ঢাকা ১০:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা

হাইকোর্টে হিটু শেখের ডেথ রেফারেন্স নথি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৫:০০:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • / ২৫৫ বার পড়া হয়েছে

হাইকোর্টে পৌঁছেছে মাগুরার আলোচিত শিশু আছিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিটু শেখের ডেথ রেফারেন্স নথি। মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) মামলার যাবতীয় নথিপত্র হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো.শফিকুল ইসলাম বুধবার (২১ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ হলে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য মামলার যাবতীয় কার্যক্রম উচ্চ আদালতে পাঠাতে হয়। এছাড়া এ মামলার রায় অনুযায়ী আসামি আইন অনুযায়ী উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন।

মাগুরায় গত ১৭ মে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রধান আসামি হিটু শেখকে (৪৭) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারক এম জাহিদ হাসান। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রায়ে বাকি তিন আসামি খালাস পেয়েছেন।

রায়ে খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন নিহত শিশুর বোনের স্বামী সজীব শেখ (১৯), সজীব শেখের ছোট ভাই (১৭) ও সজিবের মা জাহেদা বেগম (৪০)।

এর আগে গত ১৩ এপ্রিল আলোচিত মামলায় অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিচার কার্যক্রম। সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ২৭ এপ্রিল। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দেন ২৯ জন।

এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ গত ৭ মে শেষ হয়। আলোচিত এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম মাত্র ১৩ কার্যদিবসে শেষ হয় । মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে ১৩ মে সকাল ১০টার দিকে মামলার শেষ দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ মামলার রায় ১৭ মে শনিবার ঘোষণার দিন ধার্য করেন বিচারক।

নির্মম হত্যাকাণ্ডটি ঘটে মাগুরা সদর উপজেলায়। রমজানের ছুটিতে শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গত পাঁচ মার্চ রাতে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। বোনের শ্বশুর হিটু শেখ মেয়েটিকে শুধু ধর্ষণই করেননি, হত্যারও চেষ্টা চালিয়েছেন।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যু হয় আট বছরের শিশুটির। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে হিটু শেখসহ চারজনের নামে মামলাটি করেন। পরে তাদের সবাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা

হাইকোর্টে হিটু শেখের ডেথ রেফারেন্স নথি

আপডেট সময় ০৫:০০:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

হাইকোর্টে পৌঁছেছে মাগুরার আলোচিত শিশু আছিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিটু শেখের ডেথ রেফারেন্স নথি। মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) মামলার যাবতীয় নথিপত্র হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো.শফিকুল ইসলাম বুধবার (২১ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ হলে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য মামলার যাবতীয় কার্যক্রম উচ্চ আদালতে পাঠাতে হয়। এছাড়া এ মামলার রায় অনুযায়ী আসামি আইন অনুযায়ী উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন।

মাগুরায় গত ১৭ মে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রধান আসামি হিটু শেখকে (৪৭) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারক এম জাহিদ হাসান। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রায়ে বাকি তিন আসামি খালাস পেয়েছেন।

রায়ে খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন নিহত শিশুর বোনের স্বামী সজীব শেখ (১৯), সজীব শেখের ছোট ভাই (১৭) ও সজিবের মা জাহেদা বেগম (৪০)।

এর আগে গত ১৩ এপ্রিল আলোচিত মামলায় অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিচার কার্যক্রম। সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ২৭ এপ্রিল। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দেন ২৯ জন।

এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ গত ৭ মে শেষ হয়। আলোচিত এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম মাত্র ১৩ কার্যদিবসে শেষ হয় । মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে ১৩ মে সকাল ১০টার দিকে মামলার শেষ দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ মামলার রায় ১৭ মে শনিবার ঘোষণার দিন ধার্য করেন বিচারক।

নির্মম হত্যাকাণ্ডটি ঘটে মাগুরা সদর উপজেলায়। রমজানের ছুটিতে শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গত পাঁচ মার্চ রাতে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। বোনের শ্বশুর হিটু শেখ মেয়েটিকে শুধু ধর্ষণই করেননি, হত্যারও চেষ্টা চালিয়েছেন।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যু হয় আট বছরের শিশুটির। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে হিটু শেখসহ চারজনের নামে মামলাটি করেন। পরে তাদের সবাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ।