১৫ মে-র মধ্যে ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব পুতিনের

- আপডেট সময় ১২:২৫:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
- / ২৫৬ বার পড়া হয়েছে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি চান, কোনো বিলম্ব ছাড়াই, ১৫ই মে-র মধ্যেই এই আলোচনা শুরু হোক।
পুতিন বলেছেন, তারা সিরিয়াস আলোচনা করতে চান, যাতে সংঘাতের মূল কারণ দূর করে দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই শান্তির দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়।
শনিবার গভীর রাতে ক্রেমলিন থেকে দেওয়া এক বিরল ভাষণে পুতিন এই প্রস্তাব দেন। এর আগে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁসহ ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেন সফর করে রাশিয়াকে ৩০ দিনের শর্তহীন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছিলেন, মস্কো এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করবে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেছিলেন, কোনো ধরনের চাপ দেওয়া হলে তা অর্থহীন হবে।
পুতিন তার বক্তব্যে তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে আলোচনার প্রস্তাবটি এখনও বাতিল করেননি বলে জানান। তিনি বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন একটি নতুন যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে পারে। রোববার তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন।
ইউক্রেন এখনও পুতিনের এই প্রস্তাবের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। এর আগে, ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে গিয়ে সোমবার থেকে এক মাসের যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান।
ইউরোপীয় নেতাদের ‘সদিচ্ছার জোটের’ এক সভার পর এই আহ্বান জানানো হয়। সেখানে ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও পোল্যান্ডের নেতারা এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও উপস্থিত ছিলেন।
তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে আলোচনার পর এই ঘোষণা দেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প শর্তহীন যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ইউরোপীয় নেতারা রাশিয়াকে তাদের প্রস্তাব না মানলে বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞার হুমকিও দেন।
ক্রেমলিন জানায়, তারা প্রস্তাবটি বিবেচনা করছে, কিন্তু কোনো চাপের প্রতিক্রিয়ায় নয়। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা সবাই যুক্তরাষ্ট্রে একত্রিত হয়ে পুতিনকে শান্তির বিষয়ে সিরিয়াস হলে তা দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
জেলেনস্কি ইউরোপীয় নেতাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তারা কীভাবে সত্যিকারের ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করা যায়, সেদিকে নজর দেবেন।
এর কয়েক ঘণ্টা পর, পুতিন তার বক্তব্য দেন। তিনি ইউক্রেনকে মস্কোর দেওয়া তিনটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের জবাব না দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেন। এই প্রস্তাবগুলোর মধ্যে ছিল জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা ৩০ দিন স্থগিত রাখা, ইস্টার যুদ্ধবিরতি এবং গত মাসে পুতিনের যুদ্ধবিরতির নির্দেশ। ইউক্রেন এবং রাশিয়া একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে।
পুতিন বলেন, “এসব সত্ত্বেও, আমরা কিয়েভ কর্তৃপক্ষকে সরাসরি এবং শর্তহীনভাবে আলোচনা শুরুর প্রস্তাব দিচ্ছি।”
রাশিয়ার পূর্ণাঙ্গ আগ্রাসন শুরুর পর, তিন বছর আগে মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে অল্প সময়ের জন্য সরাসরি আলোচনা হয়েছিল।