পর্যটকদের ওপর হামলার জের
নিরাপত্তা শঙ্কায় কাশ্মীরের অর্ধেকের বেশি পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা

- আপডেট সময় ০২:২১:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
- / ৮ বার পড়া হয়েছে
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনার পর নিরাপত্তা জোরদার করার অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) থেকে একটি সরকারি আদেশে অর্ধেকের বেশি পর্যটন কেন্দ্র সাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর নিশ্চিত করেছে।
সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, কর্তৃপক্ষ ৮৭টি পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে ৪৮টি আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অবশিষ্ট কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। তবে ঠিক কত দিনের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে, তা স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, হিমালয়ের কোলে মনোরম প্রাকৃতিক শোভা এবং ঐতিহাসিক মুঘল বাগান সমৃদ্ধ কাশ্মীর সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করছিল। তবে গত সপ্তাহে পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনা ফের আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। ফলে গ্রীষ্মের ভরা মৌসুমের শুরুতেই অনেক পর্যটক কাশ্মীর ছাড়তে শুরু করেছেন।
অন্যদিকে, ভারত ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরকে বিভক্তকারী ৭৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ নিয়ন্ত্রণরেখাতেও গুলিবিনিময়ের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী মঙ্গলবার জানিয়েছে, তারা মধ্যরাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একাধিক চৌকির দিক থেকে আসা হালকা অস্ত্রের গুলির জবাব দিয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য বা হতাহতের খবর তারা জানায়নি। পাকিস্তান সেনাবাহিনীও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
সোমবার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ভারত একটি সামরিক অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং সেই অনুযায়ী তাদের বাহিনী সতর্ক রয়েছে।
ভারত পেহেলগামের হামলায় জড়িত তিন হামলাকারীর মধ্যে দুজনকে পাকিস্তান থেকে আসা ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে, যারা মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরে সহিংস বিদ্রোহে লিপ্ত। তবে পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করে একটি নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারত দীর্ঘদিন ধরে ইসলাম সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কাশ্মীরে জঙ্গিবাদে মদদ ও অর্থায়নের অভিযোগ করে আসছে। বিপরীতে পাকিস্তান কেবল কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রতি নৈতিক ও কূটনৈতিক সমর্থনের কথা বলে।