০১:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

চীনের ক্রয়াদেশ স্থানান্তরে ধোঁয়াশা, যুক্তরাষ্ট্রের অর্ডার ২০-৩০% কমার আশঙ্কা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:২৪:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫
  • / ২৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা জানিয়েছেন, চীন থেকে কিছু ক্রয়াদেশ স্থানান্তরের সম্ভাবনা থাকলেও তা এখন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। উল্টো যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ক্রয়াদেশে বড় ধরনের পতনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রে তিনটি শীর্ষ মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করতে যান স্প্যারো গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোভন ইসলাম। বৈঠকগুলোতে ক্রেতারা চীন থেকে মেয়েদের পোশাকের ক্রয়াদেশ বাংলাদেশে স্থানান্তরে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন।

কিন্তু গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে মুঠোফোনে শোভন ইসলাম জানান, “ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের পর ক্রেতাদের সঙ্গে আবার যোগাযোগ করেছি। তারা এখন ইতস্তত করছে।

এর মানে ব্যবসার সুযোগটি অনিশ্চিত। উল্টো ক্রেতারা বলছেন, শুল্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাকের চাহিদা কমতে পারে। আগামী শরৎ ও শীত মৌসুমে ক্রয়াদেশ ২০-৩০ শতাংশ কমে যেতে পারে।”

রপ্তানিকারকরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কনীতি তাৎক্ষণিকভাবে বড় প্রভাব না ফেললেও দীর্ঘমেয়াদে ক্রয়াদেশে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। মার্কিন ক্রেতারা ইতোমধ্যে বাড়তি শুল্কের খরচ হিসাব করতে শুরু করেছে। তারা পরামর্শ দিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকারের উচিত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্রুত আলোচনায় বসা।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানান, “পরিস্থিতি পুরোপুরি বোঝার জন্য আরও কয়েক দিন সময় লাগবে।” তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে আগামীকাল রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ে জরুরি বৈঠক হবে।

দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বুধবার হোয়াইট হাউসে নতুন শুল্কনীতি ঘোষণা করেন। এতে বিশ্বের আমদানিকারক দেশগুলোর ওপর গড়ে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, যার বাইরে বাংলাদেশের মতো কিছু দেশে বাড়তি শুল্ক ধরা হয়েছে।

এ ঘোষণার পর বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। চীন পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছে।

বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে এই অনিশ্চয়তা মোকাবিলায় দ্রুত কূটনৈতিক তৎপরতার ওপর জোর দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

চীনের ক্রয়াদেশ স্থানান্তরে ধোঁয়াশা, যুক্তরাষ্ট্রের অর্ডার ২০-৩০% কমার আশঙ্কা

আপডেট সময় ১০:২৪:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা জানিয়েছেন, চীন থেকে কিছু ক্রয়াদেশ স্থানান্তরের সম্ভাবনা থাকলেও তা এখন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। উল্টো যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ক্রয়াদেশে বড় ধরনের পতনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রে তিনটি শীর্ষ মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করতে যান স্প্যারো গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোভন ইসলাম। বৈঠকগুলোতে ক্রেতারা চীন থেকে মেয়েদের পোশাকের ক্রয়াদেশ বাংলাদেশে স্থানান্তরে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন।

কিন্তু গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে মুঠোফোনে শোভন ইসলাম জানান, “ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের পর ক্রেতাদের সঙ্গে আবার যোগাযোগ করেছি। তারা এখন ইতস্তত করছে।

এর মানে ব্যবসার সুযোগটি অনিশ্চিত। উল্টো ক্রেতারা বলছেন, শুল্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাকের চাহিদা কমতে পারে। আগামী শরৎ ও শীত মৌসুমে ক্রয়াদেশ ২০-৩০ শতাংশ কমে যেতে পারে।”

রপ্তানিকারকরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কনীতি তাৎক্ষণিকভাবে বড় প্রভাব না ফেললেও দীর্ঘমেয়াদে ক্রয়াদেশে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। মার্কিন ক্রেতারা ইতোমধ্যে বাড়তি শুল্কের খরচ হিসাব করতে শুরু করেছে। তারা পরামর্শ দিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকারের উচিত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্রুত আলোচনায় বসা।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানান, “পরিস্থিতি পুরোপুরি বোঝার জন্য আরও কয়েক দিন সময় লাগবে।” তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে আগামীকাল রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ে জরুরি বৈঠক হবে।

দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বুধবার হোয়াইট হাউসে নতুন শুল্কনীতি ঘোষণা করেন। এতে বিশ্বের আমদানিকারক দেশগুলোর ওপর গড়ে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, যার বাইরে বাংলাদেশের মতো কিছু দেশে বাড়তি শুল্ক ধরা হয়েছে।

এ ঘোষণার পর বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। চীন পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছে।

বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে এই অনিশ্চয়তা মোকাবিলায় দ্রুত কূটনৈতিক তৎপরতার ওপর জোর দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।