ঢাকা ১১:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে আবার ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৫:০৬:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • / ২৫৭ বার পড়া হয়েছে

টাঙ্গাইলে আবারও এক ভয়াবহ ঘটনা, চলন্ত বাসে ডাকাতি এবং নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এবারের ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের এলেঙ্গায়। অভিযোগ উঠেছে, এ সময় যাত্রীদের মালামাল লুটপাটের পাশাপাশি নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানিও করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, আল ইমরান নামের একটি বাস ৪০ জন যাত্রী নিয়ে রাজধানীর আবদুল্লাহপুর থেকে রংপুরের দিকে যাচ্ছিল। এই যাত্রীদের মধ্যে ১১ জন ছিলেন নারী।

পথে আবদুল্লাহপুর, বাইপাইল ও সাভারের নরসিংহপুর থেকেও কিছু যাত্রী ওঠেন। রাত আনুমানিক ১১টার দিকে ৮ থেকে ৯ জনের একটি ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।

ডাকাতরা প্রথমে বাসচালক, হেলপার ও সুপারভাইজারের চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে। এরপর তারা যাত্রীদের কাছে থাকা টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।

ভোর ৫টার দিকে টাঙ্গাইল বাইপাসের শিবপুরে বাসটি রেখে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরে ৯৯৯ নম্বরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং বাসটি জব্দ করে।

একজন যাত্রী জানান, “ডাকাতদের মধ্যে একজন ড্রাইভার ছিল। সে বাস চালায়। বাকি ডাকাতরা আমাদের হাত, পা, চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে। তারপর সবার কাছ থেকে সব কিছু লুট করে।” আরেক নারী যাত্রী বলেন, “ডাকাতরা আমাদের নাক, কান ও গলার গয়না ছিনিয়ে নেয়।”

যাত্রী জুয়েল মিয়া জানান, তার চোখ-মুখ বাঁধা ছিল। তিনি নারী যাত্রীদের কান্নাকাটি ও কাকুতি-মিনতি শুনতে পাচ্ছিলেন। তিনি নিশ্চিত করেন যে, টাকা-গয়না ছিনিয়ে নেওয়ার সময় নারী যাত্রীদের তল্লাশির নামে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এইচএম মাহবুব রেজওয়ান সিদ্দিকী জানিয়েছেন, “এ ঘটনায় বাসের চালক মিনু মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৮ থেকে ৯ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় শ্লীলতাহানির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। ডিবি ও সদর থানা পুলিশসহ একাধিক টিম ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।”

এর আগেও গত ফেব্রুয়ারি (২০২৫) মাসে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ইউনিক রোড রয়েলসের ‘আমরি ট্রাভেলসের’ একটি বাসে একই ধরনের ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। সেই সময় চলন্ত বাসে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতি চলে। ডাকাতরা বাসটিকে একই জায়গায় ঘুরিয়ে নিয়ে ভোর ৪টার দিকে নেমে যায়। সেবারও ডাকাতির পাশাপাশি নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে আবার ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি

আপডেট সময় ০৫:০৬:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

টাঙ্গাইলে আবারও এক ভয়াবহ ঘটনা, চলন্ত বাসে ডাকাতি এবং নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এবারের ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের এলেঙ্গায়। অভিযোগ উঠেছে, এ সময় যাত্রীদের মালামাল লুটপাটের পাশাপাশি নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানিও করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, আল ইমরান নামের একটি বাস ৪০ জন যাত্রী নিয়ে রাজধানীর আবদুল্লাহপুর থেকে রংপুরের দিকে যাচ্ছিল। এই যাত্রীদের মধ্যে ১১ জন ছিলেন নারী।

পথে আবদুল্লাহপুর, বাইপাইল ও সাভারের নরসিংহপুর থেকেও কিছু যাত্রী ওঠেন। রাত আনুমানিক ১১টার দিকে ৮ থেকে ৯ জনের একটি ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।

ডাকাতরা প্রথমে বাসচালক, হেলপার ও সুপারভাইজারের চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে। এরপর তারা যাত্রীদের কাছে থাকা টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।

ভোর ৫টার দিকে টাঙ্গাইল বাইপাসের শিবপুরে বাসটি রেখে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরে ৯৯৯ নম্বরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং বাসটি জব্দ করে।

একজন যাত্রী জানান, “ডাকাতদের মধ্যে একজন ড্রাইভার ছিল। সে বাস চালায়। বাকি ডাকাতরা আমাদের হাত, পা, চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে। তারপর সবার কাছ থেকে সব কিছু লুট করে।” আরেক নারী যাত্রী বলেন, “ডাকাতরা আমাদের নাক, কান ও গলার গয়না ছিনিয়ে নেয়।”

যাত্রী জুয়েল মিয়া জানান, তার চোখ-মুখ বাঁধা ছিল। তিনি নারী যাত্রীদের কান্নাকাটি ও কাকুতি-মিনতি শুনতে পাচ্ছিলেন। তিনি নিশ্চিত করেন যে, টাকা-গয়না ছিনিয়ে নেওয়ার সময় নারী যাত্রীদের তল্লাশির নামে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এইচএম মাহবুব রেজওয়ান সিদ্দিকী জানিয়েছেন, “এ ঘটনায় বাসের চালক মিনু মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৮ থেকে ৯ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় শ্লীলতাহানির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। ডিবি ও সদর থানা পুলিশসহ একাধিক টিম ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।”

এর আগেও গত ফেব্রুয়ারি (২০২৫) মাসে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ইউনিক রোড রয়েলসের ‘আমরি ট্রাভেলসের’ একটি বাসে একই ধরনের ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। সেই সময় চলন্ত বাসে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতি চলে। ডাকাতরা বাসটিকে একই জায়গায় ঘুরিয়ে নিয়ে ভোর ৪টার দিকে নেমে যায়। সেবারও ডাকাতির পাশাপাশি নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে।