ঢাকা ০৮:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

মোহনগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৪:২২:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
  • / ২৬১ বার পড়া হয়েছে

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ঘটনার পর অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ছুটি নিয়ে পলাতক রয়েছেন ওই শিক্ষক।

অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম সানোয়ারুল ইসলাম (২৬)। তিনি উপজেলার করাচাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এর আগে গত রবিবার (১৮ মে) শিক্ষক সানোয়ারুলের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

জানা যায়, সানোয়ারুল উপজেলার কয়রাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। ৮-৯ মাস আগে তিনি করাচাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড় ওঠে শিক্ষক সানোয়ারুলের।

বিষয়টি শারীরিক সম্পর্ক পর্যন্ত গড়ায়। সপ্তাহখানেক আগে ওই ছাত্রীকে নিয়ে মোহনগঞ্জ শহরের শিশুপার্ক এলাকায় ঘুরতে আসেন তিনি। তাদের অস্বাভাবিক অবস্থায় দেখে আটক করে এলাকার লোকজন। পরে আলোচনা সাপেক্ষে একপর্যায়ে তারা ছাড়া পান।

বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে সানোয়ারুলকে বিয়ের চাপ দেয় ওই ছাত্রী। কিন্তু সানোয়ারুল বিয়েতে অস্বীকৃতি জানান। পরে ভুক্তভোগী ছাত্রী বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করে। তদন্ত করে ১৮ মে মামলা রেকর্ড করে পুলিশ। তবে মামলার পরপরই অসুস্থতা দেখিয়ে স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে পালিয়ে যান সানোয়ারুল।

করাচাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে গত ১৯ মে থেকে স্কুলে আসেননি সানোয়ারুল। পরে শিক্ষা অফিসে কল করে জানতে পারি তিনি অসুস্থতাজনিত ছুটি নিয়ে গেছেন। ৩১ মে পর্যন্ত তার ছুটি রয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেন, অসুস্থতাজনিত কারণে ছুটি নিয়েছেন সহকারী শিক্ষক সানোয়ারুল। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র জমা দিলে তো আমাদের কিছু করার থাকে না। তবে এ সংক্রান্ত কাগজের একটি কপি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে থাকার কথা।

মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, একাধিকবার ধর্ষণের তথ্য প্রমাণসহ মামলা দিয়েছে ওই নারী শিক্ষার্থী। মামলার পর ওই শিক্ষককে গ্রেফতারে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালনো হয়েছে। একবার ঢাকায় তাকে গ্রেফতার অভিযান চালানো হয়েছে। তবে কৌশলে তিনি পালিয়ে যান। যেখানেই থাকুক তাকে গ্রেফতার করা হবে। ভুক্তভোগী মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মোহনগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

আপডেট সময় ০৪:২২:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ঘটনার পর অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ছুটি নিয়ে পলাতক রয়েছেন ওই শিক্ষক।

অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম সানোয়ারুল ইসলাম (২৬)। তিনি উপজেলার করাচাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এর আগে গত রবিবার (১৮ মে) শিক্ষক সানোয়ারুলের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

জানা যায়, সানোয়ারুল উপজেলার কয়রাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। ৮-৯ মাস আগে তিনি করাচাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড় ওঠে শিক্ষক সানোয়ারুলের।

বিষয়টি শারীরিক সম্পর্ক পর্যন্ত গড়ায়। সপ্তাহখানেক আগে ওই ছাত্রীকে নিয়ে মোহনগঞ্জ শহরের শিশুপার্ক এলাকায় ঘুরতে আসেন তিনি। তাদের অস্বাভাবিক অবস্থায় দেখে আটক করে এলাকার লোকজন। পরে আলোচনা সাপেক্ষে একপর্যায়ে তারা ছাড়া পান।

বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে সানোয়ারুলকে বিয়ের চাপ দেয় ওই ছাত্রী। কিন্তু সানোয়ারুল বিয়েতে অস্বীকৃতি জানান। পরে ভুক্তভোগী ছাত্রী বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করে। তদন্ত করে ১৮ মে মামলা রেকর্ড করে পুলিশ। তবে মামলার পরপরই অসুস্থতা দেখিয়ে স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে পালিয়ে যান সানোয়ারুল।

করাচাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে গত ১৯ মে থেকে স্কুলে আসেননি সানোয়ারুল। পরে শিক্ষা অফিসে কল করে জানতে পারি তিনি অসুস্থতাজনিত ছুটি নিয়ে গেছেন। ৩১ মে পর্যন্ত তার ছুটি রয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেন, অসুস্থতাজনিত কারণে ছুটি নিয়েছেন সহকারী শিক্ষক সানোয়ারুল। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র জমা দিলে তো আমাদের কিছু করার থাকে না। তবে এ সংক্রান্ত কাগজের একটি কপি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে থাকার কথা।

মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, একাধিকবার ধর্ষণের তথ্য প্রমাণসহ মামলা দিয়েছে ওই নারী শিক্ষার্থী। মামলার পর ওই শিক্ষককে গ্রেফতারে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালনো হয়েছে। একবার ঢাকায় তাকে গ্রেফতার অভিযান চালানো হয়েছে। তবে কৌশলে তিনি পালিয়ে যান। যেখানেই থাকুক তাকে গ্রেফতার করা হবে। ভুক্তভোগী মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।