ঢাকা ০৬:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

গদখালীতে মহাসড়কে ফুল বেচাকেনায় নিষেধাজ্ঞা!

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ১০:২৩:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
  • / ২৫৩ বার পড়া হয়েছে

‘ফুলের রাজধানী’ খ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালীর প্রধান সড়কে ফুল কেনাবেচা এবার বন্ধ হচ্ছে। ঝিকরগাছা উপজেলা প্রশাসন এক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে ফুলসহ যেকোনো ধরনের ব্যবসা এবং জনসমাগম নিষিদ্ধ করেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভুপালী সরকার স্বাক্ষরিত এই বিজ্ঞপ্তিটি সোমবার দুপুরে প্রকাশ করা হয় এবং আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে এটি কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মহাসড়কের দুই পাশে ঝুঁকিপূর্ণ মৃত রেইনট্রি গাছ রয়েছে। একইসাথে, এটি দেশের অন্যতম ব্যস্ততম বেনাপোল স্থলবন্দরের সাথে ঢাকা-খুলনা-যশোরের সংযোগ স্থাপনকারী প্রধান সড়ক।

রাস্তার ওপর ফুল ব্যবসায়ীদের সমাগম যানজট সৃষ্টি করে এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়। এই আশঙ্কার কথা বিবেচনা করে, উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তর যৌথভাবে গদখালী ও পানিসারায় সরকারি খরচে দুটি আধুনিক ফুল বিপণন কেন্দ্র স্থাপন করেছে।

যশোর জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা কিশোর কুমার সাহা জানান, চাষি ও ব্যবসায়ীদের নিরাপদ পরিবেশে ফুল বেচাকেনার সুবিধার জন্য এই দুটি বিপণন কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে।

গদখালীর কেন্দ্রটি আগামীকাল থেকে চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। কেন্দ্রে যাতায়াতের জন্য রাস্তাটি পাকা করা হয়েছে, ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থাও উন্নত হবে।

এছাড়াও, গদখালী বাজারের তুলনায় নতুন বিপণন কেন্দ্রের টোল খরচ অনেক কম হওয়ায় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। যেখানে গদখালী বাজারের ইজারামূল্য ৬ লাখ টাকা, সেখানে নতুন বিপণন কেন্দ্রের টোল ধরা হয়েছে মাত্র ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা।

প্রতিদিন কাকডাকা ভোরে গদখালী বাজারে মহাসড়কের ওপর ফুলের হাট বসে, যা ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি করে এবং প্রায়শই দুর্ঘটনার কারণ হয়। এই সমস্যার সমাধানে চার বছর আগে ১ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ফুল বিপণন কেন্দ্র স্থাপন করা হলেও, সংযোগ সড়কের সমস্যার কারণে কৃষকরা সেখানে যেতে আগ্রহী হননি।

 অন্যদিকে, ঝিকরগাছার পানিসারায় বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণন কেন্দ্রটি তিন বছর ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। সাড়ে ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই আধুনিক কেন্দ্রে ফুল সংরক্ষণ ও বিপণনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল সুবিধা বিদ্যমান। তবে, গদখালী বাজারের কাছে হওয়ায় এবং পরিবহন সুবিধার অভাবে চাষিরা এই কেন্দ্র ব্যবহারে আগ্রহ দেখাননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

গদখালীতে মহাসড়কে ফুল বেচাকেনায় নিষেধাজ্ঞা!

আপডেট সময় ১০:২৩:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

‘ফুলের রাজধানী’ খ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালীর প্রধান সড়কে ফুল কেনাবেচা এবার বন্ধ হচ্ছে। ঝিকরগাছা উপজেলা প্রশাসন এক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে ফুলসহ যেকোনো ধরনের ব্যবসা এবং জনসমাগম নিষিদ্ধ করেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভুপালী সরকার স্বাক্ষরিত এই বিজ্ঞপ্তিটি সোমবার দুপুরে প্রকাশ করা হয় এবং আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে এটি কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মহাসড়কের দুই পাশে ঝুঁকিপূর্ণ মৃত রেইনট্রি গাছ রয়েছে। একইসাথে, এটি দেশের অন্যতম ব্যস্ততম বেনাপোল স্থলবন্দরের সাথে ঢাকা-খুলনা-যশোরের সংযোগ স্থাপনকারী প্রধান সড়ক।

রাস্তার ওপর ফুল ব্যবসায়ীদের সমাগম যানজট সৃষ্টি করে এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়। এই আশঙ্কার কথা বিবেচনা করে, উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তর যৌথভাবে গদখালী ও পানিসারায় সরকারি খরচে দুটি আধুনিক ফুল বিপণন কেন্দ্র স্থাপন করেছে।

যশোর জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা কিশোর কুমার সাহা জানান, চাষি ও ব্যবসায়ীদের নিরাপদ পরিবেশে ফুল বেচাকেনার সুবিধার জন্য এই দুটি বিপণন কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে।

গদখালীর কেন্দ্রটি আগামীকাল থেকে চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। কেন্দ্রে যাতায়াতের জন্য রাস্তাটি পাকা করা হয়েছে, ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থাও উন্নত হবে।

এছাড়াও, গদখালী বাজারের তুলনায় নতুন বিপণন কেন্দ্রের টোল খরচ অনেক কম হওয়ায় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। যেখানে গদখালী বাজারের ইজারামূল্য ৬ লাখ টাকা, সেখানে নতুন বিপণন কেন্দ্রের টোল ধরা হয়েছে মাত্র ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা।

প্রতিদিন কাকডাকা ভোরে গদখালী বাজারে মহাসড়কের ওপর ফুলের হাট বসে, যা ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি করে এবং প্রায়শই দুর্ঘটনার কারণ হয়। এই সমস্যার সমাধানে চার বছর আগে ১ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ফুল বিপণন কেন্দ্র স্থাপন করা হলেও, সংযোগ সড়কের সমস্যার কারণে কৃষকরা সেখানে যেতে আগ্রহী হননি।

 অন্যদিকে, ঝিকরগাছার পানিসারায় বাংলাদেশ-আমেরিকা সৌহার্দ্য ফুল বিপণন কেন্দ্রটি তিন বছর ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। সাড়ে ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই আধুনিক কেন্দ্রে ফুল সংরক্ষণ ও বিপণনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল সুবিধা বিদ্যমান। তবে, গদখালী বাজারের কাছে হওয়ায় এবং পরিবহন সুবিধার অভাবে চাষিরা এই কেন্দ্র ব্যবহারে আগ্রহ দেখাননি।