সাম্পদোরিয়া ৭৮ বছরের ইতিহাসে তৃতীয় স্তরে নেমে গেল

- আপডেট সময় ০২:০৯:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
- / ২৫১ বার পড়া হয়েছে
৭৮ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সিরি সি-তে ইতালির ঐতিহ্যবাহী ক্লাব সাম্পদোরিয়া অবনমিত হয়েছে। দেশটির শীর্ষ লিগের সাবেক চ্যাম্পিয়ন ও ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের রানার্স আপ দলটির জন্য মাত্র দুই বছর আগে সিরি বি-তে অবনমন ছিলো যথেষ্ট বিব্রতকর। এবার তারা পৌঁছে গেল নিজেদের ইতিহাসের রেকর্ড তলানিতে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সিরি বি-তে এবারের মৌসুমে তাদের শেষ ম্যাচে ইউভে স্তাবিয়ার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করার পর রেলিগেশন প্লে-অফের স্থান হারায় ক্লাবটি।
এই ড্র-এর ফলে সালেরনিতানার চেয়ে মাত্র এক পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে ১৮তম স্থানে থেকে মৌসুম শেষ করে সাম্পদোরিয়া।
১৯৮৯-৯০ মৌসুমে ইউরোপিয়ান কাপ উইনার্স কাপ ও ১৯৯০-৯১ মৌসুমে সিরি এ শিরোপা জয় করেছিল সাম্পদোরিয়া। পরের মৌসুমে পৌঁছে গিয়েছিল ইউরোপিয়ান কাপের (বর্তমান চ্যাম্পিয়নস লিগ) ফাইনালেও। যদিও বার্সেলোনার কাছে হেরে রানার্স আপ হতে হয়েছিল তারকাবহুল সাম্পদোরিয়ার।
সোনালী অতীত পেছনে ফেলে আসলেও সিরি আ-তে নিয়মিত ছিল সাম্পদোরিয়া। তবে ২০২২-২৩ মৌসুম শেষে প্রথম বিভাগ থেকে অবনমিত হয়ে সিরি বি-তে নামে দলটি। ক্লাবটি দ্রুত এই লজ্জা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে চাইলেও তা সম্ভব হয়নি। ২০২৩ সালের জুনে বিশ্বকাপজয়ী আন্দ্রেয়া পিরলোকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে তার অধীনে প্লে-অফে হেরে সাম্পদোরিয়া শীর্ষ লিগে ফিরতে ব্যর্থ হয়।
এরপর ২০২৪ মৌসুমের শুরুতে ক্লাব কর্তৃপক্ষ পিরলোকে ‘প্রকল্পের মূল অংশ’ বলে উল্লেখ করলেও, মাত্র তিন ম্যাচ পর তাকে ছাঁটাই করে সাম্পদোরিয়া।
তার স্থলাভিষিক্ত আন্দ্রেয়া সত্তিল জেনোয়ার বিপক্ষে কোপা ইতালিয়ার ডার্বিতে জয় পেলেও পরবর্তী ১৪ ম্যাচে মাত্র চারটি জয় পাওয়ায় তিনিও অক্টোবরেই চাকরি হারান। পরবর্তীতে দায়িত্ব নেন লিওনার্দো সেমপ্লিচি। তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় মার্চ মাসে ফ্রোসিনোনের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৩-০ গোলের হার দিয়ে।
ম্যাচ শেষে ক্ষুব্ধ সমর্থকরা খেলোয়াড় ও কোচ বহনকারী টিম বাসে পাথর ও ফ্লেয়ার ছুঁড়ে মারেন।
এ ঘটনার পর এপ্রিল মাসে সেমপ্লিচিকে বরখাস্ত করে মৌসুমে ক্লাবের চতুর্থ কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় আলবেরিকো ইভানিকে। কোচের সহকারী হিসেবে সঙ্গে ছিলেন ক্লাব কিংবদন্তি আতিলিও লোম্বার্দো ও আরেক কিংবদন্তি রবার্তো মানচিনি।
ইভানি দায়িত্ব নিয়ে প্রথম ম্যাচেই চিত্তাদেল্লার বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে জয় পান। কিন্তু এরপর তিনটি ড্র, একটি হার এবং মাত্র একটি জয়ে শেষ পর্যন্ত সাম্পদোরিয়ার অবনমন ঠেকাতে পারেননি তিনিও।
একসময়ের গর্বিত ক্লাব সাম্পদোরিয়ার জন্য এটি নিঃসন্দেহে ইতিহাসের সবচেয়ে অন্ধকার অধ্যায়। এখন দেখার বিষয়, সিরি সি থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে তারা আবার কত দ্রুত শীর্ষ পর্যায়ে ফিরতে পারে।