ডোলান্ড ট্রাম্প জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজকে অব্যাহতি দিলেন

- আপডেট সময় ১২:৪৭:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫
- / ৬ বার পড়া হয়েছে
ওয়াল্টজ মাইককে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তী সময়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ।বৃহস্পতিবার (১ মে) দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউজের এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন, জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী দূত হিসেবে মনোনীত করা হবে মাইক ওয়াল্টজকে। তিনি কঠোর পরিশ্রম কলেছেন আমাদের জাতির স্বার্থকে সবার ওপরে রাখতে। আমি জানি তিনি তার নতুন ভূমিকায়ও (জাতিসংঘে মার্কিন দূত হিসেবে) এভাবেই কাজ করে যাবেন।
ওয়াল্টজকে এই পরিবর্তন বিষয়ে এদিন সকালেই অবহিত করেন প্রেসিডেন্ট। পরে সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে এমনটি জানান হোয়াইট হাউজের একজন কর্মকর্তা।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনান্ড ট্রাম্প গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর তার প্রশাসনে মাইক ওয়াল্টজের এই অপসারণ সবচেয়ে বড়সড় রদবদলের ঘটনা।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর নতুন পদে আসীন হওয়ার খবর জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, অন্তর্বর্তী সময়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে পররাষ্ট্র দপ্তরেও তিনি (রুবিও) তার শক্তিশালী নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন।
মার্কো রুবিওর আগে হেনরি কিসিঞ্জার একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি রিপাবলিকান সরকারের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন।
এদিকে ওয়াল্টজ, অব্যাহতি পাওয়ার পর সামাজিক মাধ্যমে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও আমাদের মহান জাতির জন্য আমার কাজ অব্যাহত রাখতে পারব, এ কারণে আমি গভীরভাবে সম্মানিত।
গত মার্চে সামরিক হামলা সম্পর্কে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য তৈরি একটি মেসেজিং গ্রুপে অসাবধানতাবশত একটি মার্কিন ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদককে যুক্ত করেন ওয়াল্টজ। এরপর থেকৈই তার ওপর চাপ বাড়তে শুরু করে। তথ্য ফাঁস নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনে প্রভাব হারাতে থাকেন তিনি। যে গ্রুপটিতে ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ছিলেন।
খবরে জানা যায়, ওই গ্রুপ চ্যাট ওয়াল্টজ নিজেই তৈরি করেছিলেন। কিন্তু অসাবধানতাবশত গ্রুপে একজন সাংবাদিককে যুক্ত করা হয়। এপ্রিলে এ ঘটনার দায়ও নিয়েছিলেন ওয়াল্টজ। তখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে না সরালেও তার অবস্থান ধীরে ধীরে নড়বড়ে হতে থাকে।