ঢাকা ০৭:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

সমঝোতা হয়নি আইএমএফের কিস্তি ছাড়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০২:৫৬:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / ২৬৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশকে দেওয়া ঋণের পরবর্তী কিস্তি ছাড়তে এখনই রাজি হয়নি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল—আইএমএফ। দুই সপ্তাহের আলোচনার পরও তারা বলেছে—আরও আলোচনা প্রয়োজন। 

গতকাল বৃহস্পতিবার, বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানায় আইএমএফের প্রতিনিধিদল।

তারা জানিয়েছে, এই বিষয়ে পরবর্তী আলোচনা হবে ২১ থেকে ২৬ এপ্রিল, যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিতব্য আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন সভায়।

ব্রিফিংয়ে আইএমএফ মিশনের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও বলেন—বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে চ্যালেঞ্জের মুখে আছে, তবে আইএমএফ বাংলাদেশের পাশে থাকবে।

আইএমএফ মনে করে, দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ঘাটতি আর উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এখন কঠোর নীতিগত পদক্ষেপ দরকার। তারা জানায়, বাংলাদেশের অর্থনীতি ধীর হয়ে গেছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে জিডিপি প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছে ৩ দশমিক ৩ শতাংশে, যেখানে গত বছর একই সময় ছিল ৫ দশমিক ১ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতির অবস্থাও উদ্বেগজনক—২০২৪ সালের জুলাইয়ে যা ছিল ১১ দশমিক ৭ শতাংশ, এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ, তবুও এটা এখনও বাংলাদেশ ব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রার অনেক বেশি।

আইএমএফ বলেছে, সামাজিক খাতে ব্যয় এবং অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে, খরচ কমাতে হবে এবং একটি স্বচ্ছ, ন্যায্য কর ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

তাদের মতে, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হলে ব্যাংকিং খাতের সংস্কার দরকার।

আইএমএফ জানায়, তারা আশা করছে এপ্রিল মাসে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত সভায় একটি সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হবে।  তবে তারা বাংলাদেশের আন্তরিকতা, উন্মুক্ত আলোচনা ও আতিথেয়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

সমঝোতা হয়নি আইএমএফের কিস্তি ছাড়ে

আপডেট সময় ০২:৫৬:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশকে দেওয়া ঋণের পরবর্তী কিস্তি ছাড়তে এখনই রাজি হয়নি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল—আইএমএফ। দুই সপ্তাহের আলোচনার পরও তারা বলেছে—আরও আলোচনা প্রয়োজন। 

গতকাল বৃহস্পতিবার, বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানায় আইএমএফের প্রতিনিধিদল।

তারা জানিয়েছে, এই বিষয়ে পরবর্তী আলোচনা হবে ২১ থেকে ২৬ এপ্রিল, যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিতব্য আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন সভায়।

ব্রিফিংয়ে আইএমএফ মিশনের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও বলেন—বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে চ্যালেঞ্জের মুখে আছে, তবে আইএমএফ বাংলাদেশের পাশে থাকবে।

আইএমএফ মনে করে, দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ঘাটতি আর উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এখন কঠোর নীতিগত পদক্ষেপ দরকার। তারা জানায়, বাংলাদেশের অর্থনীতি ধীর হয়ে গেছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে জিডিপি প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছে ৩ দশমিক ৩ শতাংশে, যেখানে গত বছর একই সময় ছিল ৫ দশমিক ১ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতির অবস্থাও উদ্বেগজনক—২০২৪ সালের জুলাইয়ে যা ছিল ১১ দশমিক ৭ শতাংশ, এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ, তবুও এটা এখনও বাংলাদেশ ব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রার অনেক বেশি।

আইএমএফ বলেছে, সামাজিক খাতে ব্যয় এবং অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে, খরচ কমাতে হবে এবং একটি স্বচ্ছ, ন্যায্য কর ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

তাদের মতে, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হলে ব্যাংকিং খাতের সংস্কার দরকার।

আইএমএফ জানায়, তারা আশা করছে এপ্রিল মাসে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত সভায় একটি সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হবে।  তবে তারা বাংলাদেশের আন্তরিকতা, উন্মুক্ত আলোচনা ও আতিথেয়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।