০৫:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৪ মে ২০২৫
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক

বিতর্কিত নারী সংস্কার কমিশন দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৪:৫৭:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
  • / ৪ বার পড়া হয়েছে

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব দেশের আপামর মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতের মহাসমাবেশে শনিবার (৩ মে) তিনি এ মন্তব্য করেন।

মামুনুল হক বলেন, ধর্মীয় উত্তরাধিকার বিধান, পারিবারিক বিধানকে নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্যের প্রধান কারণ আখ্যায়িত করে কোরআন ও ইসলামকে কটাক্ষ করা হয়েছে। এই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে।

মামুনুল হক আরও বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা দেখতে চাই। বিতর্কিত নারীবাদীদের আদর্শ বা দর্শন নয় বরং ইসলাম প্রদত্ত-আল্লাহর ঘোষিত নারীর ন্যায্য অধিকারে বিশ্বাসী হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
হেফাজতের নেতাকর্মীদের আগামী মাসগুলোতে গোটা বাংলাদেশ জুড়ে নারীর ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য মাঠে নামতে হবে।

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব বলেন, আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলি, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে বাংলাদেশের সংবিধানসহ রাষ্ট্রের ব্যাপক সংস্কার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সংস্কার চলাকালে আল্লাহর একত্ববাদবিরোধী কোনো কনসেপ্ট বাংলার মানুষ গ্রহণ করবে না। আমরা সংবিধানে আল্লাহর ওপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাসের পুনর্বহালের দাবি করছি। এ দাবি বাস্তবায়নের জন্য আগামী দিনে হেফাজত ইসলামের কঠোর কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে সেই সিদ্ধান্ত নেবে।

খেলাফত মজলিসের এই নেতা বলেন, মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন নামতে ভারতীয় মুসলিমদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সীমান্তের এপার থেকে আমরা আপনাদের পাশে আছি।

সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশ্যে মামুনুল হক বলেন, ড. ইউনূসের সঙ্গে অনেকবার সাক্ষাৎ করে বিনয়ের সঙ্গে আবেদন করেছি, আমাদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদের আমলে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করেন। কেন যেন মনে হচ্ছে সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠবে না। প্রফেসর ইউনূস আপনি কি ভুলে গেছেন, সেদিনও আপনি আমাদের সঙ্গে আদালতের পাড়ায় পাড়ায় ঘুরতেন। আদালতের অলিতে-গলিতে ঘুরতেন। আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলছি আগামী দুই মাসের মধ্যে হেফাজত ইসলামের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাগুলো যদি প্রত্যাহার না করা হয়, হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ যা করা দরকার হয় তাই করবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক

বিতর্কিত নারী সংস্কার কমিশন দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে

আপডেট সময় ০৪:৫৭:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব দেশের আপামর মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতের মহাসমাবেশে শনিবার (৩ মে) তিনি এ মন্তব্য করেন।

মামুনুল হক বলেন, ধর্মীয় উত্তরাধিকার বিধান, পারিবারিক বিধানকে নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্যের প্রধান কারণ আখ্যায়িত করে কোরআন ও ইসলামকে কটাক্ষ করা হয়েছে। এই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে।

মামুনুল হক আরও বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা দেখতে চাই। বিতর্কিত নারীবাদীদের আদর্শ বা দর্শন নয় বরং ইসলাম প্রদত্ত-আল্লাহর ঘোষিত নারীর ন্যায্য অধিকারে বিশ্বাসী হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
হেফাজতের নেতাকর্মীদের আগামী মাসগুলোতে গোটা বাংলাদেশ জুড়ে নারীর ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য মাঠে নামতে হবে।

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব বলেন, আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলি, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে বাংলাদেশের সংবিধানসহ রাষ্ট্রের ব্যাপক সংস্কার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সংস্কার চলাকালে আল্লাহর একত্ববাদবিরোধী কোনো কনসেপ্ট বাংলার মানুষ গ্রহণ করবে না। আমরা সংবিধানে আল্লাহর ওপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাসের পুনর্বহালের দাবি করছি। এ দাবি বাস্তবায়নের জন্য আগামী দিনে হেফাজত ইসলামের কঠোর কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে সেই সিদ্ধান্ত নেবে।

খেলাফত মজলিসের এই নেতা বলেন, মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন নামতে ভারতীয় মুসলিমদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সীমান্তের এপার থেকে আমরা আপনাদের পাশে আছি।

সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশ্যে মামুনুল হক বলেন, ড. ইউনূসের সঙ্গে অনেকবার সাক্ষাৎ করে বিনয়ের সঙ্গে আবেদন করেছি, আমাদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদের আমলে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করেন। কেন যেন মনে হচ্ছে সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠবে না। প্রফেসর ইউনূস আপনি কি ভুলে গেছেন, সেদিনও আপনি আমাদের সঙ্গে আদালতের পাড়ায় পাড়ায় ঘুরতেন। আদালতের অলিতে-গলিতে ঘুরতেন। আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলছি আগামী দুই মাসের মধ্যে হেফাজত ইসলামের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাগুলো যদি প্রত্যাহার না করা হয়, হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ যা করা দরকার হয় তাই করবে।