পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা
ভোটাররা যেন নির্ভয়ে-নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন

- আপডেট সময় ০২:৪৫:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
- / ৫ বার পড়া হয়েছে
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ভোটাররা যেন নির্ভয়ে-নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে তিন দিনব্যাপী ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০২৫’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে পুলিশ সদস্যদের ভূমিকা অনেক। সেজন্য নির্বাচনে সব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রতি সমান আচরণ করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা মনে রাখবেন কোনো ব্যক্তি যদি অন্যায় বা অনিয়মের মধ্যে দিয়ে নির্বাচিত হলে সেই ব্যক্তির দ্বারা সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
সুতরাং কারও দ্বারা ব্যবহৃত হবেন না। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ব্রত হিসেবে নির্বাচনে নিজেদের নিয়োজিত করবেন।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি। কারণ ভবিষ্যতে কখনই যেন পুলিশ বাহিনীকে দলীয় বাহিনী বা অন্যায় কাজে ব্যবহার না করা যায়। অনেক কঠিন নির্বাচনের আগের এই সময়টা। পরাজিত শক্তি যেন কোনোভাবেই দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে সেজন্য আপনাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমরা একটা যুদ্ধাবস্থায় আছি। এটা আমি আগেও বলেছি। অশুভ সব শক্তি নিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছে আমাদের স্বপ্নকে, আমাদের ঐক্যকে ভেঙে দিতে। একে প্রতিহত করার জন্য আপনাদের সবসময় সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অনেক ন্যায্য ও অন্যায্য আন্দোলন নিয়ে মানুষকে রাস্তায় নেমে আসতে দেখেছি। এ সময় আমরা অনেক ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়েছি। আশা করি আগামী দিনগুলোতেও আপনারা এমন ধৈর্য ধরে কাজ করে যাবেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পুলিশ বাহিনীকে সেই ইমেজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে; যাতে করে মানুষ বুঝতে পারে পুলিশ মানুষের বন্ধু। এবার পুলিশ সপ্তাহে প্রথমবারের মতো সাংবাদিক, ধর্মীয় নেতা ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে আমি জানতে পেরেছি।
এ বৈঠকে পুলিশের ওপর জনসাধারণের প্রত্যাশা নিয়ে আলোচনা হবে। আমার প্রত্যাশা হলো, এটি যেন চলমান থাকে। প্রতি বছর পুলিশ সপ্তাহে যেন এ ধরনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশের সঙ্গে জনগণের দূরত্ব কমিয়ে আনতে এটি অত্যন্ত জরুরি।