০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৩ মে ২০২৫

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম দ্রুত নিষিদ্ধ করতে হবে: নাহিদ ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৪:০৩:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫
  • / ৬ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করে অতিদ্রুত তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে। জাতীয় প্রেসক্লাবে এবি পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে শুক্রবার (২ মে) তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একটি রায় দিয়েছে। সে রায় হলো তারা এ দেশে আর কখনো রাজনীতি করতে পারবে না। আমরা যখন বলি জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে আওয়ামী লীগের ব্যাপারে তখন উপায় হচ্ছে একটি ভোটের মাধ্যমে, অন্যটি রাজপথে তাদের অবস্থান জানান দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে, তা ৫ আগস্টে হয়েছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, একটি গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে এদেশের জনগণ মুজিববাদ ও আওয়ামী লীগকে অস্বীকার করেছে। আওয়ামী লীগের নেতারা জনরোষে পড়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এরপর আর আওয়ামী এদেশে রাজনীতি করতে পারবে না পারবে না তার আর আলোচনার প্রয়োজন নেই। রাজনীতির নৈতিক ভিত্তি হারিয়েছে তারা। এখন তার আইনি বন্দোবস্ত কী হবে, সেটাই বিষয়।

নাহিদ আরও বলেন, অতিদ্রুত তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে। তাদের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। বিচারের মাধ্যমে আমরা তাদের বিষয়ে একটি চূড়ান্ত ফয়সালা পাব।

তিনি বলেন, এবি পার্টি ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে বিভিন্ন সময় আমাদের সাহায্য করেছে। এছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দলও সহযোগিতা করেছে।

নাহিদ বলেন, যে আলোচনা নিয়ে রাজনীতি সামনে এগোচ্ছে সংস্কার, নির্বাচন ও আওয়ামী লীগের বিচার। এর কোনোটিই একে-অন্যের বিরোধী নয়। বরং এ তিনটির মাধ্যমেই গণতান্ত্রিক রূপান্তর সম্ভব।

সংস্কার বিষয়ে তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দলই সংস্কারের কথা বলছে। একটা মৌলিক সংস্কারের জায়গায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যার মাধ্যমে শাসনব্যবস্থা ও ক্ষমতা হস্তান্তর হতে পারে। তা পরিবর্তন না হলে জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন হবে না।

নাহিদ ইসলাম বলেন, সবসময় রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে নির্বাচন নিয়ে। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মের বাইরেও রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা প্রয়োজন, রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন, রাজনৈতিক দলগুলোর নিজেদের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গা অর্জন করা দরকার। তা না হলে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের যে চেষ্টা তা সম্ভব হবে না।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম দ্রুত নিষিদ্ধ করতে হবে: নাহিদ ইসলাম

আপডেট সময় ০৪:০৩:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করে অতিদ্রুত তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে। জাতীয় প্রেসক্লাবে এবি পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে শুক্রবার (২ মে) তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একটি রায় দিয়েছে। সে রায় হলো তারা এ দেশে আর কখনো রাজনীতি করতে পারবে না। আমরা যখন বলি জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে আওয়ামী লীগের ব্যাপারে তখন উপায় হচ্ছে একটি ভোটের মাধ্যমে, অন্যটি রাজপথে তাদের অবস্থান জানান দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে, তা ৫ আগস্টে হয়েছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, একটি গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে এদেশের জনগণ মুজিববাদ ও আওয়ামী লীগকে অস্বীকার করেছে। আওয়ামী লীগের নেতারা জনরোষে পড়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এরপর আর আওয়ামী এদেশে রাজনীতি করতে পারবে না পারবে না তার আর আলোচনার প্রয়োজন নেই। রাজনীতির নৈতিক ভিত্তি হারিয়েছে তারা। এখন তার আইনি বন্দোবস্ত কী হবে, সেটাই বিষয়।

নাহিদ আরও বলেন, অতিদ্রুত তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে। তাদের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। বিচারের মাধ্যমে আমরা তাদের বিষয়ে একটি চূড়ান্ত ফয়সালা পাব।

তিনি বলেন, এবি পার্টি ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে বিভিন্ন সময় আমাদের সাহায্য করেছে। এছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দলও সহযোগিতা করেছে।

নাহিদ বলেন, যে আলোচনা নিয়ে রাজনীতি সামনে এগোচ্ছে সংস্কার, নির্বাচন ও আওয়ামী লীগের বিচার। এর কোনোটিই একে-অন্যের বিরোধী নয়। বরং এ তিনটির মাধ্যমেই গণতান্ত্রিক রূপান্তর সম্ভব।

সংস্কার বিষয়ে তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দলই সংস্কারের কথা বলছে। একটা মৌলিক সংস্কারের জায়গায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যার মাধ্যমে শাসনব্যবস্থা ও ক্ষমতা হস্তান্তর হতে পারে। তা পরিবর্তন না হলে জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন হবে না।

নাহিদ ইসলাম বলেন, সবসময় রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে নির্বাচন নিয়ে। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মের বাইরেও রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা প্রয়োজন, রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন, রাজনৈতিক দলগুলোর নিজেদের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গা অর্জন করা দরকার। তা না হলে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের যে চেষ্টা তা সম্ভব হবে না।