ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক এস এম শামীম রেজা। তিনি মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

অধ্যাপক শামীম রেজা বলেন, “স্বতঃস্ফূর্ত পরিবেশে শিক্ষার্থীরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। ভোট শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকেই শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছেন এবং তাদের উৎসাহের কোনো ঘাটতি নেই।”

তিনি আরও বলেন, “ভোট শুরুর আগে ফাঁকা ব্যালট বাক্স মিডিয়া ও পোলিং এজেন্টদের সামনে প্রদর্শন করা হয়েছে। বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত প্রায় ১৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। বাইরের পরিবেশের বিষয়ে আমরা সচেতন এবং যদি কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটছে না।”

এবারের নির্বাচনে ডাকসুর ২৮টি পদে ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রার্থী লড়ছেন। মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন, যার মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৯১৫ জন এবং ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯৫৯ জন।

নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত ‘আবিদ-হামীম-মায়েদ পরিষদ’ থেকে ভিপি পদে আবিদুল ইসলাম খান, জিএস পদে শেখ তানভীর বারী হামিম এবং এজিএস পদে তানভীর আল হাদী মায়েদ এগিয়ে আছেন।

ছাত্রদল-শিবির সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ থেকে ভিপি পদে আবু সাদিক কায়েম, জিএস পদে এসএম ফরহাদ এবং এজিএস পদে মহিউদ্দিন খান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল থেকে ভিপি পদে আবদুল কাদের এবং জিএস পদে আবু বাকের মজুমদার লড়ছেন। ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল থেকে জিএস পদে মাহিন সরকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন, তবে তিনি পরে আবু বাকের মজুমদারকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচনে সরে দাঁড়ান।

এছাড়া ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল থেকে ভিপি পদে উমামা ফাতেমা, ছাত্রঅধিকার পরিষদ থেকে ভিপি পদে বিন ইয়ামিন মোল্লা এবং বামপন্থী শিক্ষকদের প্যানেল ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ থেকে ভিপি পদে শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি ও জিএস পদে মেঘমল্লার বসু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।