ট্রাম্পের শুল্ক ধাক্কা!
বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দর কষাকষি শুরু বাংলাদেশের

- আপডেট সময় ০৯:৩৮:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
- / ২৫১ বার পড়া হয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত পাল্টা শুল্কের খড়গ থেকে রেহাই পেতে তোড়জোড় শুরু করেছে বাংলাদেশ।
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যে আমদানি বৃদ্ধি এবং শুল্ক কমানোর পণ্যের তালিকা চূড়ান্ত করার কাজ চলছে জোরেশোরে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় ৪০টি এইচএস কোডের পণ্যের আমদানি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। একইসাথে, প্রায় ১০০টি পণ্যে শুল্ক কমানোর জন্য একটি খসড়া তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
এই তালিকা খুব শীঘ্রই যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) দপ্তরে পাঠানো হবে।
এর আগে, গত ৭ মে ইউএসটিআর-এর পক্ষ থেকে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের কাছে লিখিত প্রস্তাব চাওয়া হয়। তার আগে, বাণিজ্য উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করে চিঠি দিয়েছিলেন।
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, আমদানি বাড়ানো যায় এমন কিছু পণ্যের খসড়া তৈরি করা হয়েছে এবং ১০০টি পণ্যকে শুল্কমুক্ত তালিকায় যুক্ত করার কাজও চলছে।
উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের ৫৭টি দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন, যার মধ্যে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক ধার্য করা হয়েছিল।
তবে, পরবর্তীতে ৯ এপ্রিল এই শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয় এবং সকল দেশের ওপর ন্যূনতম ১০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর থাকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ বিশ্ববাজার থেকে বছরে ২০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের ১৪টি পণ্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানির সুযোগ রয়েছে।
এর মধ্যে পেট্রোলিয়াম পণ্য, তুলা, তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি), সয়াবিন, গম, প্রাকৃতিক গ্যাস, স্বর্ণ, ভুট্টা, ভ্যাকসিন এবং গহনা সামগ্রীর মতো পণ্য উল্লেখযোগ্য।
এছাড়াও, বাংলাদেশ বর্তমানে ১৯০টি পণ্যে শূন্য শুল্ক সুবিধা দিচ্ছে এবং আরও ১০০টি পণ্যকে এই তালিকায় যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে। বাণিজ্য উপদেষ্টা ইউএসটিআরকে দেওয়া চিঠিতে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য কেনার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
এই পদক্ষেপগুলো ওয়াশিংটনের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নত করতে এবং ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কের নেতিবাচক প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে সহায়ক হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।