারা।
ওই রাতেই অটোরিকশাটি ঘোড়াঘাটে নিয়ে বিক্রির জন্য মুন্নার কাছে রেখে আসেন আসামিরা। পরে স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রিকশার ক্রেতা নুরুন্নবী মুন্নাকে গ্রেফতার করা হয়।
বগুড়া কোর্ট ইন্সপেক্টর মোসাদ্দেক হোসেন জানান, দীর্ঘ পাঁচ বছর পর সব সাক্ষ্যপ্রমাণ পেয়ে আদালত দুজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। অপরজনের তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় অনুযায়ী আসামিদের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।