দুবাইয়ে অর্থপাচারে ৭০ জন সনাক্ত করেছে দুদক; জেনে নিন কারা

- আপডেট সময় ০১:২৪:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
- / ২৬৪ বার পড়া হয়েছে
দুবাইয়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের সম্পদ ক্রয়ের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত শুরু করেছে। সম্প্রতি দুদক ৭০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করছে। এদের মধ্যে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ‘সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজ’ এবং ইউরোপীয় সংস্থা ‘ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরি’র তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সাল পর্যন্ত ৪৫৯ বাংলাদেশির নামে দুবাইয়ে ৯৭২টি সম্পত্তি কেনার রেকর্ড রয়েছে। এসব সম্পত্তির আনুষ্ঠানিক মূল্য ৩১ কোটি ৩০ লাখ ডলার। তবে প্রকৃত মূল্য আরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দুদকের উপপরিচালক রাম প্রসাদ মন্ডলের স্বাক্ষরিত চিঠিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে ৭০ জনের ই-টিআইএন, আয়কর রিটার্ন ও অন্যান্য নথি চাওয়া হয়েছে।
তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন: আহসানুল করীম, আনজুমান আরা শহীদ, হেফজুল বারী মোহাম্মদ ইকবাল, হুমায়রা সেলিম, জুরান চন্দ্র ভৌমিক, মো. রাব্বী খান, মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, মোহাম্মদ অলিউর রহমান, এস এ খান ইখতেখারুজ্জামান, সাইফুজ্জামান চৌধুরী, সৈয়দ ফাহিম আহমেদ, সৈয়দ হাসনাইন, সৈয়দ মাহমুদুল হক, সৈয়দ রুহুল হক, গোলাম মোহাম্মদ ভূঁইয়া, হাজী মোস্তফা ভূঁইয়া, মনজ কান্তি পাল, মো. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, মো. মাহবুবুল হক সরকার, মো. সেলিম রেজা, মোহাম্মদ ইলিয়াস বজলুর রহমান, এস ইউ আহমেদ, শেহতাজ মুন্সী খান, এ কে এম ফজলুর রহমান, আবু ইউসুফ মো. আবদুল্লাহ, চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, গুলজার আলম চৌধুরী, হাসান আশিক তাইমুর ইসলাম, হাসান রেজা মহিদুল ইসলাম, খালেদ মাহমুদ, এম সাজ্জাদ আলম, মোহাম্মদ ইয়াসিন আলী, মোস্তফা আমির ফয়সাল, রিফাত আলী ভূঁইয়া, সালিমুল হক ঈসা/হাকিম মোহাম্মদ ঈসা, সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামান/সৈয়দ কামরুজ্জামান, সৈয়দ সালমান মাসুদ, সৈয়দ সাইমুল হক, আবদুল হাই সরকার, আহমেদ সামীর পাশা, ফাহমিদা শবনম চৈতি, মো. আবুল কালাম, ফাতেমা বেগম কামাল, মোহাম্মদ আল রুমান খান, মায়নুল হক সিদ্দিকী, মুনিয়া আওয়ান, সাদিক হোসেন মো. শাকিল, আবদুল্লাহ মামুন মারুফ, মোহাম্মদ আরমান হোসেন, মোহাম্মদ শওকত হোসেন সিদ্দিকী, মোস্তফা জামাল নাসের, আহমেদ ইমরান চৌধুরী, বিল্লাল হোসেন, এম এ হাশেম, মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন চৌধুরী, নাতাশা নূর মুমু, সৈয়দ মিজান মোহাম্মদ আবু হানিফ সিদ্দিকী, সায়েদা দুররাক সিনদা জারা, আহমেদ ইফজাল চৌধুরী, ফারহানা মোনেম, ফারজানা আনজুম খান, কে এইচ মশিউর রহমান, এম এ সালাম, মো. আলী হোসেন, মোহাম্মদ ইমদাদুল হক ভরসা, মোহাম্মদ ইমরান, মোহাম্মদ রোহেন কবীর, মনজিলা মোর্শেদ, মোহাম্মদ সানাউল্যাহ চৌধুরী, মোহাম্মদ সরফুল ইসলাম, সৈয়দ রফিকুল আলম ও আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, “দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় নথি তলব করতে পারেন। আমরা প্রমাণের ভিত্তিতে আইনি পদক্ষেপ নেব।”
২০২৩ সালের ১৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের সম্পদ ক্রয়ের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। এরপরই দুদক, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করতে বলা হয়।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক বছরে দুবাইয়ের রিয়েল এস্টেট খাতে বাংলাদেশিদের বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশিরা দুবাইয়ে ব্যাপক সম্পত্তি কিনছেন। এমনকি নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, চীন ও জার্মানির নাগরিকদের চেয়েও বাংলাদেশিরা এখন দুবাইয়ে বেশি সম্পত্তি কিনছেন।