ঢাকায় সফরে আসছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দুই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা

- আপডেট সময় ১২:০৩:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
- / ১০ বার পড়া হয়েছে
গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ও সংস্কার নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী বুধবার ঢাকায় পা রাখবেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল অ্যান চুলিক।
এছাড়া, মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে বুধবার আসবেন পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যান্ড্রু আর হেরাপ।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁর প্রশাসনের কর্মকর্তাদের এটিই বাংলাদেশে প্রথম সফর। অ্যান্ড্রু হেরাপের সঙ্গে মিয়ানমারে মার্কিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত সুসান স্টিভেনসনও থাকবেন।
নিকোল চুলিক চার দিনের সফরে সরকারের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংস্কারে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ও গণতান্ত্রিক পথে ফেরার বিষয়ে আলোচনা করবেন। তিনি বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গেও দেখা করবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জানিয়েছেন, নিকোল চুলিক এখন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হলেও অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির পদ শূন্য থাকায় তিনিই এ বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন।
তিনি সংস্কারে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে সাহায্য করতে পারে, তা জানতে চাইবেন। গণমাধ্যমে জঙ্গিবাদের উত্থানের খবরের কারণে সন্ত্রাসবাদ ও মানবাধিকার নিয়েও আলোচনা হতে পারে। তিনি বলেন, ১/১১-এর সময় সংস্কারে গুরুত্ব না দেওয়াকে মার্কিনরা ভুল মনে করে। বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা করতে আগ্রহী।
অন্যদিকে, অ্যান্ড্রু হেরাপের আলোচনায় মিয়ানমার পরিস্থিতি গুরুত্ব পাবে। তিনি প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন স্তরে বৈঠক করবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা জানান, মিয়ানমারের পরিস্থিতি ক্রমাগত অস্থিতিশীল।
যুক্তরাষ্ট্র এটিকে তাদের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশলের জন্য বাধা মনে করে। মিয়ানমারের অধিকাংশ এলাকায় সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই। দেশটি মাদক পাচার, অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা, মানব পাচার, ও অপহরণের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
রোহিঙ্গা সংকটও এর সঙ্গে জড়িত। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী এসব অপরাধে জড়িত। এমনকি বিভিন্ন দেশের অপরাধীরা মিয়ানমার থেকে অপরাধমূলক কাজ চালাচ্ছে। এসব বিষয় সফরে উঠে আসবে।