ঢাকা ১০:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে আইপিএল স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০২:২৬:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫
  • / ২৫৩ বার পড়া হয়েছে

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) সীমান্তে বিরাজমান উত্তেজনার মধ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আয়োজকরা। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে এই খবর। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিগগিরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে আইপিএল কর্তৃপক্ষ।

ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে দিল্লি ক্যাপিটালস ও পাঞ্জাব কিংসের মধ্যকার ম্যাচ মাঝপথেই হুট করে ‘নিরাপত্তা শঙ্কা’র কথা বলে স্থগিত করে দিয়েছিল বিসিসিআই।

আইপিএল চেয়ারম্যান আরুন ধুমাল জানান, পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। একইসঙ্গে তিনি আশ্বস্ত করেন শুক্রবার (৯ মে) লাক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ম্যাচটি নির্ধারিত সূচিতেই অনুষ্ঠিত হবে।

তবে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে চলমান সংঘাতের কারণে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে জরুরি বৈঠক করে আইপিএলের বাকি খেলা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন আয়োজকরা।

ধর্মশালা ও এর আশপাশের বিমানবন্দরগুলো বন্ধ থাকায় পাঞ্জাব ও দিল্লির ক্রিকেটার এবং সাপোর্ট স্টাফের সদস্যদের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সকালে সেই ট্রেনে চেপে তারা দিল্লিতে গেছেন।

টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ৫৮টি ম্যাচ খেলা হয়েছে। প্রথম পর্বে ১২টিসহ মোট ১৬ ম্যাচ বাকি রয়েছে। প্রথম পর্বের ম্যাচগুলো আহমেদাবাদ (৩) লাক্ষ্ণৌ (২), বেঙ্গালুরু (২), হায়দরাবাদ, দিল্লি, চেন্নাই, মুম্বাই ও জয়পুরে হওয়ার কথা। প্লে-অফের ম্যাচগুলো হওয়ার কথা ছিল হায়দরাবাদ ও কলকাতায়।

যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে পাকিস্তান সুপার লিগেও (পিএসএল)। পাকিস্তানের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের বাকি আট ম্যাচ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে।

গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। যার দায় পাকিস্তানের ওপর দিচ্ছে ভারত সরকার। ফলে দুই দেশের মধ্যে তৈরি হয় তীব্র উত্তেজনা।

পেহেলগামে ওই সন্ত্রাসী হামলার ‘বদলায়’ গত মঙ্গলবার গভীররাতে পাকিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের ৯টি স্থানে হামলা চালায় ভারত। তার পাল্টায় গোলাবর্ষণসহ সামরিক জবাব দেয় পাকিস্তানও। এ সংঘাতে দুই দেশ মিলিয়ে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, মৃত্যু হয়েছে ৪৬ জনের।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে আইপিএল স্থগিত

আপডেট সময় ০২:২৬:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) সীমান্তে বিরাজমান উত্তেজনার মধ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আয়োজকরা। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে এই খবর। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিগগিরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে আইপিএল কর্তৃপক্ষ।

ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে দিল্লি ক্যাপিটালস ও পাঞ্জাব কিংসের মধ্যকার ম্যাচ মাঝপথেই হুট করে ‘নিরাপত্তা শঙ্কা’র কথা বলে স্থগিত করে দিয়েছিল বিসিসিআই।

আইপিএল চেয়ারম্যান আরুন ধুমাল জানান, পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। একইসঙ্গে তিনি আশ্বস্ত করেন শুক্রবার (৯ মে) লাক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ম্যাচটি নির্ধারিত সূচিতেই অনুষ্ঠিত হবে।

তবে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে চলমান সংঘাতের কারণে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে জরুরি বৈঠক করে আইপিএলের বাকি খেলা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন আয়োজকরা।

ধর্মশালা ও এর আশপাশের বিমানবন্দরগুলো বন্ধ থাকায় পাঞ্জাব ও দিল্লির ক্রিকেটার এবং সাপোর্ট স্টাফের সদস্যদের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সকালে সেই ট্রেনে চেপে তারা দিল্লিতে গেছেন।

টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ৫৮টি ম্যাচ খেলা হয়েছে। প্রথম পর্বে ১২টিসহ মোট ১৬ ম্যাচ বাকি রয়েছে। প্রথম পর্বের ম্যাচগুলো আহমেদাবাদ (৩) লাক্ষ্ণৌ (২), বেঙ্গালুরু (২), হায়দরাবাদ, দিল্লি, চেন্নাই, মুম্বাই ও জয়পুরে হওয়ার কথা। প্লে-অফের ম্যাচগুলো হওয়ার কথা ছিল হায়দরাবাদ ও কলকাতায়।

যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে পাকিস্তান সুপার লিগেও (পিএসএল)। পাকিস্তানের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের বাকি আট ম্যাচ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে।

গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। যার দায় পাকিস্তানের ওপর দিচ্ছে ভারত সরকার। ফলে দুই দেশের মধ্যে তৈরি হয় তীব্র উত্তেজনা।

পেহেলগামে ওই সন্ত্রাসী হামলার ‘বদলায়’ গত মঙ্গলবার গভীররাতে পাকিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের ৯টি স্থানে হামলা চালায় ভারত। তার পাল্টায় গোলাবর্ষণসহ সামরিক জবাব দেয় পাকিস্তানও। এ সংঘাতে দুই দেশ মিলিয়ে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, মৃত্যু হয়েছে ৪৬ জনের।