ভারতের হামলার আশঙ্কায় প্রস্তুত পাকিস্তান

- আপডেট সময় ০১:১৮:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
- / ২৮৫ বার পড়া হয়েছে
পাকিস্তানের অনেক সামরিক কমর্কর্তা ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক আশঙ্কা করছেন কাশ্মিরের পেহেলগাঁওয়ের ভারতীয় পর্যটকদের হত্যার ঘটনায় যেকোনো সময় ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে।তবে পাকিস্তানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এমন কিছু ঘটলে পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুত আছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, পাকিস্তান যেকোনো দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত। আমরা উচ্চ সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি দেখছি এবং সজাগ আছি। কিন্তু ভারতের মতো শুধু শুধু হাইপ তৈরিতে আমরা ইচ্ছুক নই।
ভারত যদি ভেবে থাকে যে তার ক্ষেত্রে টিট ফর ট্যাট নীতি প্রযোজ্য হবে না তাহলে ভুল হবে। আমরা উভয়েই পরমাণু অস্ত্রধারী দেশ এবং ভারতের আগ্রাসী আচরণের জেরে একটি দায়িত্বহীন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। তাই আমাদের উভয়েরই সতর্ক থাকা উচিত।
গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে কাশ্মিরভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই তৈয়বার উপশাখা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট ভারতের জম্মু ও কাশ্মির রাজ্যের পেহেলগাঁও জেলার বৈসরণ তৃণভূমিতে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায়।
স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে হামলাকারীরা অন্তত ২৬ পর্যটককে গুলি করে হত্যা করেছে। তাদের গুলিতে আরও বেশ কয়েকজনকে আহত হন। যাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তারা সবাই পুরুষ। বস্তুত ২২ এপ্রিলের হামলা ছিল ২০১৯ সালের পুলোয়ামা হামলার পর জম্মু ও কাশ্মিরে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা।
ভয়াবহ এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত এবং তাৎক্ষণিকভাবে দেশটির সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়। পাল্টা জবাব হিসেবে ভারতের জন্য নিজেদের স্থল ও আকাশসীমা বন্ধসহ একাধিক পদক্ষেপ নেয় পাকিস্তানও।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স সোমবার নয়াদিল্লিতে চার দিনের সরকারি সফরে এসেছেন।
পাকিস্তানের ওই সামরিক কর্মকর্তা আলজাজিরাকে বলেন, যে এলাকায় হামলা হয়েছে, সেটি ভারত-পাকিস্তান সীমান্তরেখা থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে। ভারতের কাশ্মিরে দেশটির সেনাবাহিনীর পাঁচ লাখেরও বেশি কর্মকর্তা ও সদস্য রয়েছে। এর পরও যেহেতু এমন ঘটনা ঘটল, তাতে বলা যেতে পারে যে ভারত তার নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ।
আর তারা কীভাবে ভাবতে পারলো যে এ হামলা থেকে পাকিস্তানের জন্য উপকারী হবে? বিশেষ করে যখন জে ডি ভ্যান্স ভারতে অবস্থান করছেন, সে সময়? এ ধরনের হামলা কি (ভারতের) কাশ্মিরকে স্বাধীনতা এনে দেবে? কেন তারা নিজেদের দিকে তাকানোর এবং আত্মসমালোচনা করার সময় পাচ্ছে না? নিজেদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ত্রুটিগুলো মেনে নিতে আর কতো সময় লাগবে তাদের?
সূত্র : আলজাজিরা