ঢাকা ০২:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

আদালতে তুরিন আফরোজের কান্না, সান্ত্বনা দিলেন ইনু

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০২:২৬:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
  • / ২৮১ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজকে বুধবার সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের কাঠগড়ায় ওঠে তিনি ফুঁপিয়ে কাঁদতে শুরু করেন।

এ সময় সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক আইজিপি শহিদুল হক এবং ছাত্রলীগের সাবেক নেতা তানভীর হাসান সৈকত তাকে সান্ত্বনা দেন।

বুধবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে তুরিনকে আদালতে আনা হয়। তিনি হেলমেট ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরা ছিলেন। শুনানির সময় তার আইনজীবী দাবি করেন, তুরিনকে নির্যাতন করা হয়েছে এবং তিনি কিছু বলতে চান।

বিচারকের অনুমতি পেয়ে তুরিন বলেন, “আমি আইন মানি। আমি কোনো রাজনৈতিক পদে ছিলাম না। শুধু আমার পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছি। আমি অসুস্থ, হাঁটতে পারি না।” তিনি আদালতে তার পায়ের নির্যাতনের চিহ্নও দেখান।

কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, তুরিন মিথ্যা কথা বলে আদালতকে বিভ্রান্ত করছেন।

শুনানি শেষে বিচারক মো. মাহবুবুর রহমান সন্ত্রাসবিরোধী আইনে উত্তরা পশ্চিম থানার মামলায় তুরিনকে গ্রেপ্তার দেখান। পরে তাকে পুলিশ পাহারায় হাজতখানায় নেওয়া হয়। তখন তিনি হাসিমুখে ছিলেন, কিন্তু কিছু বলেননি।

এর আগে, ৭ এপ্রিল উত্তরার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তুরিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৮ এপ্রিল তাকে চার দিনের রিমান্ড শুনানি শেষে ১২ এপ্রিল তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

তুরিন আফরোজ ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি গোলাম আযমসহ কয়েকটি যুদ্ধাপরাধ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন।

পরে যুদ্ধাপরাধী মোহাম্মদ ওয়াহিদুল হকের সঙ্গে দেখা করার অভিযোগে তাকে ট্রাইব্যুনাল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নও চেয়েছিলেন।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আদালতে তুরিন আফরোজের কান্না, সান্ত্বনা দিলেন ইনু

আপডেট সময় ০২:২৬:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজকে বুধবার সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের কাঠগড়ায় ওঠে তিনি ফুঁপিয়ে কাঁদতে শুরু করেন।

এ সময় সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক আইজিপি শহিদুল হক এবং ছাত্রলীগের সাবেক নেতা তানভীর হাসান সৈকত তাকে সান্ত্বনা দেন।

বুধবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে তুরিনকে আদালতে আনা হয়। তিনি হেলমেট ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরা ছিলেন। শুনানির সময় তার আইনজীবী দাবি করেন, তুরিনকে নির্যাতন করা হয়েছে এবং তিনি কিছু বলতে চান।

বিচারকের অনুমতি পেয়ে তুরিন বলেন, “আমি আইন মানি। আমি কোনো রাজনৈতিক পদে ছিলাম না। শুধু আমার পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছি। আমি অসুস্থ, হাঁটতে পারি না।” তিনি আদালতে তার পায়ের নির্যাতনের চিহ্নও দেখান।

কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, তুরিন মিথ্যা কথা বলে আদালতকে বিভ্রান্ত করছেন।

শুনানি শেষে বিচারক মো. মাহবুবুর রহমান সন্ত্রাসবিরোধী আইনে উত্তরা পশ্চিম থানার মামলায় তুরিনকে গ্রেপ্তার দেখান। পরে তাকে পুলিশ পাহারায় হাজতখানায় নেওয়া হয়। তখন তিনি হাসিমুখে ছিলেন, কিন্তু কিছু বলেননি।

এর আগে, ৭ এপ্রিল উত্তরার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তুরিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৮ এপ্রিল তাকে চার দিনের রিমান্ড শুনানি শেষে ১২ এপ্রিল তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

তুরিন আফরোজ ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি গোলাম আযমসহ কয়েকটি যুদ্ধাপরাধ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন।

পরে যুদ্ধাপরাধী মোহাম্মদ ওয়াহিদুল হকের সঙ্গে দেখা করার অভিযোগে তাকে ট্রাইব্যুনাল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নও চেয়েছিলেন।