ঢাকা ১০:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্স : ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি!

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০২:৪৩:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
  • / ২৫৫ বার পড়া হয়েছে

যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্স ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। গাজায় নতুন সামরিক অভিযান এবং ত্রাণ সরবরাহে বিধিনিষেধের কারণে এই নিষেধাজ্ঞার হুমকি এসেছে।

গত শুক্রবার ইসরায়েল গাজায় নতুন সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেয়। সোমবার প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েল পুরো গাজা নিয়ন্ত্রণে নেবে। এদিকে, মার্চ থেকে গাজায় খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানির প্রবেশ বন্ধ রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা দুর্ভিক্ষের হুমকি হিসেবে দেখছেন।

যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্সের নেতারা যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘ইসরায়েলের ত্রাণ বন্ধের নীতি আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন করছে। এটি অগ্রহণযোগ্য।

আমরা পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণেরও বিরোধিতা করি। পরিস্থিতি না বদলালে নিষেধাজ্ঞাসহ কঠোর পদক্ষেপ নেব।’ এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন ব্রিটেনের কিয়ের স্টারমার, কানাডার মার্ক কার্নি ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাঁক্রো।

নেতানিয়াহু এর জবাবে বলেন, ‘এই হুঁশিয়ারি ৭ অক্টোবরের হামলাকারীদের পুরস্কৃত করছে।’ ২০২৩ সালের ওই হামলায় হামাস ১২০০ জনকে হত্যা ও ২৫১ জনকে জিম্মি করেছিল। তিনি দাবি করেন, জিম্মিদের মুক্তি ও গাজাকে অসামরিক অঞ্চল ঘোষণা না হলে যুদ্ধ থামবে না।

তিন নেতা বলেন, ‘ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আমরা সমর্থন করি, কিন্তু বর্তমান অভিযান অসামঞ্জস্যপূর্ণ।’ তারা যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় অস্ত্রবিরতি এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির পক্ষে। হামাস এই বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্স : ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি!

আপডেট সময় ০২:৪৩:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্স ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। গাজায় নতুন সামরিক অভিযান এবং ত্রাণ সরবরাহে বিধিনিষেধের কারণে এই নিষেধাজ্ঞার হুমকি এসেছে।

গত শুক্রবার ইসরায়েল গাজায় নতুন সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেয়। সোমবার প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েল পুরো গাজা নিয়ন্ত্রণে নেবে। এদিকে, মার্চ থেকে গাজায় খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানির প্রবেশ বন্ধ রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা দুর্ভিক্ষের হুমকি হিসেবে দেখছেন।

যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্সের নেতারা যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘ইসরায়েলের ত্রাণ বন্ধের নীতি আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন করছে। এটি অগ্রহণযোগ্য।

আমরা পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণেরও বিরোধিতা করি। পরিস্থিতি না বদলালে নিষেধাজ্ঞাসহ কঠোর পদক্ষেপ নেব।’ এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন ব্রিটেনের কিয়ের স্টারমার, কানাডার মার্ক কার্নি ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাঁক্রো।

নেতানিয়াহু এর জবাবে বলেন, ‘এই হুঁশিয়ারি ৭ অক্টোবরের হামলাকারীদের পুরস্কৃত করছে।’ ২০২৩ সালের ওই হামলায় হামাস ১২০০ জনকে হত্যা ও ২৫১ জনকে জিম্মি করেছিল। তিনি দাবি করেন, জিম্মিদের মুক্তি ও গাজাকে অসামরিক অঞ্চল ঘোষণা না হলে যুদ্ধ থামবে না।

তিন নেতা বলেন, ‘ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আমরা সমর্থন করি, কিন্তু বর্তমান অভিযান অসামঞ্জস্যপূর্ণ।’ তারা যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় অস্ত্রবিরতি এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির পক্ষে। হামাস এই বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়েছে।