মেজর সিনহা হত্যা মামলা
হাইকোর্টে বহাল ওসি প্রদীপ ও লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড

- আপডেট সময় ১২:৪১:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
- / ২৬৯ বার পড়া হয়েছে
দেশজুড়ে আলোচিত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলী। একইসঙ্গে আদালত ছয় আসামির যাবজ্জীবন দণ্ড বহাল রেখেছেন। তারই সঙ্গে রায়ে প্রত্যেক আসামির ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ বহাল রাখা হয়েছে।
বিচারপতি মো. সগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (২ জুন) এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে মেজর সিনহা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি গত ২৯ মে শেষ হয়। একইসঙ্গে আজ সোমবার (২ জুন) দিন ধার্য করা হয় রায়ের জন্য। এ দিন ধার্য করেন বিচারপতি মো. সগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এই মামলায় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শামীমা দিপ্তী। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জসিম সরকার, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ ও লাবনী আক্তার।
সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি গত বছরের ২৩ এপ্রিল শুরু হয়। সিনহা মো. রাশেদ খান ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন কর্মকর্তা পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন।
এই হত্যাকাণ্ডের পর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস ২০২০ সালের ৫ আগস্ট বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন। পরে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট জমা দেয় র্যাব। চার্জশিটে মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
পরে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি রায় ঘোষণা করেন। রায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীকে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত এবং কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেবকে।
এছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন কক্সবাজারের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নিজাম উদ্দিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নুরুল আমিন। এ মামলায় খালাস পান বাকি সাত আসামি। পরে মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। কারাগারে থাকা দণ্ডিত আসামিরা আপিল করেন।