সেন্টমার্টিনে তলিয়ে গেছে শতাধিক ঘর-বাড়ি

- আপডেট সময় ১১:০০:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
- / ২৫৭ বার পড়া হয়েছে
দেশের প্রবাল সমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্টমার্টিনে বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ভারি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪-৫ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ভাঙন দেখা দিয়েছে দ্বীপের চারপাশে। এছাড়া জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় সেন্টমার্টিনের অন্তত শতাধিক ঘর-বাড়ি তলিয়ে গেছে। সাগরের পানির ঢেউয়ের আঘাতে ঘাটে নোঙরে থাকা বেশ কয়েকটি মাছ ধরার ট্রলার বিধ্বস্ত হয়েছে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম জানান, বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টির পর বৈরী আবহাওয়ায় স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি চার-পাঁচ ফুট বেড়ে যাওয়ায় দ্বীপের গলাচিপা, কোনাপাড়া, দক্ষিণপাড়া পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে অন্তত শতাধিক ঘরবাড়ি পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, রাতে বাতাস একটু কমলেও হোটেল-মোটেলসহ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়। এছাড়া বিএন স্কুলকে আশ্রয়কেন্দ্র করা হয়েছে। শুক্রবার (৩০ মে) ভোরে আবারও ঝড়ো বাতাস বয়ে গেছে। অব্যাহত রয়েছে ভারী বর্ষণ।
অপরদিকে, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌযান চলাচল গত চারদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে দ্বীপের মানুষের মধ্যে। দ্বীপের মানুষের খারাপ সময় যাচ্ছে। তার ওপর ঝোড়ো বাতাস ও সাগরের পানির উচ্চতা বাড়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে কয়েকগুণ।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা আবদুল মালেক বলেন, পানির উচ্চতা বেড়েছে বঙ্গোপসাগরে। ফলে সাগরের তীরে থাকা কয়েকটি এলাকায় পানি ঢুকেছে। এতে দ্বীপের চারদিকে ভাঙন ধরেছে। এখনও অনেক বাড়িঘর পানিবন্দি হয়ে আছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, বঙ্গোপসাগরে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় জোয়ারের পানি সেন্টমার্টিন দ্বীপের লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। ঘাটে নোঙরে থাকা মাছ ধরার ট্রলার বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পেয়েছি। তবে আতঙ্কের কিছু নেই। সেন্টমার্টিনের জনপ্রতিনিধিরা সবাই একযোগে কাজ করছেন। কোনো ধরনের সমস্যা হলে লোকজন সরিয়ে এনে আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হবে। এখনও লোকজনকে সরিয়ে আনার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
ইউএনও আরও বলেন, গত চারদিন বৈরী আবহাওয়ার কারণে সেন্টমার্টিনে পণ্যবাহী ট্রলারগুলো যেতে পারেনি। ফলে, খাদ্য সংকটের দিকে যাচ্ছে সময়। আবহাওয়া স্বাভাবিকের দিকে গেলেই দ্রুত পণ্যবাহী ট্রলারগুলো সেন্টমার্টিনে পৌঁছানো যাবে বলে আশা করছি।