ঢাকা ১১:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

২৫ বিয়ে করে অর্থ লোপাটের অভিযোগে ‘লুটেরি দুলহান’ আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৫:৩৯:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
  • / ২৫৮ বার পড়া হয়েছে

প্রতারণার এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে ভারতে। ২৫ জন পুরুষকে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকার গয়না ও নগদ অর্থ আত্মসাৎ করে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে অনুরাধা পাসওয়ান নামে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থান পুলিশ।

এই নারী তার অবিশ্বাস্য প্রতারণার জন্য পরিচিতি পেয়েছেন ‘লুটেরি দুলহান’ বা ‘লুটপাটকারী কনে’ নামে।

মঙ্গলবার এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছে।

অনুরাধার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জাল বিয়ের মাধ্যমে পুরুষদের ফাঁদে ফেলতেন। আর প্রতিবারই তিনি একটি নতুন নাম, একটি নতুন শহর এবং একটি নতুন পরিচয় বেছে নিতেন তার এই প্রতারণার জাল বিস্তারের জন্য।

এনডিটিভি জানিয়েছে, অনুরাধা পাসওয়ান ২৫ জন নিরপরাধ পুরুষকে প্রতারিত করে গয়না ও নগদ অর্থ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি নিখুঁত কনে এবং আদর্শ পুত্রবধূর ভান করতেন, সম্পর্ক তৈরি করতেন পরিবারের প্রতিটি সদস্যের সাথে, আর তারপর সুযোগ বুঝে সবকিছু নিয়ে চম্পট দিতেন।

রাজস্থান রাজ্যের সওয়াই মাধোপুর পুলিশ একটি জাল বিয়ের ফাঁদ তৈরি করে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অনুরাধা পুরুষদের বিয়েতে রাজি করাতে একেক সময় একেক রকম পরিস্থিতি তুলে ধরতেন।

বেশিরভাগ সময়ই তিনি নিজেকে দরিদ্র, একা ও অসহায় হিসেবে উপস্থাপন করতেন। বলতেন, তিনি বিয়ে করতে চান, কিন্তু আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে নতুন জীবন শুরু করতে পারছেন না।

অনুরাধার এই প্রতারণার পেছনে একটি সুসংগঠিত চক্র কাজ করতো এবং তিনিই ছিলেন সেই চক্রের নেত্রী। তার গ্যাং সদস্যরা অনুরাধার ছবি ও প্রোফাইল সম্ভাব্য বরদের কাছে নিয়ে যেত। বিয়ের জন্য ২ লাখ রুপিতে চুক্তি হতো।

চুক্তি সই হওয়ার পর একটি বিবাহ সম্মতিপত্র তৈরি করা হতো। এরপর দম্পতিরা মন্দিরে বা বাড়িতে রীতি অনুযায়ী বিয়ে করতো, যা পুরোটাই ছিল একটি নাটক।

‘লুটেরি দুলহান’ খ্যাত এই নারী তার বর এবং শ্বশুরবাড়ির সকলের সঙ্গে অত্যন্ত সুন্দর ও সরল আচরণ করতেন। তাদের বিশ্বাস অর্জন করার জন্য তিনি পরিবারের প্রতিটি সদস্যের সাথে একটি দৃঢ় বন্ধন তৈরির চেষ্টা করতেন। এরপর কয়েক দিনের মধ্যেই তার চূড়ান্ত পরিকল্পনাটি সম্পাদন করতেন। তিনি খাবারে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে বর ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের অজ্ঞান করে গয়না, নগদ অর্থ এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যেতেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

২৫ বিয়ে করে অর্থ লোপাটের অভিযোগে ‘লুটেরি দুলহান’ আটক

আপডেট সময় ০৫:৩৯:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

প্রতারণার এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে ভারতে। ২৫ জন পুরুষকে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকার গয়না ও নগদ অর্থ আত্মসাৎ করে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে অনুরাধা পাসওয়ান নামে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থান পুলিশ।

এই নারী তার অবিশ্বাস্য প্রতারণার জন্য পরিচিতি পেয়েছেন ‘লুটেরি দুলহান’ বা ‘লুটপাটকারী কনে’ নামে।

মঙ্গলবার এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছে।

অনুরাধার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জাল বিয়ের মাধ্যমে পুরুষদের ফাঁদে ফেলতেন। আর প্রতিবারই তিনি একটি নতুন নাম, একটি নতুন শহর এবং একটি নতুন পরিচয় বেছে নিতেন তার এই প্রতারণার জাল বিস্তারের জন্য।

এনডিটিভি জানিয়েছে, অনুরাধা পাসওয়ান ২৫ জন নিরপরাধ পুরুষকে প্রতারিত করে গয়না ও নগদ অর্থ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি নিখুঁত কনে এবং আদর্শ পুত্রবধূর ভান করতেন, সম্পর্ক তৈরি করতেন পরিবারের প্রতিটি সদস্যের সাথে, আর তারপর সুযোগ বুঝে সবকিছু নিয়ে চম্পট দিতেন।

রাজস্থান রাজ্যের সওয়াই মাধোপুর পুলিশ একটি জাল বিয়ের ফাঁদ তৈরি করে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অনুরাধা পুরুষদের বিয়েতে রাজি করাতে একেক সময় একেক রকম পরিস্থিতি তুলে ধরতেন।

বেশিরভাগ সময়ই তিনি নিজেকে দরিদ্র, একা ও অসহায় হিসেবে উপস্থাপন করতেন। বলতেন, তিনি বিয়ে করতে চান, কিন্তু আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে নতুন জীবন শুরু করতে পারছেন না।

অনুরাধার এই প্রতারণার পেছনে একটি সুসংগঠিত চক্র কাজ করতো এবং তিনিই ছিলেন সেই চক্রের নেত্রী। তার গ্যাং সদস্যরা অনুরাধার ছবি ও প্রোফাইল সম্ভাব্য বরদের কাছে নিয়ে যেত। বিয়ের জন্য ২ লাখ রুপিতে চুক্তি হতো।

চুক্তি সই হওয়ার পর একটি বিবাহ সম্মতিপত্র তৈরি করা হতো। এরপর দম্পতিরা মন্দিরে বা বাড়িতে রীতি অনুযায়ী বিয়ে করতো, যা পুরোটাই ছিল একটি নাটক।

‘লুটেরি দুলহান’ খ্যাত এই নারী তার বর এবং শ্বশুরবাড়ির সকলের সঙ্গে অত্যন্ত সুন্দর ও সরল আচরণ করতেন। তাদের বিশ্বাস অর্জন করার জন্য তিনি পরিবারের প্রতিটি সদস্যের সাথে একটি দৃঢ় বন্ধন তৈরির চেষ্টা করতেন। এরপর কয়েক দিনের মধ্যেই তার চূড়ান্ত পরিকল্পনাটি সম্পাদন করতেন। তিনি খাবারে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে বর ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের অজ্ঞান করে গয়না, নগদ অর্থ এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যেতেন।