পাক-ভারত উত্তেজনা: ভারত অস্ত্রের উৎপাদন বাড়িয়েছে

- আপডেট সময় ০৫:৩১:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫
- / ২৫৯ বার পড়া হয়েছে
জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের সঙ্গে সৃষ্ট তীব্র উত্তেজনার মধ্যে ভারতীয় অস্ত্র কোম্পানিগুলো তাদের আগ্নেয়াস্ত্রের উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ তাদের এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
ব্লুমবার্গ ভারতীয় সমরাস্ত্র উৎপাদনকারী কোম্পানির কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, বর্তমানের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে দেশের সমস্ত অস্ত্র ও গোলাবারুদ উৎপাদনকারী কোম্পানি তাদের পূর্বনির্ধারিত উৎপাদন লক্ষমাত্রার চেয়ে গড়ে ৫ শতাংশ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে কোম্পানিগুলোর কর্মব্যস্ততাও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজার সূচকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২২শে এপ্রিলের হামলার পর মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ভারতীয় অস্ত্র উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো তাদের সম্মিলিত বাজার মূলধনের সাথে গড়ে ৫০০ কোটি ডলার যোগ করতে সক্ষম হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২২শে এপ্রিল ভারতের জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের অনন্তনাগ জেলার পেহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় একদল সন্ত্রাসী স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে হামলা চালিয়ে ২৬ জন পর্যটককে হত্যা করে। নিহত পর্যটকদের সকলেই ছিলেন পুরুষ এবং তাদের অধিকাংশই হিন্দু ধর্মাবলম্বী।
এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারত সিন্ধু নদের পানি বণ্টন চুক্তি এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিলসহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেয়। এর জবাবে পাকিস্তানও ভারতের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ এবং ভিসা বাতিলসহ পাল্টা কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
এই দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মাঝেই গত মঙ্গলবার ভারত পাকিস্তানের অধিকৃত কাশ্মীরসহ বিভিন্ন এলাকায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে একটি সংক্ষিপ্ত সামরিক অভিযান চালায়। নয়াদিল্লির তথ্য অনুসারে, এই অভিযানে ৭০ জন নিহত হয়েছে, যদিও পাকিস্তানের দাবি নিহতের সংখ্যা ৩১ এবং আহত ৫৭ জন।
গতকাল বৃহস্পতিবার পাকিস্তান জম্মু-কাশ্মীরের জম্মু এবং রাজস্থান রাজ্যের জয়সালমিরে ড্রোন হামলা চালালেও, ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেই হামলা সফলভাবে প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এই ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপের ফলে ভারতীয় অস্ত্র কোম্পানিগুলোর উৎপাদন বৃদ্ধি একটি স্বাভাবিক প্রবণতা হিসেবেই দেখা হচ্ছে। আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির উপর এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব কতটা সুদূরপ্রসারী হবে, তা এখন পর্যবেক্ষণ করার বিষয়।