জমির দামে বড় পরিবর্তন, বাজার দরেই হবে নিবন্ধন

- আপডেট সময় ০২:০৮:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
- / ২৬০ বার পড়া হয়েছে
জমির কেনাবেচার নিয়মে আসছে বড় ধরনের পরিবর্তন! কালো টাকা এবং কর ফাঁকি রোধে সরকার আগামী অর্থবছরের বাজেটে জমির মৌজামূল্য নির্ধারণে এক যুগান্তকারী সংস্কার আনতে চলেছে।
এতদিন ধরে প্রচলিত মৌজাভিত্তিক মূল্য ব্যবস্থা বাতিল করে এখন থেকে জমির প্রকৃত বাজারমূল্যের ভিত্তিতেই হবে নিবন্ধন ও দলিল। অর্থাৎ, যে দামে জমি কেনাবেচা হবে, সেই দামেই হবে রেজিস্ট্রেশন।
এই নতুন মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়ন করবে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত একটি যৌথ কমিটি। শুধু তাই নয়, এই মূল্য প্রতি বছর হালনাগাদ করা হবে এবং ভূমি মন্ত্রণালয় নিয়মিতভাবে এর ডেটাবেজ প্রকাশ করবে।
জমির রেজিস্ট্রেশন ফি, আয়কর, মূসক এবং স্থানীয় সরকার সংক্রান্ত অন্যান্য করের বিদ্যমান হারও বাজারমূল্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আনুপাতিকভাবে কমানো হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে একটি নীতিমালার খসড়া তৈরি করেছে এবং আশা করা যাচ্ছে আগামী অর্থবছরের বাজেটেই এই সংক্রান্ত ঘোষণা আসতে পারে।
অতীতে ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত জমির মূল্য বাজারভিত্তিক করার বিষয়ে একাধিকবার বৈঠক হলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি। তবে, বর্তমান সরকার এই বিষয়ে বদ্ধপরিকর।
নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, রাজউকসহ অন্যান্য উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ জমির বাজারমূল্য হালনাগাদ করবে। আইন মন্ত্রণালয় রেজিস্ট্রেশন ফি কমিয়ে বাজারমূল্য নির্ধারণ করবে এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের জমির মূল্য নির্ধারণ করবে।
বর্তমানে, নিবন্ধন অধিদপ্তর পূর্ববর্তী দুই বছরের নিবন্ধিত মৌজামূল্য বিবেচনা করে মূল্য নির্ধারণ করে, যা প্রায়শই বাজারমূল্যের চেয়ে অনেক কম থাকে।
গুলশানে প্রতি শতাংশ জমির সরকারি মূল্য ১ লাখ থেকে ৫৮ লাখ টাকা হলেও, বাস্তবে কোটি টাকার নিচে সেখানে জমি পাওয়া যায় না। ধানমন্ডি এলাকার মৌজাদর অনুযায়ী ১ শতাংশ জমির দাম ৪৩ লাখ ৯৩ হাজার ৩০০ টাকা। কিন্তু বাস্তবে ধানমন্ডির কোথাও এ দামে জমি বেচাকেনা হয় না।