চট্টগ্রাম টেস্টের শেষ বিকেলটা ভালো হলো না বাংলাদেশের

- আপডেট সময় ০৭:২৪:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
- / ১২ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ চট্টগ্রাম টেস্টে তিন উইকেটে ২০৫ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের চা-বিরতিতে গিয়েছিল। স্বাগতিকদের বড় লিডের স্বপ্ন ছিল। কিন্তু নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে শেষ সেশনে এসে ব্যাটিং ধসের মুখে পড়তে হলো। বাংলাদেশ এই সেশনে ৩০ ওভারে মাত্র ৮৬ রান তুলতে গিয়ে চারটি উইকেট হারিয়েছে। টাইগাররা ২৫৯ থেকে ২৭৯-এই ২০ রানের মধ্যেই চারটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট খোয়ায়।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ৭ উইকেটে ২৯১ রান নিয়ে। জিম্বাবুয়েকে লিড দিয়েছে ৬৪ রান। মেহেদী হাসান মিরাজ ১৬ রান ও তাইজুল ইসলাম ৫ রান নিয়ে ইউকেটে আছেন।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ৯ উইকেটে ২২৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে জিম্বাবুয়ে। কিন্তু কোনো রান যোগ করতে না পেরেই অলআউট হয় সফরকারীরা।
তাইজুল ইসলাম দিনের প্রথম বলেই ব্লেসিং মুজারাবানিকে আউট করেন। উইকেটরক্ষক জাকের আলীর হাতে ক্যাচ দেন মুজারাবানি।
জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে ৯০.১ ওভারে ২২৭ রানেই অলআউট হয়। ৬০ রানে শিকার করেন ৬টি উইকেট শিকার করেন টাইগার বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: সকালেই তাইজুলের আঘাত, কোনো রান না করেই অলআউট জিম্বাবুয়ে
এরপর ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয় বাংলাদেশকে দারুন সূচনা করে দেন। উদ্বোধনী জুটিতে ১১৮ রান করেন তারা।
দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা বিজয় টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির সম্ভাবনা তৈরি করেও পারেননি। ৮০ বলে ৩৯ রান করে ব্লেসিং মুজারাবানির এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি টাইগার অপেনার। ফলে মন খারাপ করেই মাঠ ছাড়তে হয় বিজয়কে।
ডানহাতি ব্যাটারের ক্যারিয়ারসেরা টেস্ট ইনিংস আজকের এই ৩৯ রান। এর আগে সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ২৩ রানের। যা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০২২ সালের জুনে করেছিলেন গ্রস আইল্যান্ডে। এরপরই লাল বলের ক্রিকেটে আর জাতীয় দলে ফেরা হয়নি বিজয়ের।
দ্বিতীয় উইকেটে ৭৬ রানের জুটি করেন সাদমান ও মুমিনুল হক। ইনিংসের ৫৪তম ওভারে ওয়েলিংটন মাসাকাদজার শেষ বলে বেন কারেনের হাতে ক্যাচ দেন মুমিনুল হক। এতে জুটি ভাঙে। ৬৪ বলে ৩৩ রান করেন বাঁহাতি ব্যাটার।
পরের ওভারের প্রথম বলেই সাদমান ইসলাম ব্রায়ান বেনেটের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন। বাংলাদেশ টানা দুই বলে দুই সেট ব্যাটারকে হাঁরিয়ে ধাক্কা খায়। বাঁহাতি টাইগার ব্যাটার করেন ১৮১ বলে ১৬ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ১২০ রান। এটি সাদমানের টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
২০২১ সালে সাদমান লাল বলে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকান হারারেতে। অর্থাৎ তার দুটি সেঞ্চুরিই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। টেস্ট ক্যারিয়ারে ২২তম ম্যাচে এসে বাঁহাতি ব্যাটার আজ ছুঁয়েছেন ১০০০ রানের মাইলফলকও।
এরপর ঝলক দেখান জিম্বাবুয়ের অভিষিক্ত লেগস্পিনার ভিনসেন্ট মাসেকেসা। আট রানের মধ্যে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আর জাকের আলীকে তুলে নেন তিনি।
বরাবরের মতো প্রশ্নবিদ্ধ শান্তর আউট হওয়ার ধরন। বাংলাদেশ অধিনায়ক শর্ট মিডউইকেটে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে আসেন। তার আগে ২৩ রান করেন ৫৪ বলে।
এরপর মাসেকেসার ঘূর্ণি বুঝতে না পেরে জাকেরও ফিরতি ক্যাচ দেন। ১৩ বলে জাকের করেন ৫ রান। মাসেকেসার পরের ওভারেই অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম কাটা পড়েছেন রানআউটে। মিডঅনে ঠেলে দিয়েই দ্রুত সিঙ্গেল নিতে গিয়েছিলেন। সরাসরি থ্রোতে ননস্ট্রাইকের স্টাম্প ভেঙে দেন মাদভেরে। ৫৯ বলে মুশফিকের ৪০ রানের ইনিংসে ছিল চারটি বাউন্ডারি আর একটি ছক্কার মার।
মাসেকেসার তৃতীয় শিকার হন নাঈম হাসান। স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি তিন করেই। এরপর চার ওভার কাটিয়ে ১২ রান যোগ করেছেন মিরাজ আর তাইজুল।