ঢাকা ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
বাণিজ্য উপদেষ্টা

ন্যায্যমূল্য পেতে এ বছর চামড়া সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৫:২৩:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • / ২৫৮ বার পড়া হয়েছে

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানিয়েছেন, এ বছর চামড়ার দাম যতক্ষণ ন্যায্য না হবে, ততক্ষণ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, উচ্চ পর্যায়ের কমিটির বৈঠক করেছে এতিমদের হক চামড়ার সঠিক মূল্য নিশ্চিত করতে। যেখানে বড় সিদ্ধান্ত হলো, মাদরাসা ও এতিমখানায় ৩০ হাজার টন লবণ দেবে সরকার। প্রতিষ্ঠানগুলো যতক্ষণ পর্যন্ত চামড়ার ন্যায্যমূল্য না পাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সংরক্ষণ করবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে কোরবানি সম্পর্কিত বিষয়াদির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ কমিটির প্রথম সভা শেষে বুধবার (২১ মে) সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মাদরাসা ও এতিমখানায় ব্যবস্থাপনা এবং সংরক্ষণের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। একটি নির্দেশনামূলক ভিডিও তৈরি করব। সেগুলো ব্যাপকভাবে প্রচার করা হবে। ঈদের পরের দিন এ কমিটি আবার বসবে, দাম ঠিক রাখতে সব সময় কাজ করা হবে।

তিনি বলেন, আগে সারাদেশে একসঙ্গে কাঁচা চামড়া আসতো। চামড়া পচে যাবে সে কারণে দাম না পেলেও বাধ্য হয়ে কম দামে বিক্রি করতে হয়েছে। এবার সেটা হবে না।

আমাদের প্রধান উপদেষ্টা চান গরিবের এই হক যেন ন্যায্যমূল্য পায়। আমাদের কমিটি বৃহস্পতিবার (২২ মে) আবারও বৈঠকে বসবে। তখন চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হবে। এ বছর চামড়ার দাম গত বছরের চেয়ে বেশি হবে।

বৈঠকে আমরা আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নির্ধারিত পশুর হাটের বাইরে পশু কেনাবেচা যেন না হয়। হাসিল পাঁচ শতাংশ থেকে কমানোর চেষ্টা হচ্ছে। এছাড়া সরবরাহ ও চাহিদা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আমরা।

সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, সুষ্ঠু বাজার, পরিবহন ও দামে সঠিক বাস্তবায়ন হবে এবার। প্রাণীর ওপর যেন কোনো নৃশংসতা না হয় এবং কোনো ধরনের ক্ষতিকারক ওষুধ ব্যবহার করে প্রাণীকে হৃষ্টপুষ্ট না করা হয় সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি।

এ বছর কোরবানির চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতসহ কোরবানির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় এ কমিটি গঠন করা হয় গত মঙ্গলবার (২০ মে)।

উচ্চ পর্যায়ের কমিটিতে রয়েছেন ১৭ সদস্য, যার আহ্বায়ক বাণিজ্য উপদেষ্টা। এছাড়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, শিল্প উপদেষ্টা, সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা, ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়), বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব, শিল্প সচিব, এনজিও প্রতিনিধি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও বেসরকারি প্রতিনিধি (সরকার মনোনীত)। কমিটিতে সদস্য সচিব থাকবেন বাণিজ্য সচিব।

কমিটি সঠিকভাবে চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এবং এজন্য পর্যাপ্ত লবণের সরবরাহ নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া নির্ধারণ; চামড়ার উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করা এবং কোরবানির সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়াদির সুষ্ঠু ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবেন।

এছাড়া চামড়ার বিক্রয়লব্ধ অর্থ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বার্থ সুরক্ষার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান; কোরবানির হাট, পশু পরিবহন এবং পরিবহনের সময় নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধের বিষয়ে নির্দেশনা জারি এবং চামড়া শিল্প নগরী, সাভারসহ সারাদেশে দ্রুত ও যথাযথভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করবে এ কমিটি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে। কমিটি প্রয়োজনে সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। কমিটির সভা প্রয়োজন অনুসারে অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাণিজ্য উপদেষ্টা

ন্যায্যমূল্য পেতে এ বছর চামড়া সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে

আপডেট সময় ০৫:২৩:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানিয়েছেন, এ বছর চামড়ার দাম যতক্ষণ ন্যায্য না হবে, ততক্ষণ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, উচ্চ পর্যায়ের কমিটির বৈঠক করেছে এতিমদের হক চামড়ার সঠিক মূল্য নিশ্চিত করতে। যেখানে বড় সিদ্ধান্ত হলো, মাদরাসা ও এতিমখানায় ৩০ হাজার টন লবণ দেবে সরকার। প্রতিষ্ঠানগুলো যতক্ষণ পর্যন্ত চামড়ার ন্যায্যমূল্য না পাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সংরক্ষণ করবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে কোরবানি সম্পর্কিত বিষয়াদির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ কমিটির প্রথম সভা শেষে বুধবার (২১ মে) সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মাদরাসা ও এতিমখানায় ব্যবস্থাপনা এবং সংরক্ষণের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। একটি নির্দেশনামূলক ভিডিও তৈরি করব। সেগুলো ব্যাপকভাবে প্রচার করা হবে। ঈদের পরের দিন এ কমিটি আবার বসবে, দাম ঠিক রাখতে সব সময় কাজ করা হবে।

তিনি বলেন, আগে সারাদেশে একসঙ্গে কাঁচা চামড়া আসতো। চামড়া পচে যাবে সে কারণে দাম না পেলেও বাধ্য হয়ে কম দামে বিক্রি করতে হয়েছে। এবার সেটা হবে না।

আমাদের প্রধান উপদেষ্টা চান গরিবের এই হক যেন ন্যায্যমূল্য পায়। আমাদের কমিটি বৃহস্পতিবার (২২ মে) আবারও বৈঠকে বসবে। তখন চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হবে। এ বছর চামড়ার দাম গত বছরের চেয়ে বেশি হবে।

বৈঠকে আমরা আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নির্ধারিত পশুর হাটের বাইরে পশু কেনাবেচা যেন না হয়। হাসিল পাঁচ শতাংশ থেকে কমানোর চেষ্টা হচ্ছে। এছাড়া সরবরাহ ও চাহিদা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আমরা।

সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, সুষ্ঠু বাজার, পরিবহন ও দামে সঠিক বাস্তবায়ন হবে এবার। প্রাণীর ওপর যেন কোনো নৃশংসতা না হয় এবং কোনো ধরনের ক্ষতিকারক ওষুধ ব্যবহার করে প্রাণীকে হৃষ্টপুষ্ট না করা হয় সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি।

এ বছর কোরবানির চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতসহ কোরবানির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় এ কমিটি গঠন করা হয় গত মঙ্গলবার (২০ মে)।

উচ্চ পর্যায়ের কমিটিতে রয়েছেন ১৭ সদস্য, যার আহ্বায়ক বাণিজ্য উপদেষ্টা। এছাড়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, শিল্প উপদেষ্টা, সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা, ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়), বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব, শিল্প সচিব, এনজিও প্রতিনিধি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও বেসরকারি প্রতিনিধি (সরকার মনোনীত)। কমিটিতে সদস্য সচিব থাকবেন বাণিজ্য সচিব।

কমিটি সঠিকভাবে চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এবং এজন্য পর্যাপ্ত লবণের সরবরাহ নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া নির্ধারণ; চামড়ার উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করা এবং কোরবানির সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়াদির সুষ্ঠু ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবেন।

এছাড়া চামড়ার বিক্রয়লব্ধ অর্থ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বার্থ সুরক্ষার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান; কোরবানির হাট, পশু পরিবহন এবং পরিবহনের সময় নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধের বিষয়ে নির্দেশনা জারি এবং চামড়া শিল্প নগরী, সাভারসহ সারাদেশে দ্রুত ও যথাযথভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করবে এ কমিটি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে। কমিটি প্রয়োজনে সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। কমিটির সভা প্রয়োজন অনুসারে অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।