১০:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
চমেক ছাত্র আবিদ হত্যা

খালাস পাওয়া ১২ আসামিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ হাইকোর্টের

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৩:৩২:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১৩ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ছাত্রাবাসে ২০১১ সালে ছাত্রদলকর্মী সন্দেহে বিডিএস তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আবিদুর রহমান আবিদ হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে খালাস পাওয়া ১২ জন আসামিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আসামিরা তৎকালীন চমেক শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ছিলেন।

বাদীপক্ষের আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল ২০২৫) বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে বিচারিক আদালতের দেওয়া রায় কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

আদালতে বাদীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অজি উল্লাহ ও আইনজীবী আজিমুদ্দিন পাটোয়ারী। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

আত্মসমর্পণের নির্দেশ পাওয়া আসামিরা হলেন—তৎকালীন ছাত্রসংসদের ভিপি মফিজুর রহমান জুম্মা, চমেক ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল পারভেজ সুমন, সাধারণ সম্পাদক বিজয় সরকার, সহ-সাধারণ সম্পাদক হিমেল চাকমা, ফেরদৌস রাসেল, শান্ত দেবনাথ, মাহাফুজুর রহমান ধীমান, নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, দেবাশীষ চক্রবর্তী, মোস্তফা কামাল, রাশেদুর রেজা সানি ও সালমান মাহমুদ রাফসান।

উল্লেখ্য, ছাত্রদল চমেক শাখার তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আহমেদ দাবি করেছিলেন, আবিদুর রহমান আবিদ তাদের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর রাতে আবিদসহ ছাত্রদলের কর্মী ফয়সাল, নাজিম ও মাসুমকে মারধর করে গুরুতর আহত করে ছাত্রলীগ। দুদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবিদ মারা যান। এই ঘটনার পর সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ করলে কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং ছাত্রসংসদের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।

আবিদের স্বজনদের অভিযোগ, ছাত্রদলের কমিটি গঠনের চেষ্টাকালে তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতারা কয়েক দফায় মারধর করেছিলেন আবিদকে। এই ঘটনায় আবিদের মামা নেয়ামত উল্লাহ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় ২২ জন ছাত্রলীগ ও ছাত্রসংসদ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০১৯ সালের ১০ জুলাই অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত ওই মামলার রায়ে সকল আসামিকে খালাস দেন। এরপর বাদী নেয়ামত উল্লাহ হাইকোর্টে আপিল করেন।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

চমেক ছাত্র আবিদ হত্যা

খালাস পাওয়া ১২ আসামিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ হাইকোর্টের

আপডেট সময় ০৩:৩২:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ছাত্রাবাসে ২০১১ সালে ছাত্রদলকর্মী সন্দেহে বিডিএস তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আবিদুর রহমান আবিদ হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে খালাস পাওয়া ১২ জন আসামিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আসামিরা তৎকালীন চমেক শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ছিলেন।

বাদীপক্ষের আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল ২০২৫) বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে বিচারিক আদালতের দেওয়া রায় কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

আদালতে বাদীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অজি উল্লাহ ও আইনজীবী আজিমুদ্দিন পাটোয়ারী। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

আত্মসমর্পণের নির্দেশ পাওয়া আসামিরা হলেন—তৎকালীন ছাত্রসংসদের ভিপি মফিজুর রহমান জুম্মা, চমেক ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল পারভেজ সুমন, সাধারণ সম্পাদক বিজয় সরকার, সহ-সাধারণ সম্পাদক হিমেল চাকমা, ফেরদৌস রাসেল, শান্ত দেবনাথ, মাহাফুজুর রহমান ধীমান, নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, দেবাশীষ চক্রবর্তী, মোস্তফা কামাল, রাশেদুর রেজা সানি ও সালমান মাহমুদ রাফসান।

উল্লেখ্য, ছাত্রদল চমেক শাখার তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আহমেদ দাবি করেছিলেন, আবিদুর রহমান আবিদ তাদের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর রাতে আবিদসহ ছাত্রদলের কর্মী ফয়সাল, নাজিম ও মাসুমকে মারধর করে গুরুতর আহত করে ছাত্রলীগ। দুদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবিদ মারা যান। এই ঘটনার পর সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ করলে কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং ছাত্রসংসদের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।

আবিদের স্বজনদের অভিযোগ, ছাত্রদলের কমিটি গঠনের চেষ্টাকালে তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতারা কয়েক দফায় মারধর করেছিলেন আবিদকে। এই ঘটনায় আবিদের মামা নেয়ামত উল্লাহ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় ২২ জন ছাত্রলীগ ও ছাত্রসংসদ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০১৯ সালের ১০ জুলাই অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত ওই মামলার রায়ে সকল আসামিকে খালাস দেন। এরপর বাদী নেয়ামত উল্লাহ হাইকোর্টে আপিল করেন।