খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানাতে দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য বিএনপির নির্দেশনা

- আপডেট সময় ০৬:১০:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
- / ২৬৪ বার পড়া হয়েছে
লন্ডনে চিকিৎসা শেষে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আগামী মঙ্গলবার (৬ মে) সকালে দেশে ফিরছেন। তার দেশে ফেরা উপলক্ষে নেতাকর্মীদের অবস্থান সম্পর্কিত নির্দেশনা দিয়েছে বিএনপি। রবিবার (৪ মে) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবীর রিজভী এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব নির্দেশনা দিয়েছেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে বেগম খালেদা জিয়া দেশে প্রত্যাবর্তন করবেন। অভ্যর্থনা জানানোর জন্য বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অবস্থান সম্পর্কে বলা হয়-মহানগর উত্তর বিএনপি বিমানবন্দর থেকে লা মেরিডিয়ান হোটেল এলাকায় থাকবে, ছাত্রদল থাকবে লা মেরিডিয়ান হোটেল থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত। যুবদল থাকবে খিলক্ষেত থেকে হোটেল রেডিশন পর্যন্ত। মহানগর দক্ষিণ বিএনপি হোটেল রেডিশন থেকে আর্মি স্টেডিয়াম এবং
স্বেচ্ছাসেবক দল আর্মি স্টেডিয়াম থেকে বনানী কবরস্থান পর্যন্ত। কৃষক দল বনানী কবরস্থান থেকে কাকলী মোড় পর্যন্ত। শ্রমিক দল কাকলী মোড় থেকে বনানী শেরাটন হোটেল পর্যন্ত। ওলামা দল, তাঁতী দল, জাসাস, মৎসজীবী দল থাকবে বনানী শেরাটন হোটেল থেকে বনানী কাঁচাবাজার পর্যন্ত। মুক্তিযোদ্ধা দল ও সকল পেশাজীবী সংগঠন থাকবেন বনানী কাঁচাবাজার থেকে গুলশান-২
পর্যন্ত। মহিলা দলকে গুলশান-২ গোলচত্বর থেকে গুলশান এভিনিউ রোডে থাকতে বলা হয়েছে। বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ গুলশান-২ গোলচত্বর থেকে গুলশান এভিনিউ রোড পর্যন্ত থাকবেন। বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাকর্মী যার যার সুবিধামতো স্থানে অবস্থান করবেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বিশেষ করে বলা হয়-বিমানবন্দর এবং চেয়ারপার্সনের বাসভবনে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। সকল নেতাকর্মী দলীয় পতাকা এবং জাতীয় পতাকা হাতে রাস্তার একপাশে দাঁড়াবেন। চেয়ারপার্সনের গাড়ির সঙ্গে মোটরসাইকেল এবং হাঁটা সম্পূর্ণরূপে নিষেধ করা হয়।
এর আগে বিএনপির চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান করে বলেন, চেয়ারপার্সনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বিএনপি মহাসচিবের নির্দেশে আমাদের জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া ৫ মে লন্ডন থেকে রওয়ানা হয়ে ৬ মে ঢাকায় পৌঁছাবেন।
তিনি আরও জানান, কাতারের আমিরের দেওয়া একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে খালেদা জিয়া লন্ডন ত্যাগ করবেন এবং পরদিন বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবেন।
খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকারের আমলে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। করোনা মহামারির সময় সরকার তাকে বিশেষ বিবেচনায় কারামুক্তি দেয়। তবে তিনি কার্যত গৃহবন্দি ছিলেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দি ছিলেন সেগুলোর রায় বাতিল করে আদালত।
এরপর এ বছরের ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে টানা ১৭ দিন লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন তিনি। এরপর গত ২৫ জানুয়ারি তাকে তারেক রহমানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। অর্ধযুগের বেশি সময় পর এবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।